চাঁদপুরের কচুয়ার ধর্ষণের শিকার হয়ে বাকপ্রতিবন্ধী নারী ফাতেমা আকতার (৪২) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সন্তান প্রসবের পর তিনি মারা যান। তবে নবজাতক শিশুটি জীবিত আছে।

বোরবার সকালে উপজেলার আশ্রাফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মেহেদী হাসান প্রদীপকে (২০) গ্রেপ্তার করে। মেহেদী হাসান প্রকাশ প্রদীপ উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের আ. রহিমের ছেলে। নিহত বাকপ্রতিবন্ধী নারী ফাতেমা একই গ্রামের শেখ ফরিদের বোন।
জানা যায়, গত ২০২৪ সলে এপ্রিল মাসে ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে ফাতেমাকে বিয়ের জন্য পারিবারিক চাপ দেয়া হয়।
বিয়ে না করায় ৩ মার্চ রাতে নিহত বাকপ্রতিবন্ধী ফাতেমার ভাই শেখ ফরিদ কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৩। একই দিন রাতে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান প্রদীপকে আটক করে পুলিশ।

গত ৯ মার্চ বাকপ্রতিবন্ধী ফাতেমার নিজ বাড়ীতে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
মারা যাওয়ার ফাতেমার বড় ভাই শেখ ফরিদ জানান, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মেহেদী হাসান তার বাড়িতে বোনকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে একটি মহল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুল ইসলাম জানান, শিশুর পিতৃত্ব নিশ্চিত করতে নিহত বাকপ্রতিবন্ধীর নারী ফাতেমার ময়নাতদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরে শিশুর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিত্রি পরিচয় সনাক্ত করা হবে।