ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনেও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

মাসুদ হোসেন : আসন্ন ১৭ অক্টোবর চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মুহুর্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকাগুলো।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক পেয়ে প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ৪৮ প্রার্থী। সেই থেকে শনিবার ১৫ অক্টোবর ছিল প্রচারণার শেষ দিন। প্রচার প্রচারনার শেষ দিনেও জেলার ৮ উপজেলার প্রার্থীরা শেষ বারের মত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কুশল বিনিময় করে তাদের কাছ থেকে ভোট প্রার্থনা করেন। এবং তাদেরকে দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের কাছে কাছে দিনভর ছিল প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ। প্রতিটি পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের সাথে শেষবারের মতো মতবিনিময় করেছেন প্রার্থীরা।
প্রত্যেক প্রার্থী নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে নানামুখি কৌশল অবলম্বন করেছেন। দোয়া ও ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি উন্নয়নের বুলি ও প্রতিশ্রুতি দিতে কম নেই কারো। জেলার ৮টি ওয়ার্ডে এক হাজার ২৫৯ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটোয়ারী মোবাইল প্রতীক ও আনারস প্রতীকে মোঃ জাকির হোসেন প্রধানীয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচনের মাঠ চষছেন ৩৪ জন সাধারন সদস্য (পুরুষ) ও ১২ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।
এদের মধ্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড (চাঁদপুর সদর) থেকে ৭ জন, ২নং ওয়ার্ড (হাইমচর) থেকে ২ জন, ৩নং ওয়ার্ড (ফরিদগঞ্জ) থেকে ৪ জন, ৪নং ওয়ার্ড (মতলব দক্ষিণ) থেকে ৪ জন, ৫নং ওয়ার্ড (মতলব উত্তর) থেকে ৪ জন, ৬নং ওয়ার্ড (কচুয়া) থেকে ৫ জন, ৭নং ওয়ার্ড (হাজীগঞ্জ) থেকে ৩ জন ও ৮নং ওয়ার্ড (শাহরাস্তি) থেকে ৫ জন সাধারণ সদস্য (পুরুষ) এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে ১নং ওয়ার্ড (সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর) থেকে ৩ জন, ২নং ওয়ার্ড (মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কচুয়া) থেকে ৪ জন ও ৩নং ওয়ার্ড (হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি) থেকে ৫ জন। তবে এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন কারনে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।  কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা চাই একজন প্রকৃত ব্যক্তি। যার দ্বারা হবে এলাকার উন্নয়ন। সৎ ও নির্লোভ ব্যক্তি জয়ী হলে সরকারের দেয়া বরাদ্দগুলো সুষ্ঠুভাবে বন্টন হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। এদিকে যেকোন পরিস্থিতিতে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা চান ভোটাররা।
এদিকে সুষ্ঠু ভোটের নিরাপত্তার বিষয়ে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার আট উপজেলার ৮টি ভোটকেন্দ্রে ১৬টি বুথে ৩টি করে সর্বমোট ৪৮টি সি সি ক্যামেরা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সেই সাথে প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
ট্যাগস :

ভাঙল মায়ার ত্রাসের রাজত্ব!

চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনেও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
মাসুদ হোসেন : আসন্ন ১৭ অক্টোবর চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মুহুর্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকাগুলো।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক পেয়ে প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যসহ ৪৮ প্রার্থী। সেই থেকে শনিবার ১৫ অক্টোবর ছিল প্রচারণার শেষ দিন। প্রচার প্রচারনার শেষ দিনেও জেলার ৮ উপজেলার প্রার্থীরা শেষ বারের মত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কুশল বিনিময় করে তাদের কাছ থেকে ভোট প্রার্থনা করেন। এবং তাদেরকে দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের কাছে কাছে দিনভর ছিল প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ। প্রতিটি পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের সাথে শেষবারের মতো মতবিনিময় করেছেন প্রার্থীরা।
প্রত্যেক প্রার্থী নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে নানামুখি কৌশল অবলম্বন করেছেন। দোয়া ও ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি উন্নয়নের বুলি ও প্রতিশ্রুতি দিতে কম নেই কারো। জেলার ৮টি ওয়ার্ডে এক হাজার ২৫৯ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটোয়ারী মোবাইল প্রতীক ও আনারস প্রতীকে মোঃ জাকির হোসেন প্রধানীয়া প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচনের মাঠ চষছেন ৩৪ জন সাধারন সদস্য (পুরুষ) ও ১২ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।
এদের মধ্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড (চাঁদপুর সদর) থেকে ৭ জন, ২নং ওয়ার্ড (হাইমচর) থেকে ২ জন, ৩নং ওয়ার্ড (ফরিদগঞ্জ) থেকে ৪ জন, ৪নং ওয়ার্ড (মতলব দক্ষিণ) থেকে ৪ জন, ৫নং ওয়ার্ড (মতলব উত্তর) থেকে ৪ জন, ৬নং ওয়ার্ড (কচুয়া) থেকে ৫ জন, ৭নং ওয়ার্ড (হাজীগঞ্জ) থেকে ৩ জন ও ৮নং ওয়ার্ড (শাহরাস্তি) থেকে ৫ জন সাধারণ সদস্য (পুরুষ) এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে ১নং ওয়ার্ড (সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর) থেকে ৩ জন, ২নং ওয়ার্ড (মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কচুয়া) থেকে ৪ জন ও ৩নং ওয়ার্ড (হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি) থেকে ৫ জন। তবে এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন কারনে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।  কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা চাই একজন প্রকৃত ব্যক্তি। যার দ্বারা হবে এলাকার উন্নয়ন। সৎ ও নির্লোভ ব্যক্তি জয়ী হলে সরকারের দেয়া বরাদ্দগুলো সুষ্ঠুভাবে বন্টন হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। এদিকে যেকোন পরিস্থিতিতে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা চান ভোটাররা।
এদিকে সুষ্ঠু ভোটের নিরাপত্তার বিষয়ে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার আট উপজেলার ৮টি ভোটকেন্দ্রে ১৬টি বুথে ৩টি করে সর্বমোট ৪৮টি সি সি ক্যামেরা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সেই সাথে প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।