ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জের রাস্তায় পড়ে আছে মিষ্টি কুমড়া, দেখা নেই পাইকারের

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিভিন্ন রাস্তায় পড়ে আছে মিষ্টি কুমড়া। পাইকারের দেখা না মিলায় দাম না পেয়ে হতাশ কৃষকরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় চাহিদা নেই বললেই চলে। যে কারনে গত প্রায় ১৫ দিন এভাবেই কুমড়ার স্তুপ দিয়ে রাখতে দেখা যায়।

চলতি বছর হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৩শ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার অলিপুর, সাদ্রা, জাকনী, সমেশপুর গ্রামের মাঠজুড়ে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এ বছর বর্ষার পানি দেরীতে নামার কারণে জমিগুলো আবাদ একটু দেরিতে হয়েছে। এখন প্রতিটি জমিতেই মিষ্টি কুমড়ার সমাহার দেখা যায়।

উত্তর অলিপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল আলম জানান, আমরা প্রতিবছর বর্ষার শেষ দিকে এসে কচুরিপানা স্তূপ করে রাখি। পানি কমলে ওই কচুরিপানার স্তূপে মাটি দিয়ে লাগানো হয় মিষ্টি কুমড়ার চারা। গত কয়েক বছর এই পদ্ধতিতে মিষ্টি কুমড়া ও লাউ আবাদ করে আসছেন। আবাদের পরে কোন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ফলন ভাল হয়েছে। এ বছর ১০/১২ টাকা কেজিতে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে হচ্ছে যা আমাদের খরচও উঠছে না।

দক্ষিণ বলাখাল গ্রামের কৃষক মহসিন ও জসিম উদ্দিন জানান, আমরা এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছি। সপ্তাহে দুই দিন মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে পারছি । একদিনের উঠানো মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। শ্রমিকদের নিয়ে জমি থেকে কুমড়া কেটে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে এনে স্তূপ করেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব মিষ্টি কুমড়া পাইকারি ক্রয় করে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার আড়তগুলোতে পাঠিয়ে থাকেন।

Model Hospital

এছাড়াও স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে নিয়ে বিক্রি করেন বিভিন্ন জেলার আড়তে। তবে শেষ দিকে এসে পাইকারের দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলায় এ বছর মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে ২৯০ হেক্টর জমিতে। এই উপজেলার মিষ্টি কুমড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়।

ট্যাগস :

হাজীগঞ্জের রাস্তায় পড়ে আছে মিষ্টি কুমড়া, দেখা নেই পাইকারের

আপডেট সময় : ১০:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিভিন্ন রাস্তায় পড়ে আছে মিষ্টি কুমড়া। পাইকারের দেখা না মিলায় দাম না পেয়ে হতাশ কৃষকরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় চাহিদা নেই বললেই চলে। যে কারনে গত প্রায় ১৫ দিন এভাবেই কুমড়ার স্তুপ দিয়ে রাখতে দেখা যায়।

চলতি বছর হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৩শ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার অলিপুর, সাদ্রা, জাকনী, সমেশপুর গ্রামের মাঠজুড়ে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এ বছর বর্ষার পানি দেরীতে নামার কারণে জমিগুলো আবাদ একটু দেরিতে হয়েছে। এখন প্রতিটি জমিতেই মিষ্টি কুমড়ার সমাহার দেখা যায়।

উত্তর অলিপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল আলম জানান, আমরা প্রতিবছর বর্ষার শেষ দিকে এসে কচুরিপানা স্তূপ করে রাখি। পানি কমলে ওই কচুরিপানার স্তূপে মাটি দিয়ে লাগানো হয় মিষ্টি কুমড়ার চারা। গত কয়েক বছর এই পদ্ধতিতে মিষ্টি কুমড়া ও লাউ আবাদ করে আসছেন। আবাদের পরে কোন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ফলন ভাল হয়েছে। এ বছর ১০/১২ টাকা কেজিতে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে হচ্ছে যা আমাদের খরচও উঠছে না।

দক্ষিণ বলাখাল গ্রামের কৃষক মহসিন ও জসিম উদ্দিন জানান, আমরা এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছি। সপ্তাহে দুই দিন মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে পারছি । একদিনের উঠানো মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। শ্রমিকদের নিয়ে জমি থেকে কুমড়া কেটে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে এনে স্তূপ করেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব মিষ্টি কুমড়া পাইকারি ক্রয় করে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার আড়তগুলোতে পাঠিয়ে থাকেন।

Model Hospital

এছাড়াও স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে নিয়ে বিক্রি করেন বিভিন্ন জেলার আড়তে। তবে শেষ দিকে এসে পাইকারের দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলায় এ বছর মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে ২৯০ হেক্টর জমিতে। এই উপজেলার মিষ্টি কুমড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়।