নিজস্ব প্রতিনিধি : ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। তবে পদ্মা-মেঘনায় প্রত্যাশিত ইলিশ না পেলেও পাঙাশ পেয়ে জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে।
চাঁদপুর বড়স্টেশন ইলিশ আড়তগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর পাঙাশ নিয়ে আসছেন জেলেরা। চড়া দামে বিক্রি করে খুশি ব্যবসায়ীরাও। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি অনেকটাই পাঙাশ বিক্রি করে পুষিয়ে নিচ্ছেন তারা।
শনিবার (২০ নভেম্বর) বড়স্টেশন মাছ ঘাটে দেখা গেছে, প্রতিটি আড়তদারের কাছে পাঙাশের ছোট বড় স্তূপ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দে পাঙাশ কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। বলা চলে ইলিশের পাশাপাশি পাঙাশ মাছে সরগরম চাঁদপুর মাছঘাট।
মাছঘাটে জেলে রফিকুল ও মালেক বলেন, ইলিশের জালে এখন প্রতিদিন পাঙাশ উঠছে। পদ্মা-মেঘনায় তেমন ইলিশ না পেলেও এখন নদীর পাঙাশ পাওয়া যাচ্ছে। আজ মাছঘাটে বড় একটি পাঙাশ মাছ ১৮ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। নদীর পাঙাশ চড়া দামে ঘাটে বিক্রি হয়। গত কয়েক বছরে এত পাঙাশ চোখে দেখিনি। ইলিশের বদলে পাঙাশ পেয়ে আমরা খুশি।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর মাছঘাটে প্রচুর পাঙাশ আসছে। প্রতি কেজি পাঙাশ ৫৫০-৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ২২ দিনের অভিযানে জেলেরা নদীতে মাছ না ধরায় বড় বড় পাঙাশ পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি এখন প্রতিদিন বড় আকারের পাঙাশ পাওয়া যাবে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হয়েছে। এতে করে নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে এবার জেলেদের জালে প্রচুর পাঙাশ ধরা পড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় আগামীতে নদীতে আরও মাছ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন এই মৎস্য কর্মকর্তা।