নোমান হোসেন আখন্দ : স্বপ্ন দেখছেন স্বাবলম্বী হওয়ার, সে স্বপ্নকে বুকে লালন করে উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার আ: ছাত্তার মজুমদার আনসার ভিডিপির বিভাগীয় প্রশিক্ষনের মাধ্যমে শুরু করেন সূর্যমুখী চাষ । নিজের কোন জমি না থাকলেও টামটা দক্ষিন ইউনিয়নের টামটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ৩০ শতক জমি বর্গা নিয়ে শুরু করেন সূর্যমুখী চাষ।
সম্ভাবনাময় সূর্যমুখী চাষে দেখছেন আশার আলো ফলন এসেছে আশা জাগানিয়া বাম্পার ফলন। সূর্যমুখীর মিষ্টি গন্ধ আর হলুদের সমারোহে আ: ছাত্তার মজুমদার যেন হারিয়ে যান। দিনের আলো ফুরিয়ে যায়, সম্ভাবনাময় সূর্যমুখী ক্ষেত পরিচর্যায়। আনসার ভিডিপির কাজ সেরে তিনি প্রতিনিয়তই নেমে পড়েন, সূর্যমুখী বাগানের পরিচর্যায়। হলুদের সমারোহ আর মাথা উকিঁ দিয়ে দাড়িয়ে থাকা দর্শনীয় সূর্যমুখী ফুলের প্রদর্শনীর বাগান দেখার জন্য প্রতিদিনই এলাকার শত শত লোক ভিড় করছেন ক্ষেতের চারপাশে।
এ বিষয়ে আনসার কোম্পানী কমান্ডার আ: ছাত্তার মজুমদার জানান, আনসার ভিডিপির বিভাগীয় প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ হই। আমার কোন জমি নেই, ৩০ শতক জমি বর্গা নিয়ে নিজে খাটুনি খেটে সূর্যমুখী চাষ করি। এ কাজে আমার সাথে কাজ করেছেন ও সহযোগিতা করেছেন আনসার ভিডিপির সদস্য ইলিয়াছ মজুমদার।
তিনি আরো বলেন, সূর্যমুখী ক্ষেতের দিকে তাকালে যেন মন ভরে যায়। সূর্যমুখী চাষের আগে যে স্বপ্ন নিয়ে চাষ করেছিলাম বাস্তবে তার চেয়ে বেশী, বাম্পার ফলন আশা করছি। বর্তমানে সয়াবিন তেলের যে ঊর্ধ্বগতি, সেজন্য স্বাস্থ্যসন্মত সূর্যমুখী তেল ব্যবহার ও সূর্যমুখী চাষ করার জন্য সবাইর প্রতি আহবান জানান তিনি।
এ দিকে আনসার কোম্পানী কমান্ডার আ: ছাত্তার মজুমদারের সূর্যমুখী ক্ষেত দেখতে টামটা গ্রামে ছুটে যান শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মান্নান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, টিআই তুলসী দেবনাথ, পিন্টু চন্দ্র দাস, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক শাহরাস্তি শাখার ব্যবস্থাপক সোলয়মান মজুমদার, সেকেন্ড অফিসার হায়াতুন নবী প্রমুখ।