চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সম্পত্তিগত বিরোধের মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রীকে মারধর ও বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে মামলার আসামী ইসমাঈল হোসেন রনির বিরুদ্ধে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি ২০২৫) বিকালে উপজেলার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘোড়াধারি মিয়াজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় রনির হাত থেকে মামলার স্বাক্ষী আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে আহতপ্রাপ্ত হয়েছেন একই বাড়ির মাকসুদা নামে এক প্রতিবেশী।
ইসমাইল হোসেন রনি ওই এলাকার মৃত আঃ রহমানের ছেলে। সে সাবেক ছাত্রদল নেতা।

জানা যায়, গত ২০০৭ সালে উপজেলার ঘোড়াধারি এলাকার মৃত আব্দুস সালাম মিয়াজী ঘোড়াধারি বাইতুল আক্সা জামে মসজিদের নামে ওয়াকফো করে ১২ শতাংশ জমি দান করে যান। তার মৃত্যুর পর মামলার ৪নং আসামী ইসমাইল হোসেন রনির প্ররোচনায় এলাকার কিছু দুস্কৃতকারি জোরপূর্বক সালাম মিয়াজীর অতিরিক্ত সম্পত্তি মসজিদের বাউন্ডারির ভিতরে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে সালাম মিয়াজীর ছেলেদের সাথে বিরোধ বাধে ইসমাইল হোসেন রনিসহ অন্যান্যদের। এরই জের ধরে সালাম মিয়াজীর ছোট ছেলে এবাদুল হক জনি বাদি হয়ে চাঁদপুর আদালতে স্থিতাবস্থার জন্য ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৪১০। ওই মামলায় ৬নং স্বাক্ষী করা হয় মৃত সালাম মিয়াজীর ছোট ভাই আব্দুল আজিজকে।
ঘটনার দিন চাঁদপুর আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়িতে আসার পর মামলার আসামী ইসমাঈল হোসেন রনি ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার স্বাক্ষী আব্দুল আজিজের বসতঘর ভাংচুর সহ তাকে এবং তার স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন।
পরে তাদের ডাকচিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে রনির হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে। এসময় আব্দুল আজিজকে বাচাঁতে গিয়ে আহত হয় প্রতিবেশী মাকসুদা বেগম।
আব্দুল আজিজ বলেন, আমি মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় রনি আমার বসতঘর ভাংচুর করে। আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন রনি বলেন, বিষয়টি আমাদের পারিবারিক।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালেহ্ আহাম্মদ বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।