ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত

মতলব দক্ষিণের অটোচালক রহিম হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মতলব দক্ষিণের অটোচালক আব্দুর রহিম বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলার মাছুয়াখাল গ্রামের মন্টু হাজীর ছেলে সজিব হাজীর নেতৃর্তে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে রহিমকে আহত করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার শাশুড়ি নাজমা বেগম। একমাত্র মেয়ের জামাইয়ের এ অবস্থায় দিশেহারা দিনমজুর রহিমের শ^শড়-শাশুড়ী। দরিদ্র হওয়ায় জামাইর চিকিৎসা করানো এখন কষ্ট হচ্ছে তাদের।
আহত রহিম উপজেলার পয়ালী গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। সে উপজেলার মাছুয়াখাল এলাকায় তার শশুর বাড়িতে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন।
জানা যায, গত ৩১ জুলাই রহিমের শাশুড়ী নাজমা বেগমের সাথে একই বাড়ির মন্টু মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া বেগমের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার সূত্র ধরে ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজিয়ার ছেলে সজিব ও তার সহযোগী প্রায় ৩০/৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হামলা করে আব্দুর রহিমের উপর। হামলাকারীদের ভয়ে আত্মরক্ষায় রহিম ঘরের ভিতর দরজা বন্ধ করে থাকলে সেখান থেকে দরজা ভেঙ্গে মারতে মারতে বাড়ির পাশে রাস্তায় নিয়ে যায়।
পরে অজ্ঞান অবস্থায় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে আব্দুর রহিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রহিমের শাশুড়ি নাজমা বেগম জানান, রাজিয়ার ছেলে সজীবের নের্তৃত্বে ৩০/৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী এসে আমার মেয়ের জামাইকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে জোরকরে মারতে মারতে রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পেলে চলে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখনো সজিব ও তার সহযোগীরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সজীবের মা রাজিয়া বেগম। তিনি জানান, ঘটনার দিন আমার ছেলে ঢাকায় ছিল। এই ঘটনার সাথে আমার ছেলে জরিত নাই।
ট্যাগস :

কচুয়ায় শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দেখা দিয়েছে কৃত্রিম বন্যা

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত

মতলব দক্ষিণের অটোচালক রহিম হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মতলব দক্ষিণের অটোচালক আব্দুর রহিম বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলার মাছুয়াখাল গ্রামের মন্টু হাজীর ছেলে সজিব হাজীর নেতৃর্তে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে রহিমকে আহত করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার শাশুড়ি নাজমা বেগম। একমাত্র মেয়ের জামাইয়ের এ অবস্থায় দিশেহারা দিনমজুর রহিমের শ^শড়-শাশুড়ী। দরিদ্র হওয়ায় জামাইর চিকিৎসা করানো এখন কষ্ট হচ্ছে তাদের।
আহত রহিম উপজেলার পয়ালী গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। সে উপজেলার মাছুয়াখাল এলাকায় তার শশুর বাড়িতে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন।
জানা যায, গত ৩১ জুলাই রহিমের শাশুড়ী নাজমা বেগমের সাথে একই বাড়ির মন্টু মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া বেগমের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার সূত্র ধরে ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজিয়ার ছেলে সজিব ও তার সহযোগী প্রায় ৩০/৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হামলা করে আব্দুর রহিমের উপর। হামলাকারীদের ভয়ে আত্মরক্ষায় রহিম ঘরের ভিতর দরজা বন্ধ করে থাকলে সেখান থেকে দরজা ভেঙ্গে মারতে মারতে বাড়ির পাশে রাস্তায় নিয়ে যায়।
পরে অজ্ঞান অবস্থায় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে আব্দুর রহিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রহিমের শাশুড়ি নাজমা বেগম জানান, রাজিয়ার ছেলে সজীবের নের্তৃত্বে ৩০/৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী এসে আমার মেয়ের জামাইকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে জোরকরে মারতে মারতে রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পেলে চলে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখনো সজিব ও তার সহযোগীরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সজীবের মা রাজিয়া বেগম। তিনি জানান, ঘটনার দিন আমার ছেলে ঢাকায় ছিল। এই ঘটনার সাথে আমার ছেলে জরিত নাই।