কোরবানীর গরু ক্রয় করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে চাঁদপুরে গিয়েছিল বাবা-ছেলে। গরু ক্রয় না করে চাঁদপুর থেকে হাজীগঞ্জের উদ্দেশ্যে সিএনজি স্কুটার যোগে রওনা হয়েছেন ঠিকই, কিন্ত শেষ-মেষ বাড়ি ফেরা হলো না দুজনের কারোই। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। একই সড়ক দূর্ঘটনায় আরো তিন জন গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (৬ মে দুপুর) ১টায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের গোগরা মহিলা মাদ্রাসার সম্মূখে চাঁদপুরগামী বালুবাহী পিকআপ ও হাজীগঞ্জগামী সিএনজি স্কুটারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের সাথে থাকা নগদ দেড় লক্ষ টাকা পেয়ে বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলনের নিকট পৌঁছে দেন স্থানীয়রা।
নিহতরা হলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়ালজোস গ্রামের মোল্লা বাড়ির গরু ব্যবসায়ী ২৫ বছর বয়সি মো. মামুন হোসেন ও তার পিতা ৫৫ বছর বয়সি আবু তাহের। সিএনজি স্কুটারে থাকা গুরুতর আহত যাত্রীদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, নিহত মামুনের ৩ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। সে হাজীগঞ্জ বাজারে মটর গ্যারেজে চাকুরি করতো। পাশাপাশি তার বাবার গরুর ব্যবসায় সহায়তায় করে আসছিলো। নিহত মামুন সার্বিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। সার্বিয়া ভিসাও হাতে এসেছে। কিন্ত এক সড়ক দূর্ঘটনায় যেন সব স্বপ্ন নিমেষেই শেষ হয়ে গেলো। তাদের বাবা-ছেলের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসী শোকে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হাজীগঞ্জ ইউএনও তাপশ শীল ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
এ প্রসঙ্গে হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বালু বাহী ট্রাক ও সিএনজি স্কুটার উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।