ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব উত্তরে ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা; ভোট প্রার্থনায় নারীদের কদর

মনিরুল ইসলাম মনির : মতলব উত্তরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনায় কদর বেড়েছে নারী কর্মী ও সমর্থকদের। প্রার্থীর পক্ষে প্রতীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারী ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন তাঁরা।

প্রচারণার জন্য তাঁদের কেউ কেউ পারিশ্রমিক পান। আবার অনেকেই দলীয় কিংবা দূর সম্পর্কের আত্মীয়তার টানে প্রচারণায় নেমেছেন। তবে প্রচারকর্মীদের টাকা নেয়া-দেয়ার বিষয়টি কেউ স্বীকার করতে চায়নি।

জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থীদের প্রচারণায় ও ভোট প্রার্থনায় পুরুষদের পাশাপাশি নারী কর্মী ও সমর্থকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ভোটগ্রহণের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রচারণায় নারী কর্মী সমর্থকদের সংখ্যা ততই বাড়ছে। প্রতিদিন সকালে ২০ থেকে ২৫ জন নারী কর্মী প্রার্থীর বাড়িতে বা নির্বাচনী অফিসে একত্রিত হন। এর পর তাঁরা দল বেঁধে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন।

মোহনপুর ইউনিয়নের শামসুন্নাহার, আম্বিয়া খাতুন, সুফিা বেগম’সহ আট-দশজন নারী কর্মী জানান, মজুরি অন্যান্য কাজের চেয়ে কিছু কম হলেও শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়ায় তাঁরা প্রার্থীর হয়ে প্রচারণার কাজ বেছে নিয়েছেন।

Model Hospital

তাঁরা আরও জানান, সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁরা নিজ নিজ প্রার্থীর প্রতীক পৌঁছে দিয়ে ভোট চাইছেন। এ জন্য তাঁদেরকে প্রতিদিন ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রার্থীর বাড়িতে চা-নাস্তাসহ দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে তাঁদের জন্য।

সুলতানাবাদ ইউনিয়েেনর বাসিন্দা তোফায়েল বলেন, নারী কর্মীরা গ্রাম বা পাড়া মহল্লায় বাসাবাড়িতে ঢুকে প্রচারকাজ চালাতে পারেন, এ জন্য নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থীদের কাছে নারী কর্মী ও সমর্থকদের কদর বেড়েছে।

ওই ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা সাহেব আলী বলেন, পুরুষ কর্মীরা বাসাবাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু নারী কর্মীরা সংকোচ ছাড়াই বসতবাড়ির ভেতরে ঢুকে নিজ প্রার্থীর হয়ে নারী ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে পারেন। এ জন্য প্রার্থীরাও তাঁদের পক্ষে নারী কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে সব প্রার্থীই কমবেশি নারী কর্মীদের দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।

মোহনুপর ইউপিতে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী আলমগীর কবিরাজ জানান, তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় পুরুষ সমর্থক ছাড়াও নারী আত্মীয়স্বজনও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সুলতানাবাদ ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক খোকন বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় নারীরাও নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন তো আছেই।

ট্যাগস :

১০ দিনেও উদঘাটন হয়নি চাঁদপুরে আবাসিক হোটেলে রুবেলের মৃত্যুর রহস্য

মতলব উত্তরে ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা; ভোট প্রার্থনায় নারীদের কদর

আপডেট সময় : ০৩:০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

মনিরুল ইসলাম মনির : মতলব উত্তরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনায় কদর বেড়েছে নারী কর্মী ও সমর্থকদের। প্রার্থীর পক্ষে প্রতীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারী ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন তাঁরা।

প্রচারণার জন্য তাঁদের কেউ কেউ পারিশ্রমিক পান। আবার অনেকেই দলীয় কিংবা দূর সম্পর্কের আত্মীয়তার টানে প্রচারণায় নেমেছেন। তবে প্রচারকর্মীদের টাকা নেয়া-দেয়ার বিষয়টি কেউ স্বীকার করতে চায়নি।

জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থীদের প্রচারণায় ও ভোট প্রার্থনায় পুরুষদের পাশাপাশি নারী কর্মী ও সমর্থকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ভোটগ্রহণের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রচারণায় নারী কর্মী সমর্থকদের সংখ্যা ততই বাড়ছে। প্রতিদিন সকালে ২০ থেকে ২৫ জন নারী কর্মী প্রার্থীর বাড়িতে বা নির্বাচনী অফিসে একত্রিত হন। এর পর তাঁরা দল বেঁধে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন।

মোহনপুর ইউনিয়নের শামসুন্নাহার, আম্বিয়া খাতুন, সুফিা বেগম’সহ আট-দশজন নারী কর্মী জানান, মজুরি অন্যান্য কাজের চেয়ে কিছু কম হলেও শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়ায় তাঁরা প্রার্থীর হয়ে প্রচারণার কাজ বেছে নিয়েছেন।

Model Hospital

তাঁরা আরও জানান, সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁরা নিজ নিজ প্রার্থীর প্রতীক পৌঁছে দিয়ে ভোট চাইছেন। এ জন্য তাঁদেরকে প্রতিদিন ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রার্থীর বাড়িতে চা-নাস্তাসহ দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে তাঁদের জন্য।

সুলতানাবাদ ইউনিয়েেনর বাসিন্দা তোফায়েল বলেন, নারী কর্মীরা গ্রাম বা পাড়া মহল্লায় বাসাবাড়িতে ঢুকে প্রচারকাজ চালাতে পারেন, এ জন্য নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থীদের কাছে নারী কর্মী ও সমর্থকদের কদর বেড়েছে।

ওই ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা সাহেব আলী বলেন, পুরুষ কর্মীরা বাসাবাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু নারী কর্মীরা সংকোচ ছাড়াই বসতবাড়ির ভেতরে ঢুকে নিজ প্রার্থীর হয়ে নারী ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে পারেন। এ জন্য প্রার্থীরাও তাঁদের পক্ষে নারী কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে সব প্রার্থীই কমবেশি নারী কর্মীদের দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।

মোহনুপর ইউপিতে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী আলমগীর কবিরাজ জানান, তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় পুরুষ সমর্থক ছাড়াও নারী আত্মীয়স্বজনও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সুলতানাবাদ ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক খোকন বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় নারীরাও নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন তো আছেই।