চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯ নং বালিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী আমেনা আক্তার মায়া শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক মফিজুল ইসলাম এর সাথে উধাও হয়ে গেছে।
সৌদি প্রবাসীর স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে সবকিছু নিয়ে আত্মসাৎ করার ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই লিয়াকত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সততার প্রমাণ পায়।
সদর উপজেলার ১২ নং চান্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের শেখ আহম্মদের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রবাসীর স্ত্রী আমেনা আক্তার মায়ার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সৌদি প্রবাসী মনির দেশে আসার খবর শুনে তার স্ত্রী আমেনা আক্তার মায়া এক সন্তান রেখে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার টাকা-পয়সা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক মফিজুল ইসলামের সাথে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় প্রবাসীর বাবা সাঈদ তালুকদার বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় প্রবাসীর পরিবার জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের খলিলুর রহমান বেপারীর মেয়ে আমেনা আক্তারের সাথে প্রবাসী মনিরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মনির প্রবাসে চলে গেলে তার স্ত্রী ৩ সন্তানের জনক মফিজুল ইসলামের সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়। মফিজুল ইসলাম আদম বেপারী কাজ করার সুবাদে তার সাথে প্রবাসীর স্ত্রীর পরিচয় হয়। তারপরেই লম্পট মফিজুল ইসলাম প্রবাসীর স্ত্রীকে পটিয়ে স্বর্ণালঙ্কার টাকা পয়সা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর প্রবাসীর স্ত্রী আমেনা আক্তার মায়া তালাকনামার কাগজ পাঠিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিক তিন সন্তানের জনক মফিজুল ইসলামকে রোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। তবে প্রবাসীর স্বর্ণলতা টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তারা উঠে পড়ে লেগেছে।