ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
টাকা চাওয়া বেমানান : বিএমএসএফ

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকের কাছে ৩০ হাজার টাকা চাইলেন নির্বাহী প্রকৌশলী

তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ার জবাবে ভোলার এক সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকের কাছে ৩০ হাজার টাকা খরচ চাইলেন। এই খরচ চেয়ে তিনি ঐ সাংবাদিককে চিঠিও পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় ভোলার সাংবাদিক অঙ্গনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।

Model Hospital

তজুমুদ্দিনের সাংবাদিক ও ভোলা টাইমসের স্টাফ রিপোর্টার সাদির হোসেন রাহিম গত ৫ জুন তথ্য চেয়ে ভোলা জেলা এলজিইডির নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে আবেদন করেন। এর জবাবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীল তথ্য অধিকার আইনের বিধি ৮(৪) এর উপ-ধারা (১) এর বিধানমতে তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধ ফি এবং চাহিত তথ্যের কাগজপত্রের ফটোকপিসহ অন্যান্য সম্ভাব্য খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা চাওয়া হয়।

উক্ত টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়।

সাংবাদিক রাহিম বিএমএসএফকে জানিয়েছেন, বিগত চার বছরে ভোলা জেলার এলজিইডির আওতায় রাস্তার কাজের জন্য কি পরিমান গাছ কাটা হয়েছে এমন তথ্য জানতে চেয়ে আমি আবেদনটি করি। কিন্তু তারা তথ্য না দিয়ে টাকা চাওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে তারা ভুল স্বীকার করে থামাতে চাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহমেদ আবু জাফর বলেন, সাংবাদিকরা তথ্য চাইবেন সরকারি কর্মকর্তারা তথ্য আইন অনুযায়ী তথ্য দিবেন। শুধু সাংবাদিক নয় সকল নাগরিকের তথ্য পাবার অধিকার আছে।

আর সেই তথ্য কিনে নিতে হবে, কেনো? তিনি তথ্য দিতে বাধ্য। সাংবাদিকের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি বেমানান বলে দাবি করেছে সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা সংগঠন বিএমএসএফ।

তিনি তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকের কাছে এ ধরনের চিঠি পাঠানো দূর্ণীতির পরিচয় রেখে গেলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে কার্টন ফ্যাক্টরিতে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৮ইউনিট

টাকা চাওয়া বেমানান : বিএমএসএফ

তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকের কাছে ৩০ হাজার টাকা চাইলেন নির্বাহী প্রকৌশলী

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ার জবাবে ভোলার এক সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিকের কাছে ৩০ হাজার টাকা খরচ চাইলেন। এই খরচ চেয়ে তিনি ঐ সাংবাদিককে চিঠিও পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় ভোলার সাংবাদিক অঙ্গনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।

Model Hospital

তজুমুদ্দিনের সাংবাদিক ও ভোলা টাইমসের স্টাফ রিপোর্টার সাদির হোসেন রাহিম গত ৫ জুন তথ্য চেয়ে ভোলা জেলা এলজিইডির নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে আবেদন করেন। এর জবাবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীল তথ্য অধিকার আইনের বিধি ৮(৪) এর উপ-ধারা (১) এর বিধানমতে তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধ ফি এবং চাহিত তথ্যের কাগজপত্রের ফটোকপিসহ অন্যান্য সম্ভাব্য খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা চাওয়া হয়।

উক্ত টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়।

সাংবাদিক রাহিম বিএমএসএফকে জানিয়েছেন, বিগত চার বছরে ভোলা জেলার এলজিইডির আওতায় রাস্তার কাজের জন্য কি পরিমান গাছ কাটা হয়েছে এমন তথ্য জানতে চেয়ে আমি আবেদনটি করি। কিন্তু তারা তথ্য না দিয়ে টাকা চাওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে তারা ভুল স্বীকার করে থামাতে চাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহমেদ আবু জাফর বলেন, সাংবাদিকরা তথ্য চাইবেন সরকারি কর্মকর্তারা তথ্য আইন অনুযায়ী তথ্য দিবেন। শুধু সাংবাদিক নয় সকল নাগরিকের তথ্য পাবার অধিকার আছে।

আর সেই তথ্য কিনে নিতে হবে, কেনো? তিনি তথ্য দিতে বাধ্য। সাংবাদিকের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি বেমানান বলে দাবি করেছে সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা সংগঠন বিএমএসএফ।

তিনি তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকের কাছে এ ধরনের চিঠি পাঠানো দূর্ণীতির পরিচয় রেখে গেলেন।