স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন এর ৯নং ওয়ার্ডের রনবলিয়া গ্রামের হাজী বাড়ির হাজী মোঃ মুকবুল হোসেনের তিন ছেলের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হয়রানি চেষ্টা করা হচ্ছে, বাড়ির সম্পত্তিগত জের ধরে মিথ্যা মামলা, হামলা হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
দীর্ঘদিন তারা চট্টগ্রামে বসবাস করার কারনে বাড়ির সম্পত্তিগুলো লুটপাট ও দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে একই বাড়ির নুরুল ইসলামের মেঝো ছেলে বিল্লাল হোসেন ওরফে পাঙ্কু বিল্লাল গং।
জানা যায়, হাজী মোঃ মুকবুল হোসেনের তিন ছেলে দীর্ঘদিন বাড়িতে অবস্থান না করায় তাদের সম্পত্তি গুলো একটি পক্ষ দখলের পায়তারা করছে, সম্প্রতি তাদের বাড়ির সম্পত্তির (বি এস খতিয়ান নং ৮২) কিছু অংশে বেড়া দিয়ে অবৈধ দখল এড়ানোর চেষ্টা করায় সক্রিয় হয়ে উঠে নুরুল ইসলামের মেঝে ছেলে বিল্লাল হোসেন ও তার অনুসারীরা। তারা বিভিন্ন অপকৌশলের চেষ্টা করে হাজী মুকবুল হোসেনের ছেলেদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয় এমন কর্মে করার চেষ্টা করছে।
এছাড়াও হাজী মোঃ মুকবুল হোসেনের তিন ছেলের অজান্তে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে,এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিদ্যমান রয়েছে।চট্টগ্রামে হাজী মুকবুল হোসেনের ছেলেরা বসবাস করার কারণে এলাকার মানুষের কোন প্রকার অমঙ্গল হয় এমন কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু সম্পত্তিগত জের ধরে নুরুল ইসলামের মেঝো ছেলে বিল্লাল হোসেন নতুন কলা-কৌশলের ছক আঁকার পরিকল্পনা তিল পরিমাণ কমতি না রেখে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে হাজী মুকবুল হোসেনের তিন ছেলে মানবেতর জীবনযাপন করছে, তাদের কড়া আকরাসল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ ও অন্যান্য আরও গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ কয়েকদফা দেন-দরবার করলে সমাধানে আসতে পারেননি নুরুল ইসলামের মেঝ ছেলে বিল্লাল হোসেনের কারণে এমনটি অভিযোগ করেন হাজী মুকবুল হোসেনের ছেলেরা।
এ বিষয়ে হাজী মুকবুল হোসেনের ছেলেরা বলেন,আমরা শান্তিপ্রিয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে চাই, পেশাগত কারণে আমরা সবাই বাড়িতে তেমন যাওয়া হয়নি, থাকা হয়নি, এ সুযোগে একটি চক্র কাজে লাগিয়ে, তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি চেষ্টা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে হাজী মুকবুল হোসেনের ছেলেরা বেকায়দায় পড়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে নুরুল ইসলামের মেঝো ছেলে বিল্লাল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।