শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণার পর হাইমচর উপজেলায় বিজয় মিছিল করেছেন ছাত্র জনতা ও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
মিছিলের শেষেই বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি, উপজেলা পরিষদ ও হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসসহ বেস কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
গত ৫ ই আগষ্ট সোমবার বিকেল ৩ টার পর শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের খবর শুনার পর উপজেলার বিভিন্ন এলা থেকে সাধারণ জনতা ও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীবৃন্দ সদর আলগী বাজারে জড়ো হয়।পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আমিন উল্লাহ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম সফিক পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে উপজেলার সদর আলগী বাজারের বিসমিল্লাহ মোড়ে শেষ হয়। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা পতাকা হাতে নিয়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর মোরাল ভাংচুর, উপজেলার সভা কক্ষ,উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস,পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারীর বাড়ি,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এম এ বাসার, হুমায়ূন কবির পাটওয়ারী,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম জাহিদ, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ খুরশিদ আলম,যুবলীগ নেতা ইসমাইলা হোসেন আখন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম রনি, সেচ্চাসেবক লীগের নেতা মামুন মিজি, শাহআলম মিজি,সবুজ খন্দকার, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা মোঃ মহসিন পাটওয়ারী,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাচ্ছু মিয়া খান,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান গাজি,ছাত্রলীগ নেতা এমরান হোসেন তালুকদার,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বারেক,নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর দোকান,হারুন হাওলাদারেরদোকানসহ বিভিন্ন বাড়ি, প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছেন। ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ কালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে দাওয়া পাল্টা দাওয়ায় আহত হয়েছেন ১০ জন। এতে ৩ জনের অবস্থা আশংকা দেখে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেপার করেন হাইমচর সাস্থ্য কমপ্লেক্স।