ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালের প্রভাবে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আমতলী থেকে নদীর পাড়ের রাজা বেপারীর দোকান পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়‘ রিমালের প্রভাবে, প্রায় ১০০ ফুট রাস্তা ভেঙে যায়। খবর শুনে হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা জনাব নূর হোসেন পাটওয়ারী তিনি চাঁদপুর
নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবির কে এনে সরজমিনে পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বলেন, ডা দীপু মনির আন্তরিকতায় খুব কম সময়ের মধ্যে আমরা এই রাস্তাটি করে দিবো। এতে করে এই এলাকার মানুষের ভোগান্তি দূর হবে এবং জীবনমান উন্নয়ন হবে। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনা, ডা দীপু মনি এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। এসময় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও তিনি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের হরিসভা মন্দির ও তার পার্শ্ববর্তী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
মন্দিরে উপস্থিত সকলের উদ্দেশে তিনি বলেন সরকার দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি গ্রহণে তৎপর থাকা, আগাম দুর্যোগে পূর্বাভাস দেওয়া, জনগণের সচেতনতা ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার ফলে মানুষ ও পশুর প্রাণহানী কম হয়েছে। অন্য জেলার চেয়ে তুলনামূলকভাবে হাইমচর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে কম ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, এই ঝড়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সঠিক তালিকা তৈরি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবের কারণে দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জীবন-জীবিকা রক্ষা করার জন্য সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় খাদ্য সহায়তা প্রদান সহ সবধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশা করছি সকলের প্রচেষ্টায় সবাই মিলে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠবো।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রধানিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম বাশার, চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ আলী মাস্টার,৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সহ স্থানীয় এলাকাবাসী।