ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসে জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

১১ জুন হলো গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস, অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রা : আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দোয়া ও আলোচনা সভা রোববার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Model Hospital

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

তিনি বলেন, আওয়ামী পরিবারের জন্য এ দিনটি ঐতিহাসিক দিন, আওয়ামী পরিবারের আনন্দ বেদনার দিন। তৎকালীন সামরিক সরকার চেয়েছিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে বন্ধী করে রাখতে, তারা চক্রান্ত করেছিলো প্রদানমন্ত্রীকে চিরতরে মেরে ফেলার জন্য, কিন্তু সামরিক সরকার তা পারিনি। আজকে প্রধানমন্ত্রী জেলে থাকলে বাংলাদেশের চেহারা এমন হতো না।

আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের দ্বার প্রান্তে আর এটা হয়েছে একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনে। ২০০১-২০০৬ সাল সারাদেশে বিএনপি-জামাতের তাণ্ডবে মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। মূলত বিএনপি-জামাতের দুঃশাসনের কারণেই ১/১১ এর সৃষ্টি হয়েছিল। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তৎকালীন সেনা সমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও বানোয়াট মামলা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করেছিল। যে মানুষটি সারা জীবন মানুষের অধিকারের জন্য, ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করলো সেই মানুষটিকেই গ্রেপ্তার করেছিল।

তিনি আরও বলেন, সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি, গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গোটা বাংলাদেশকে, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল গণতন্ত্রকে। তার মুক্তির জন্য সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই আমরা সেদিন তাকে মুক্ত করেছিলাম। তাই ১১ জুন শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যার কারাগার থেকে মুক্তির দিবস নয়, ১১ জুন হলো গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস, অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রা।

দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, আপনাদের প্রত্যেকটি ইতিহাস জানতে হবে এবং তা বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছাতে হবে এবং বুঝাতে হবে।

এসময় তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন আল্লাহ পাক যেন এমন নায়ককে বাচিয়ে রাখেন, এবং তাকে নেক হায়াত দান করেন।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. বদিউজ্জ্বামান কিরনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সন্তোষ দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মনজুরুল আলম মাঝি, সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূইয়া, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, জেলা মৎস্য লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আতাউর রহমান পাটোয়ারী, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি অ্যাড. মোঃ হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলী নেত্রী রেনু বেগম প্রমুখ।

আলোচনা সবার শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসে জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

১১ জুন হলো গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস, অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রা : আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল

আপডেট সময় : ১০:২৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের দোয়া ও আলোচনা সভা রোববার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Model Hospital

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

তিনি বলেন, আওয়ামী পরিবারের জন্য এ দিনটি ঐতিহাসিক দিন, আওয়ামী পরিবারের আনন্দ বেদনার দিন। তৎকালীন সামরিক সরকার চেয়েছিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে বন্ধী করে রাখতে, তারা চক্রান্ত করেছিলো প্রদানমন্ত্রীকে চিরতরে মেরে ফেলার জন্য, কিন্তু সামরিক সরকার তা পারিনি। আজকে প্রধানমন্ত্রী জেলে থাকলে বাংলাদেশের চেহারা এমন হতো না।

আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের দ্বার প্রান্তে আর এটা হয়েছে একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনে। ২০০১-২০০৬ সাল সারাদেশে বিএনপি-জামাতের তাণ্ডবে মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। মূলত বিএনপি-জামাতের দুঃশাসনের কারণেই ১/১১ এর সৃষ্টি হয়েছিল। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তৎকালীন সেনা সমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও বানোয়াট মামলা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করেছিল। যে মানুষটি সারা জীবন মানুষের অধিকারের জন্য, ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করলো সেই মানুষটিকেই গ্রেপ্তার করেছিল।

তিনি আরও বলেন, সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি, গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গোটা বাংলাদেশকে, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল গণতন্ত্রকে। তার মুক্তির জন্য সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই আমরা সেদিন তাকে মুক্ত করেছিলাম। তাই ১১ জুন শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যার কারাগার থেকে মুক্তির দিবস নয়, ১১ জুন হলো গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস, অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রা।

দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, আপনাদের প্রত্যেকটি ইতিহাস জানতে হবে এবং তা বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছাতে হবে এবং বুঝাতে হবে।

এসময় তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন আল্লাহ পাক যেন এমন নায়ককে বাচিয়ে রাখেন, এবং তাকে নেক হায়াত দান করেন।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. বদিউজ্জ্বামান কিরনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সন্তোষ দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মনজুরুল আলম মাঝি, সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূইয়া, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, জেলা মৎস্য লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আতাউর রহমান পাটোয়ারী, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি অ্যাড. মোঃ হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলী নেত্রী রেনু বেগম প্রমুখ।

আলোচনা সবার শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।