কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে যাত্রীসেবায় চলাচলকারী আইদি পরিবহনের বাস পরিষেবায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এমন একটি সংবাদ প্রকাশ করে কুমিল্লা কাগজ ওয়েব পেইজ ও প্রিন্ট সংস্করণে।

সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুনের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ রিট শুনানি শেষে এ স্থগিতাদেশ দেন। স্থগিতাদেশের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহমেদ ও মহাসচিব জলিশ আবদুর রব বলেন, রুট পারমিট বিহীন ও সার্ভিসের অনুমতি ছাড়াই সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধভাবে বহিরাগত লোকজনের মাধ্যমে জোরপূর্বক কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে বাস চালিয়ে যাচ্ছে আইদি পরিবহন।
বিষয়টি চলতি বছরের গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে এ রুটে অবৈধভাবে আইদি পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। মহামন্য হাইকোর্ট আমাদের আবেদন যাচাই করে শুনানির মাধ্যমে আইদি পরিবহনের বাস পরিষেবায় স্থগিতাদেশ দেন।
এদিকে আইদি পরিবহনের উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম সুমন প্রিয় চাঁদপুরকে জানান, রিট বা স্থগিতাদেশের কোনো নোটিশ তাদের কাছে আসেনি। বিষয়টি এক ধরণের মিথ্যাচার, এমন মিথ্যাচার অতিতেও করেছে তারা। এবিষয়ে তারাও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন সংবাদে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভের। আইদি যাত্রী ফোরাম বা আইদি লাভাররা বোগদাদ ট্রান্সপোর্টের কঠোর সমালোচনা করে লিখেছেন প্রয়োজনে তারা বোগদাদ বাস বন্ধ করে দিবে।
প্রসঙ্গত. চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) কুমিল্লার জাঙ্গালিয়ায় ফিতা কেটে কুমিল্লা- চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহনের চলাচল উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন, কুমিল্লা মহানগর সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, জেলার সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ রুবেল।
এর পূর্বে ২০২৪ সালের ৬ জুন জগৎপুর থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত চলাচল শুরু করে আইদি পরিবহন। তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আ ক ম বাহার উদ্দিনের দাপটে কুমিল্লা থেকে চলাচলের অনুমতি বঞ্চিত হয় আইদ পরিবহন।
দীর্ঘ ৯ মাস নিজ জেলার সড়কে আইদি যাত্রী পরিষেবায় থাকার পর চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে আইদি পরিবহন চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।