ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১টা বাজলেই ছুটি হয়ে যায় খাজুরিয়া ওল্ড স্কীম দাখিল মাদ্রাসার

  • এস. এম ইকবাল
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 144

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার খাজুরিয়া ওল্ডস্কীম দাখিল মাদ্রাসা অনিয়ম যেখানে নিয়মে পরিনত হয়েছে। দুপুর ১টা বাজলেই মাদ্রাসা প্রতিনিয়ত ছুটি হয়ে যায়। সরকারি নিয়ম রয়েছে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এ ভাবেই চলছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষকরা আসছেন-যাচ্ছেন নিজেদের ইচ্ছামাফিক। এ নিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে।

সরেজমিনে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মাদ্রাসা গেলে প্রতিটি শ্রেনীকক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

জাতীয় পতাকা নেই ষ্ট্যান্ডে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, আমি কমিটির কাজে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে উপজেলায় আসছি। আপনি উপজেলায় আসেন। বই নেই অজুহাতে প্রতিদনই মাদ্রাসা ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত শ্রেণীতে পাঠদানের জন্য পিডিএফ কপি পাঠানো হয়। ভারপ্রাপ্ত মাদ্রাসা সুপার নির্দেশনা না মেনে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানান, বছরের ১ মাস চলে গেলেও এখন পর্যন্ত একদিনও পরিপূর্ণ ক্লাস হয়নি। প্রতিদিনই দুপুর ১টায় মাদ্রাসা ছুটি হয়ে যায়। এ নিয়ে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

Model Hospital

প্রতিনিয়ত দুপুর ১টায় মাদ্রাসা ছুটির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত মাদ্রাসা সুপার মো. সুলতান আহাম্মেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দায় শিকার করে বলেন, আমার ভুল হয়েছে, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাদ্রাসা চলবে। এর ব্যতিক্রম হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া জানান, উক্ত বিষয়ে আমি জেনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লো শিক্ষক

১টা বাজলেই ছুটি হয়ে যায় খাজুরিয়া ওল্ড স্কীম দাখিল মাদ্রাসার

আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার খাজুরিয়া ওল্ডস্কীম দাখিল মাদ্রাসা অনিয়ম যেখানে নিয়মে পরিনত হয়েছে। দুপুর ১টা বাজলেই মাদ্রাসা প্রতিনিয়ত ছুটি হয়ে যায়। সরকারি নিয়ম রয়েছে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এ ভাবেই চলছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষকরা আসছেন-যাচ্ছেন নিজেদের ইচ্ছামাফিক। এ নিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে।

সরেজমিনে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মাদ্রাসা গেলে প্রতিটি শ্রেনীকক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

জাতীয় পতাকা নেই ষ্ট্যান্ডে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, আমি কমিটির কাজে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে উপজেলায় আসছি। আপনি উপজেলায় আসেন। বই নেই অজুহাতে প্রতিদনই মাদ্রাসা ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত শ্রেণীতে পাঠদানের জন্য পিডিএফ কপি পাঠানো হয়। ভারপ্রাপ্ত মাদ্রাসা সুপার নির্দেশনা না মেনে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানান, বছরের ১ মাস চলে গেলেও এখন পর্যন্ত একদিনও পরিপূর্ণ ক্লাস হয়নি। প্রতিদিনই দুপুর ১টায় মাদ্রাসা ছুটি হয়ে যায়। এ নিয়ে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

Model Hospital

প্রতিনিয়ত দুপুর ১টায় মাদ্রাসা ছুটির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত মাদ্রাসা সুপার মো. সুলতান আহাম্মেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দায় শিকার করে বলেন, আমার ভুল হয়েছে, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাদ্রাসা চলবে। এর ব্যতিক্রম হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া জানান, উক্ত বিষয়ে আমি জেনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।