ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব উত্তরে লাল শাক চাষে লাভবান উদ্যোক্তা আতাউর রহমান

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌরসভার ওঠারচর গ্রামের তরুন উদ্যোক্তা মো. আতাউর রহমান সরকার। সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সপ্ন দেখছে তিনি। তিনি চলতি মৌসুমে ৪৫ শতক জমিতে লাল শাক চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লাল শাক বিক্রি করে বেশ লাভবান হবেন বলে জানান আতাউর রহমান সরকার।

Model Hospital

উপজেলা কৃষি দপ্তরের সূত্র মতে, মতলব উত্তর উপজেলায় কৃষি খাতে নিরব বিপ্লব ঘটেছে। এক সময় চাষিরা শুধু ধান চাষ করতো। কিন্তু এখন স্থানীয় অনেক কৃষকই আধুনিক পদ্ধতিতে নানা জাতের লাল শাক উৎপাদন করছে। আর সেখান থেকে বীজ উৎপাদন করে আয় করছে লাখ লাখ টাকা। লাভের মুখ দেখায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই লাল শাকের বীজ উৎপাদন।

জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলায় প্রায় ১৩০ হেক্টর জমিতে এ বছর উচ্চফলনশীল লাল শাকের আবাদ করা হয়েছে। পরে এসব শাক থেকে বীজ উৎপাদন করা হবে।

লাল শাক চাষি কৃষক ও তরুন উদ্যোক্তা মো. আতাউর রহমান সরকার বলেন, আমিও আগে আমার এই জমিতে ধান চাষ করতাম। কিন্তু এভাবে যে লাল শাকের বীজ উৎপাদন করে লাভবান হওয়া যায়, তা কখনো ভাবিনি। এলাকার অন্য কৃষকদের দেখে আমিও বীজ উৎপাদন শুরু করি। যদিও শুরুতে শুধুমাত্র ২৪ শতক জমিতে চাষ করেছিলাম, এখন ৪৫ শতক জমিতে চাষ করি। আমার খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা। পাশাপাশি ধনিয়া, মুলা, ঢেঁড়স এবং ধান চাষ করেছি অন্য জমিতে। এই বীজ উৎপাদনে সুবিধা হচ্ছে এতে বেশি সময় লাগেনা। আবার পুঁজিও খুব কম। কিন্তু লাভ অনেক বেশি।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, লাল শাক ও বীজ উৎপাদন বদলে দিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। এসব গ্রামের কৃষকরা এখন লাল শাক ও বীজ উৎপাদনে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। এছাড়া কৃষিকাজের ক্ষেত্রে তাদের যে ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তার সবটুকুই আমাদের কাছ থেকে পায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পোষা প্রাণীর সেবা দানের অন্যতম প্রতিষ্ঠান শাহরাস্তির এগ্রো সেবা ডট কম

মতলব উত্তরে লাল শাক চাষে লাভবান উদ্যোক্তা আতাউর রহমান

আপডেট সময় : ১২:২০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌরসভার ওঠারচর গ্রামের তরুন উদ্যোক্তা মো. আতাউর রহমান সরকার। সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সপ্ন দেখছে তিনি। তিনি চলতি মৌসুমে ৪৫ শতক জমিতে লাল শাক চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লাল শাক বিক্রি করে বেশ লাভবান হবেন বলে জানান আতাউর রহমান সরকার।

Model Hospital

উপজেলা কৃষি দপ্তরের সূত্র মতে, মতলব উত্তর উপজেলায় কৃষি খাতে নিরব বিপ্লব ঘটেছে। এক সময় চাষিরা শুধু ধান চাষ করতো। কিন্তু এখন স্থানীয় অনেক কৃষকই আধুনিক পদ্ধতিতে নানা জাতের লাল শাক উৎপাদন করছে। আর সেখান থেকে বীজ উৎপাদন করে আয় করছে লাখ লাখ টাকা। লাভের মুখ দেখায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই লাল শাকের বীজ উৎপাদন।

জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলায় প্রায় ১৩০ হেক্টর জমিতে এ বছর উচ্চফলনশীল লাল শাকের আবাদ করা হয়েছে। পরে এসব শাক থেকে বীজ উৎপাদন করা হবে।

লাল শাক চাষি কৃষক ও তরুন উদ্যোক্তা মো. আতাউর রহমান সরকার বলেন, আমিও আগে আমার এই জমিতে ধান চাষ করতাম। কিন্তু এভাবে যে লাল শাকের বীজ উৎপাদন করে লাভবান হওয়া যায়, তা কখনো ভাবিনি। এলাকার অন্য কৃষকদের দেখে আমিও বীজ উৎপাদন শুরু করি। যদিও শুরুতে শুধুমাত্র ২৪ শতক জমিতে চাষ করেছিলাম, এখন ৪৫ শতক জমিতে চাষ করি। আমার খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা। পাশাপাশি ধনিয়া, মুলা, ঢেঁড়স এবং ধান চাষ করেছি অন্য জমিতে। এই বীজ উৎপাদনে সুবিধা হচ্ছে এতে বেশি সময় লাগেনা। আবার পুঁজিও খুব কম। কিন্তু লাভ অনেক বেশি।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, লাল শাক ও বীজ উৎপাদন বদলে দিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। এসব গ্রামের কৃষকরা এখন লাল শাক ও বীজ উৎপাদনে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। এছাড়া কৃষিকাজের ক্ষেত্রে তাদের যে ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তার সবটুকুই আমাদের কাছ থেকে পায়।