ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুরে ১৯২ গ্রামীণ সড়ক

বন্যায় চাঁদপুরের ছয় উপজেলায় ১৯২টি গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার কচুয়া, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, সদর ও হাইমচরের ৪৪টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৪০ কোটি টাকা। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

Model Hospital

গত কয়েকদিন বন্যা দুর্গত শাহরাস্তি, কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ গ্রামীণ পাকা সড়কে পানি উঠেছে। এখন কিছুটা কমলেও সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যে কারণে এ তিন উপজেলার অধিকাংশ সড়ক পানির নিচে। সড়কের ওপর দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ায় এবং যানবাহন চলতে গিয়ে সড়কগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যার ফলে সড়কগুলোর পাশের মাটি নরম হয়ে ভেঙে পড়ছে। কিছু স্থানে সড়কের পাশে থাকা বড় বড় গাছ উল্টে পড়েছে। এতে সড়কের পাশে বড় গর্ত সৃষ্ট হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বন্যা ও জলাবদ্ধতায় সদরে ১২টি, হাইমচরে ১০টি, হাজীগঞ্জ ৪৫টি, কচুয়ায় ২২টি, শাহরাস্তিতে ৫৩টি এবং ফরিদগঞ্জে ৫০টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৬ উপজেলায় কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৪টি।

কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের পিপলকরা গ্রামের কৃষক শহীদ উল্লাহ বলেন, বানের পানিতে সড়কের পাশাপাশি আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গর্ত হওয়ার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

শাহরাস্তি উপজেলার উনকিলা গ্রামের মনির হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় বানের পানিতে বহু সড়ক তলিয়ে গেছে। এসব সড়ক ভেঙে এখন বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে কিছু সড়ক আগ থেকে ভাঙা ছিল। এখন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ঢালীরঘাট-ফরক্কাবাদ সড়কের বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম খান বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সড়ক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমিন মাটি নরম হয়ে বড় বড় গাছ উল্টে পড়েছে। একটি গাছ উল্টে আমার বসতঘরের ওপরে পড়ে। প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও গাছটি কেউ কেটে অপসারণ করেনি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানিকরাজ গ্রামের মোক্তার হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের পাশের অংশগুলো বেশি ভেঙেছে। কিছু এলাকায় গাছ উল্টে সড়কে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান কবির বলেন, বন্যার পানি এখনো পুরো নামেনি। আমরা গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্টের ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করিনি। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছি। এ পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। একই সঙ্গে আমরা এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও কালভার্ট মেরামতের সম্ভব্য ব্যয় (প্রাক্কলন) তৈরি করছি। কিছু স্থানে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে।

ট্যাগস :

কচুয়ায় শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দেখা দিয়েছে কৃত্রিম বন্যা

৪০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুরে ১৯২ গ্রামীণ সড়ক

আপডেট সময় : ১১:০৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বন্যায় চাঁদপুরের ছয় উপজেলায় ১৯২টি গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার কচুয়া, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, সদর ও হাইমচরের ৪৪টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৪০ কোটি টাকা। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

Model Hospital

গত কয়েকদিন বন্যা দুর্গত শাহরাস্তি, কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ গ্রামীণ পাকা সড়কে পানি উঠেছে। এখন কিছুটা কমলেও সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যে কারণে এ তিন উপজেলার অধিকাংশ সড়ক পানির নিচে। সড়কের ওপর দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ায় এবং যানবাহন চলতে গিয়ে সড়কগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যার ফলে সড়কগুলোর পাশের মাটি নরম হয়ে ভেঙে পড়ছে। কিছু স্থানে সড়কের পাশে থাকা বড় বড় গাছ উল্টে পড়েছে। এতে সড়কের পাশে বড় গর্ত সৃষ্ট হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বন্যা ও জলাবদ্ধতায় সদরে ১২টি, হাইমচরে ১০টি, হাজীগঞ্জ ৪৫টি, কচুয়ায় ২২টি, শাহরাস্তিতে ৫৩টি এবং ফরিদগঞ্জে ৫০টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৬ উপজেলায় কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৪টি।

কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের পিপলকরা গ্রামের কৃষক শহীদ উল্লাহ বলেন, বানের পানিতে সড়কের পাশাপাশি আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গর্ত হওয়ার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

শাহরাস্তি উপজেলার উনকিলা গ্রামের মনির হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় বানের পানিতে বহু সড়ক তলিয়ে গেছে। এসব সড়ক ভেঙে এখন বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে কিছু সড়ক আগ থেকে ভাঙা ছিল। এখন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ঢালীরঘাট-ফরক্কাবাদ সড়কের বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম খান বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সড়ক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমিন মাটি নরম হয়ে বড় বড় গাছ উল্টে পড়েছে। একটি গাছ উল্টে আমার বসতঘরের ওপরে পড়ে। প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও গাছটি কেউ কেটে অপসারণ করেনি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানিকরাজ গ্রামের মোক্তার হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের পাশের অংশগুলো বেশি ভেঙেছে। কিছু এলাকায় গাছ উল্টে সড়কে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান কবির বলেন, বন্যার পানি এখনো পুরো নামেনি। আমরা গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্টের ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করিনি। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছি। এ পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। একই সঙ্গে আমরা এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও কালভার্ট মেরামতের সম্ভব্য ব্যয় (প্রাক্কলন) তৈরি করছি। কিছু স্থানে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে।