ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, সয়াবিন তেল সংকট চরমে

  • এস. এম ইকবাল
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • 42
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রমজানকে কেন্দ্র  করে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সয়াবিন সংকট কোন ভাবেই থামছে না।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ ২০২৫) উপজেলা সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু পাইকারি ১৭ টাকা বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতারা ২৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। রসূন পাইকারি প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতারা এক শত টাকা দরে বিক্রি করে চলছে।
শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নিত্য পণ্যের দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। গরুর মাংস একশত টাকা বৃদ্ধি করে হাড় ছাড়া ৮ শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি করার জন্য দাম নির্ধারণ  করে দেওয়ার বিষয়টি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
লেবুতে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পেয়ে ১৫/২০ টাকা পিছ বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে বাজারে সয়াবিন তেলে  সংকট চরমে এসে ঠেঁেকছে। আদা ৯০/১০০টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, কুমড়া ৩০/৩৫ টাকা,শিমের বীচি ৯০/১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ২’শ ১০ টাকা, পাবদা ৪’শ টাকা, পাঙ্গাস ১’শ ৭০ টাকা, সিং ৪’শ ৫০ থেকে ৬’শ টাকা, ইলিশ ১২’শ টাকা, কাতলা সাড়ে ৩’শ টাকা, রুই সাড়ে ৩’শ, মলা ২’শ টাকা দরে  বিক্রি হচ্ছে।
মুরগীর বাজারও বেড়েই চলছে, সাদা বয়লার ১’শ ৯০ টাকা, কক ২’শ ৭০/৮০টাকা , লেয়ার ৩’শ ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে, খাসি ১৩’শ টাকা ও বকরি ১১’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ কেজি ৪০/৪২, রসূন কেজি ১’শ২০, শসা কেজি ৪০/৪৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। একই পণ্য দোকান ভেদে বিভিন্ন দামেও বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা বাজারের আড়তের মালিক মোস্তফা ও নয়ন সত্যতা স্বীকার করে জানান,  একই দিনের কেনা পণ্যের দাম দিনের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন হওয়ার কথা না। তাছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে খুচরা বিক্রেতারা অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে।
মাংস বিক্রেতা কাউসার ও আনিছ মিয়া জানান, গরুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাংস কেজি পিছু একশত টাকা বৃদ্ধি করতে হয়েছে।
সয়াবিন তেল সংকট নিয়ে মুদি দোকানী মোঃ রহমত উল্যা জানান, সয়াবিন তেল কিনতে হলে, ওই কোম্পানীর অন্য কয়েকটি পণ্য বাধ্যতামূলকভাবে ক্রয় করতে হয়। ফলে দোকানীদের সয়াবিন তেল বেচা-বিক্রির প্রতি অনিহা রয়েছে।
শিক্ষক শাহজাহান, কৃষক রেজু মুন্সী, অটো চালক জসিম উদ্দিন, পল্লী চিকিৎসক ডাঃ দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকেই জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও আড়ৎগুলোতে নিয়ম মেনে চলা দরকার।
রমজানে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ  মোঃ শাহ্ আলম ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা ডেকে  গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক টাকা লাভে রমজান সামগ্রী বিক্রি করার দোকান চালু করার ব্যবস্থা করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়াকে জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোবাইল কোর্ট জোরদার করবো। এরই মধ্যে এসিল্যান্ডকে দিয়ে বাজার মনিটরিং শুরু করে দিয়েছি। রমজানে অধিক মুনাফা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
ট্যাগস :

স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য হলেন নূরে আলম গাজী

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, সয়াবিন তেল সংকট চরমে

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রমজানকে কেন্দ্র  করে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সয়াবিন সংকট কোন ভাবেই থামছে না।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ ২০২৫) উপজেলা সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু পাইকারি ১৭ টাকা বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতারা ২৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। রসূন পাইকারি প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতারা এক শত টাকা দরে বিক্রি করে চলছে।
শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নিত্য পণ্যের দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। গরুর মাংস একশত টাকা বৃদ্ধি করে হাড় ছাড়া ৮ শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি করার জন্য দাম নির্ধারণ  করে দেওয়ার বিষয়টি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
লেবুতে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পেয়ে ১৫/২০ টাকা পিছ বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে বাজারে সয়াবিন তেলে  সংকট চরমে এসে ঠেঁেকছে। আদা ৯০/১০০টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, কুমড়া ৩০/৩৫ টাকা,শিমের বীচি ৯০/১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ২’শ ১০ টাকা, পাবদা ৪’শ টাকা, পাঙ্গাস ১’শ ৭০ টাকা, সিং ৪’শ ৫০ থেকে ৬’শ টাকা, ইলিশ ১২’শ টাকা, কাতলা সাড়ে ৩’শ টাকা, রুই সাড়ে ৩’শ, মলা ২’শ টাকা দরে  বিক্রি হচ্ছে।
মুরগীর বাজারও বেড়েই চলছে, সাদা বয়লার ১’শ ৯০ টাকা, কক ২’শ ৭০/৮০টাকা , লেয়ার ৩’শ ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে, খাসি ১৩’শ টাকা ও বকরি ১১’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ কেজি ৪০/৪২, রসূন কেজি ১’শ২০, শসা কেজি ৪০/৪৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। একই পণ্য দোকান ভেদে বিভিন্ন দামেও বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা বাজারের আড়তের মালিক মোস্তফা ও নয়ন সত্যতা স্বীকার করে জানান,  একই দিনের কেনা পণ্যের দাম দিনের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন হওয়ার কথা না। তাছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে খুচরা বিক্রেতারা অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে।
মাংস বিক্রেতা কাউসার ও আনিছ মিয়া জানান, গরুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাংস কেজি পিছু একশত টাকা বৃদ্ধি করতে হয়েছে।
সয়াবিন তেল সংকট নিয়ে মুদি দোকানী মোঃ রহমত উল্যা জানান, সয়াবিন তেল কিনতে হলে, ওই কোম্পানীর অন্য কয়েকটি পণ্য বাধ্যতামূলকভাবে ক্রয় করতে হয়। ফলে দোকানীদের সয়াবিন তেল বেচা-বিক্রির প্রতি অনিহা রয়েছে।
শিক্ষক শাহজাহান, কৃষক রেজু মুন্সী, অটো চালক জসিম উদ্দিন, পল্লী চিকিৎসক ডাঃ দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকেই জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও আড়ৎগুলোতে নিয়ম মেনে চলা দরকার।
রমজানে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ  মোঃ শাহ্ আলম ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা ডেকে  গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক টাকা লাভে রমজান সামগ্রী বিক্রি করার দোকান চালু করার ব্যবস্থা করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়াকে জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোবাইল কোর্ট জোরদার করবো। এরই মধ্যে এসিল্যান্ডকে দিয়ে বাজার মনিটরিং শুরু করে দিয়েছি। রমজানে অধিক মুনাফা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।