সজীব খান : মার্চ এপ্রিল ২ মাস চাঁদপুর পদ্মা মেঘনা নদীতে জাটকা সংরক্ষণ অভিযানে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার প্রতিজন জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ দেন। যা দেশের স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করে থাকেন। চাল বিতরণের জন্য প্রতি ইউনিয়নে একজন করে ট্যাগ অফিসার রয়েছে। ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করার জন্য বিধিমালা রয়েছে।
সরকার জেলেরা ২ মাস বেকার থাকার করনে তাদের কথা চিন্তা করে জেলে কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ করে আসছেন।
কিন্তু চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের জেলেরা এখনো এক মাসের জেলে কার্ডের চাল পায়নি। গত ১৮ মে কল্যাণপুরের জেলেদের জেলে কার্ডের চাল বিতরণের কথা থাকলে ও এখন পর্যন্ত নির্ধারিত কোন জেলেই চাল পায়নি বলে জানা গেছে।
কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর ৪টন চাল আত্মসাৎতের অভিযোগের কারনে তখন জেলে কার্ডের চাল বিতরণ বন্ধ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ইউএনওর নির্দেশে কল্যাণপুরের দুটি গোডাউন পুলিশের উপস্থিতিতে তালা বন্ধ করে সিলগালা করা হয়। এরপর থেমে যায় কল্যাণপৃুরের জেলে কার্ডের চাল বিতরণ।
দীর্ঘ একমাসের ও অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ও আইনি জটিলতার কারনে এখনো জেলে কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জেলেদের অপরাধ কি, তারা কেন তাদের চাল পাওয়া থেকে এখনো বিরত রয়েছে। এমন অভিযোগ ও জেলেরা করে যাচ্ছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বিয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। চাল বিতরণের জন্য মামলার আইউও আদালতে আবেদন করেছে। অনুমতি আসলেই চাল বিতরণ করা সম্ভব হবে।
কল্যাণপুরের জেলারা অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান চাল বিক্রি করে থাকলে তার বিচার হবে, দেশে আইন রয়েছে, কিন্তু আমাদের জেলে কার্ডের চাল বিতরণ করে দেওয়া হোক। এ জন্য কল্যাণপুরের জেলেরা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।