ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে যোগদান করেই ছাত্রী নিয়ে পালালেন স্কুল শিক্ষক!

স্টাফ রিপোটার : রক্ষক যেখানে ভক্ষক, সে প্রবাদটিকে বাস্তবে রুপায়ন করলেন শাহরাস্তির উঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ে সদ্য (এনটিআরসিএ) হতে নিয়োগকৃত শিক্ষক আবদুল আউয়াল। একজন শিক্ষার্থী ইভটিজিং এর শিকার হলে যে শিক্ষক প্রতিহত বা শাসন করবেন, সে শিক্ষক নিজেই যদি ইভটিজিং বা ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

Model Hospital

ঐ শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা পাবে। বিদ্যালয় সূত্রে জানায়, শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপর্ক্ষ (এনটিআরসিএ) হতে গত পহেলা ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং উঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন শিক্ষক আবদুল আউয়াল। এর পুর্বে তিনি ঊঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী শিক্ষক আবদুল আউয়াল উঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি ২০২২ সালের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী হোসনেয়ারা রাফি (১৬) ক্লাস রোল (৪) কে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষক, অভিবাভক, ও বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ মন্তব্য ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রহমত উল্ল্যাহ জানান, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা লজ্জিত ও মর্মাহত। বিদ্যালয়ে যোগদান করেই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, বিষয়টি দু:খজনক। এ বিষয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা হয়, সভায় বিষয়টি সত্য প্রমানিত হয়, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সময় ও বিদ্যালয়ের বাইরে এ ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় শিক্ষক আবদুল আউয়ালকে ভবিষৎতের জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আহসান উল্ল্যাহ চৌধুরী জানান, বিদ্যালয় ভিজিটে যাওয়ার পর বিষয়টি অবগত হয়েছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি আমাকে লিখিতভাবে জানাবেন বলে অবগত করেছেন, কিন্ত অদ্যাবধি কোন জবাব পাইনি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মো: আবদুর রহিম জানান, ঐ শিক্ষকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী করনীয় ঠিক করা হবে। তবে দু“ পক্ষ পারিবারিকভাবে বিষয়টি মেনে নিয়েছে বলে অভিবাভক পক্ষদ্ধয় জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল আউয়াল জানান, শিক্ষার্থীকে নিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ করেছি। বিষয়টি দু“ পক্ষের পরিবার সামাজিক ভাবে আমাদের গ্রহন করেছে। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে যোগদান করেই ছাত্রী নিয়ে পালালেন স্কুল শিক্ষক!

আপডেট সময় : ০৫:২৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

স্টাফ রিপোটার : রক্ষক যেখানে ভক্ষক, সে প্রবাদটিকে বাস্তবে রুপায়ন করলেন শাহরাস্তির উঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ে সদ্য (এনটিআরসিএ) হতে নিয়োগকৃত শিক্ষক আবদুল আউয়াল। একজন শিক্ষার্থী ইভটিজিং এর শিকার হলে যে শিক্ষক প্রতিহত বা শাসন করবেন, সে শিক্ষক নিজেই যদি ইভটিজিং বা ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

Model Hospital

ঐ শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা পাবে। বিদ্যালয় সূত্রে জানায়, শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপর্ক্ষ (এনটিআরসিএ) হতে গত পহেলা ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং উঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন শিক্ষক আবদুল আউয়াল। এর পুর্বে তিনি ঊঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী শিক্ষক আবদুল আউয়াল উঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি ২০২২ সালের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী হোসনেয়ারা রাফি (১৬) ক্লাস রোল (৪) কে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষক, অভিবাভক, ও বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ মন্তব্য ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রহমত উল্ল্যাহ জানান, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা লজ্জিত ও মর্মাহত। বিদ্যালয়ে যোগদান করেই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, বিষয়টি দু:খজনক। এ বিষয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা হয়, সভায় বিষয়টি সত্য প্রমানিত হয়, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সময় ও বিদ্যালয়ের বাইরে এ ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় শিক্ষক আবদুল আউয়ালকে ভবিষৎতের জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আহসান উল্ল্যাহ চৌধুরী জানান, বিদ্যালয় ভিজিটে যাওয়ার পর বিষয়টি অবগত হয়েছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি আমাকে লিখিতভাবে জানাবেন বলে অবগত করেছেন, কিন্ত অদ্যাবধি কোন জবাব পাইনি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মো: আবদুর রহিম জানান, ঐ শিক্ষকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী করনীয় ঠিক করা হবে। তবে দু“ পক্ষ পারিবারিকভাবে বিষয়টি মেনে নিয়েছে বলে অভিবাভক পক্ষদ্ধয় জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল আউয়াল জানান, শিক্ষার্থীকে নিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ করেছি। বিষয়টি দু“ পক্ষের পরিবার সামাজিক ভাবে আমাদের গ্রহন করেছে। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।