স্বামীর মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পর মারা গেছেন মঞ্জু আরা বেগম (৪৫) নামের এক নারী। পরে তাদের জানাজা শেষে পাশাপাশি দাফন করা হয়।
শনিবার (১৫ জুন) ভোর ৪টায় মারা যান লালমনিহাটের বাউড়া ইউনিয়রের রসুলপুর গ্রামের হাসান আলী।
এ ঘটনার সাত ঘণ্টা পর বেলা ১১টার দিকে মারা যান তার স্ত্রী মঞ্জু আরা বেগম।
হাসান আলী ও মঞ্জু আরা বেগম দম্পতির তিন মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। আরেক এক মেয়ে স্থানীয় সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, হাসান আলী পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন। প্রতিদিনের মতো বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরেন। ভোর ৪টার দিকে আম খান। এর কিছুক্ষণ পর স্ত্রীর সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হাসান আলী। স্বামীর শোকে মঞ্জু আরা বেগম ভোর থেকেই কান্না করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাকে স্থানীয় বাউড়া বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, হাসান আলী ও তার স্ত্রী মঞ্জু আরা বেগম একে অপরকে খুবই ভালোবাসতেন।
স্বামীর মৃত্যুর শোক সহ্য করতে পারেননি মঞ্জু আরা। স্বামী- স্ত্রীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় সাহেব হোসেন বলেন, হাসান আলী একজন সাদামনের মানুষ ছিলেন। আমার জীবনে এমন মৃত্যু দেখিনি। বিকেল ৫টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের দাফন করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাবিউল ইসলাম মিরন বলেন, এ ঘটনায় আমরা সবাই শোকাহত।