ঢাকা ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ বারের মতো মা বলে আর ডাকল না : আছিয়ার ‘মা’

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী সেই শিশুটি মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি।

শিশুটির মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছে তার মা। শিশুটির মা বলেন, আমার সন্তানকে ফাঁস দেওয়া হয়েছিল সেভাবে ধর্ষকের ফাঁসি চাই। আমি ওদের মৃত্যু চাই। ব্লেড দিয়ে যেভাবে আমার মেয়েকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে সেভাবেই বিচার করা হোক ধর্ষকের। আমার নাবালক মেয়েকে অনেক কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছে, আমি বিচার চাই।

কেউ সান্ত্বনা দিতে কাছে গেলে শিশুটির মা বলেন, কখনো কখনো মনে হয়েছে মেয়েটা সুস্থ হবে। এবার বেঁচে গেলে আর কখনো বাড়ি থেকে একা ছাড়তাম না। কিন্তু আল্লাহ ডাক শোনেননি।

Model Hospital

স্বজনদের জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলেন, শেষ বারের মতো মা বলে আর ডাকল না তাকে।

এর আগে, দুপুর ১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকালবেলা দুই দফায় শিশুটির ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে এসেছিল। কিন্তু দুপুর ১২টায় তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন ফেরেনি। দুপুর ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার মা। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মাগুরার এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনা চলছে। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ শিশুটি মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর ৮ মার্চ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়।

ট্যাগস :

শেষ বারের মতো মা বলে আর ডাকল না : আছিয়ার ‘মা’

আপডেট সময় : ০৮:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী সেই শিশুটি মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি।

শিশুটির মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছে তার মা। শিশুটির মা বলেন, আমার সন্তানকে ফাঁস দেওয়া হয়েছিল সেভাবে ধর্ষকের ফাঁসি চাই। আমি ওদের মৃত্যু চাই। ব্লেড দিয়ে যেভাবে আমার মেয়েকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে সেভাবেই বিচার করা হোক ধর্ষকের। আমার নাবালক মেয়েকে অনেক কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছে, আমি বিচার চাই।

কেউ সান্ত্বনা দিতে কাছে গেলে শিশুটির মা বলেন, কখনো কখনো মনে হয়েছে মেয়েটা সুস্থ হবে। এবার বেঁচে গেলে আর কখনো বাড়ি থেকে একা ছাড়তাম না। কিন্তু আল্লাহ ডাক শোনেননি।

Model Hospital

স্বজনদের জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলেন, শেষ বারের মতো মা বলে আর ডাকল না তাকে।

এর আগে, দুপুর ১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকালবেলা দুই দফায় শিশুটির ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে এসেছিল। কিন্তু দুপুর ১২টায় তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন ফেরেনি। দুপুর ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার মা। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মাগুরার এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনা চলছে। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ শিশুটি মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর ৮ মার্চ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়।