চাঁদপুর-চট্রগ্রামের মধ্যে নিয়মিত চলাচলকারী ৭৩০আপ আন্ত:নগর মেঘনা এক্রপ্রেস মেইল ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় ট্রেনটির ১৮টি বর্গির প্রায় সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে চট্রগ্রামে আড়াই ঘন্টা বিলম্বে পৌছে। এতে করে ট্রেনে থাকা নারী,পুরুষ,শিশু,কিশোর,কিশোরী,বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাসহ শত শত যাত্রী চরম দূর্ভোগ পৌহাতে হয়েছে। বিলম্বের ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিরাট অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে রেলসূত্রে জানা যায়। সেই একই ট্রেনটি বিকেল ৬টায় চট্রগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দের্শে ছেড়ে আসে।
চাঁদপুর ষ্টেশন সূত্রে ও প্রত্যাক্ষ দর্শীদের সাথে আলোচনা কালে জানা যায়,চাঁদপুর-চট্রগ্রামের মধ্যে প্রতিদিনের ন্যায় চলাচলকারী ১৮টি বর্গির যাত্রী নিয়ে ৭৩০ নাম্বার আপ আন্ত:নগর মেঘনা এক্রপ্রেস ট্রেনটি শুক্রবার(২২ নভেম্বর) সকাল ৫টায় চাঁদপুর হতে চট্রগ্রামের উদ্দের্শে যাত্রা করে। পথিমধ্রে শহরের কোট ষ্টেশনে বিরতী দিয়ে যাত্রী উঠানামা করে। সেখান থেকে ট্রেনটি রেলপথ দিয়ে লাকসাম থেকে চট্রগ্রাম অভিমূখে ছেড়ে যায়।
ট্রেনটি ২মিনিট চলার পর হঠাৎ ইঞ্জিনে যান্ত্রীক ক্রটি দেখা দিয়ে ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে পড়ে। ট্রেনের চালক ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে ইঞ্জিনটি সচল করতে ব্যর্থ হয়। এ সময় ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় চাঁদপুর শহরের মিশন রোড রেল গেইট এলসি-৮-এ ও ছায়াবানী রেল গেইট এরসি-৮–বি সড়ক পথের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে কয়েক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যাপক যানযটের সৃস্টি হয়ে চাঁদপুরের শত-শত মানুষ দূর্ভোগে পড়ে হয়রানির শিকার হয়।
পরে চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেনের মাধ্যমে রেলওয়ের লাকসাম জংশনে খবর পাঠান হয়। সেখান থেকে রিলিফ ট্রেনের ইঞ্জিন চাঁদপুর এসে ট্রেনটিকে বিপরীত দিক থেকে চালিয়ে চাঁদপুর স্টেশন থেকে প্রায় ২ঘন্টা ৩০ মিনিটে বিলম্বে পুনরায় চাঁদপুর স্টেশন থেকে সকাল প্রায় ৭টা ৩০মিনিটে চট্রগ্রামের উদ্দের্শে চাঁদপুর ত্যাগ করে।
এদিকে ইঞ্জিন ক্রটির কারনে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট ট্রেন বিলম্ব করায় দক্ষীনঞ্চলিয় শত-শত যাত্রীসহ এ অঞ্চলের যাত্রীরা শীতে ও বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে চরম দূর্ভোগ পৌহাতে হয়েছে। বেশী দূর্ভোগের শিকার হয় শিশু,মহিলা ও বুদ্ধরা। এ সময় অনেক যাত্রী বিলম্বের কারনে ট্রেনের টিকেটের টাকা ফেরত না’পেয়েও সড়ক পথে চট্রগ্রামের উদ্দের্শে চলে যেতে দেখা যায়।
অপরদিকে ট্রেনটি ২ঘন্টা ৩০মিনিট বিলম্বের কারনে চাঁদপুর-লাকসাম ও লাকসাম চট্রগ্রাম রেলপথের বিভিন্ন স্টেশনে অপেক্ষমান শথ-শত যাত্রীরা বিকল্প পথ সড়ক পথে চট্রগ্রামের উদ্দের্শে চলে যেতে বাধ্য হয়। যার ফলে সরকার তথা রেলওযে বিরাট অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে রেলওয়ের চট্রগ্রাম বিভাগীয় এক জন কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ট্রেনে অবস্থানরত যাত্রী সাগর, অন্তু ও রাফি জানান, আমরা কয়েকজন বন্ধু একসাথে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। ট্রেনটি ছাড়ার ২ মিনিটের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ট্রেনের বিলম্বের কারনে আমরা চট্রগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন পাবনা। এতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হলো।
চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন জানান,মেঘনা ট্রেনটি সঠিক সময়ে চাঁদপুর থেকে চট্রগ্রাম ছেড়ে যায়। যান্ত্রীক ক্রটির কারনে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। আমি চট্রগ্রাম বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি অবগত করে তাদের নির্দেশে লাকসাম থেকে রিলিফ ট্রেনের ইঞ্জিন এনে চাঁদপুর থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা বিলম্বে চট্রগ্রাম যাত্রা করে। তবে যাত্রীরা শীতের কারনে সকালে কিছুটা হলেও হয়রানির শিকার হয়েছে।