ড. নারায়ন বৈদ্য | মাষ্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আমি ২০০৮ সালে ‘জনসংখ্যা অর্থনীতি’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলাম। একটি দেশের সর্বপরি বিশ্বের জনসংখ্যা সম্পর্কে সবধরণের আলোচনা গ্রন্থটিতে সন্নিবেশিত রয়েছে। উক্ত গ্রন্থের একটি অধ্যায় ছিল ‘অভিবাসন’। মানুষের জীবন চক্র হলো ৬০ থেকে ৭০ বছর। এ সময় কালে মানুষ যখন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ থেকে অন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য গমন করে তখন তাকে অভিবাসন বলে। এরূপ গমণের কারণ বিভিন্ন হতে পারে। উন্নত জীবনের আশায় হতে পারে, রাজনৈতিক নিপীড়নের কারণে হতে পারে, ধর্মীয় নির্যাতনের কারণেও হতে পারে। অথবা রাষ্ট্রীয় নীতি কর্তৃক যে কোন জনগোষ্ঠীকে যখন স্লো পয়জন এর ন্যায় নিষ্পেষিত বা নির্যাতীত হতে হয় তখন ঐ জনগোষ্ঠী নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে বসবাসের জন্য গমন করে। তখন তাকে অভিবাসন বলে। কিন্তু রাষ্ট্রের একটি গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় যখন রাষ্ট্র কর্তৃক গণহত্যার শিকার হয় অথবা ঐ গোষ্ঠীর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং বিভিন্নভাবে মানবিক বিপর্যয় ঘটায় তখন নির্যাতীত জনগোষ্ঠী অন্য দেশে প্রাণ ও সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য আশ্রয় নিলে তবে ঐ আশ্রয়প্রার্থীদেরকে শরণার্থী বলে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালিরা এরূপ হত্যা, নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। এ দেশের নিরীহ জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ফলে লক্ষ লক্ষ বাঙালি প্রাণ বাঁচানোর জন্য ও সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। বাঙালীদের এরূপ ভারতে আশ্রয় গ্রহণকে অভিবাসন বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছিল শরণার্থী। জনসংখ্যা অর্থনীতির সংজ্ঞায় অভিবাসনকারী ও শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাংশে অবস্থিত বার্মা তথা মায়ানমার নামক দেশটির সংখ্যাগরিষ্ট সম্প্রদায় হয় বৌদ্ধ। বৌদ্ধ ধর্ম হয় শান্তির ধর্ম। এখানে উগ্রতার কোন স্থান নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে যে, দেশটি তে দীর্ঘকাল ধরে সামরিক শাসন বজায় থাকার কারণে মানবিকতা ও সহনশীলতার অভাব রয়েছে। বিশাল মায়ানমার অঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাত্র তিন-চারটি অঞ্চলে ধর্মীয় সংখ্যালগু তথা মুসলমানদের অবস্থান। শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান ও অগ্রগতিতে এ সব সংখ্যালঘুরা তাদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। তবুও কেন মায়ানমার সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠল তা বুঝা মুশকিল। হয়তো তাদের যুক্তি হতে পারে যে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি (আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, আল মাহাজ সহ বেশ কিছু রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদী দ্বারা তারা হুমকির সম্মুখীন। যদি তা হয় তবে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার প্রয়োজন ছিল। গণহত্যা বা বাড়িঘরে আগুন দিয়ে নয়। আর এর ফলশ্রুতিতে প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে চলে এসেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল টেকনাফ, কঙবাজারে তারা আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের জন্য ক্যাম্প তৈরি করে থাকতে দিয়েছে। আর এর খারাপ প্রভাব গিয়ে পড়ছে এ দেশের সমাজ ব্যবস্থার ওপর। তাছাড়া মায়ানমার সামরিক বাহিনী কর্তৃক বিতাড়িত রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠনগুলো সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ঐ ক্যাম্প সমূহে। যেহেতু ঐ সকল সশস্ত্র সংগঠনগুলোর কাছে বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র রয়েছে সেহেতু ক্যাম্পের ভেতরে এবং ক্যাম্পের বাইরে বিভিন্নভাবে অরাজকতা চালাচ্ছে এ সশস্ত্র সংগঠনগুলো। বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত জাতীয় পত্রিকা বিগত ৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ওপর এ জরিপ পরিচালনা করে। এ জরিপে টেকনাফ ও কঙবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ভয়ানক চিত্র উঠে আসে। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থার সাথে এর কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। তারা শরণার্থী হলেও তাদের জীবনধারা, সমাজ ব্যবস্থা এক অরাজকতামূলক। এদের সাথে বাঙালি জীবন ধারার কোন মিল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অবশ্য কোন কোন ক্ষেত্রে তাদেরকে সাহায্য করছে এনজিও নামক কয়েকটি অর্গানাইজেশন।
কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের সামনে গড়ে উঠা একটি মার্কেটে দোকান রয়েছে অন্ততঃ ২ হাজার। ক্যাম্পের পাশে রয়েছে এমন আরো মার্কেট। এসব মার্কেটে মিলছে অভিজাত কাপড়ের শোরুম, পার্লার, কসমেটিকস্, জুয়েলারি শপ, দামি ব্র্যান্ডের মোবাইল শোরুম। অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে থাকা রোহিঙ্গাদের বিলাসী জীবনের গল্প। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ঐ মার্কেটের ৯০ শতাংশ ক্রেতা খোদ রোহিঙ্গা, পণ্যের বিক্রেতাও রোহিঙ্গা। এছাড়া রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মনোরঞ্জনের জলসা ঘরে রয়েছে নারী ও মদের ব্যবস্থা। সেখানে বসে খেমটা নাচের আসর। জরিপে আরো দেখা যায়, কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশেই রয়েছে বখতিয়ার মার্কেট। এর ভেতরে একটি দোকানের নাম ‘এডি ষ্টোর’। এ দোকানটি পাইকারি। বার্মিজ ও থাই পণ্যে ভরা দোকানটিতে মিলছে পোল মার্ক ব্র্যান্ডের ৮ হাজার টাকা দামের গেঞ্জি। রয়েছে ডাকস্, লন্ডন ব্র্যান্ড, কেঅ্যান্ডজি ব্র্যান্ডের গেঞ্জি। একই মার্কেটের খালেদ ক্লথ ষ্টোরে পাওয়া যায় ১৫ হাজার টাকা দামের লেহেঙ্গা, ১০ হাজার টাকা দামের শাড়ী। শুধু এডি ষ্টোর বা খালেদ ক্লথ ষ্টোর নয়, এমন অনেক দোকান রয়েছে এ মার্কেটে। এ মার্কেটে আছে অন্তত ২৫টি জুয়েলারি শোরুম, ১০টি বিউটি পার্লার, দুইশরও বেশি দামি ব্র্যান্ডের মোবাইল শোরুম। প্রায় প্রতিটি ক্যাম্পের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা চাহিদা সাপেক্ষে আরও দামি কাপড় কিংবা আসবাবপত্র সরবরাহ করেন রোহিঙ্গা ক্লায়েন্টদের। বখতিয়ার মার্কেটের মতো ক্যাম্প ঘিরে গড়ে উঠেছে বালুখালী বলিবাজারসহ অন্তত ৬টি মার্কেট। এসব মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে বিশ্বের নামীদামি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য।
উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে ৭দিন জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এ জরিপে উঠে এসেছে নৃশংসতা আর মাদক ব্যবসাকে পুঁজি করে রোহিঙ্গাদের বিলাসী জীবনের গল্প। উখিয়া, টেকনাফে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর পাশে বিভিন্ন মার্কেটে পাওয়া যায় বিশ্বের নামীদামি ব্র্যান্ডে বিভিন্ন পণ্য। সাদা চোখে রোহিঙ্গাদের কর্মহীন, বেকার মনে হলেও এসব বিলাসী পণ্যের ক্রেতা তারাই। নিরীহ রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে বিশেষ ফায়দা লুটে নিচ্ছে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। তাছাড়া মানবাধিকারের কথা বলে নেপথ্য থেকে তাদের সমর্থন জোগাচ্ছে দেশি-বিদেশি কিছু উন্নয়ন সংস্থা।
৬ নম্বর ক্যাম্পের ঠিক সামনে খাসজমির ওপর গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গাদের বড় একটি বাজার। দেশি-বিদেশি অনেক প্রকারের পণ্য পাওয়া যায় এ বাজারে। অভিযোগ রয়েছে, সশস্ত্র একটি সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় স্থাপিত হয়েছে এ মার্কেট। এখানে অন্তত ৭০০ দোকান রয়েছে। স্থাপনার বাইরে ফুটপাথে দোকানদারি করছে আরো অন্তত ২০০ রোহিঙ্গা। এ মার্কেট থেকেও নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হয়। একই অবস্থা ক্যাম্প-৪ এর সামনে গড়ে ওঠা বাজারেরও। অভিযোগ আছে, এ মার্কেট থেকে আদায় করা চাঁদার টাকা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়। শুধু তাই নয়, ১২ বাই ১২ বর্গফুটের ঘরে রোহিঙ্গাদের বসবাস করার কথা থাকলেও তাদের অনেকেই চার পাঁচজনের জায়গা দখল করে ঘর তৈরি করেছে। পাকা ঘর বানানোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কেউ তা মানছে না। কর্তৃপক্ষও এসব বিষয়ে নীরব। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা একটি ঘটনাই যথেষ্ঠ। এ জরিপ পরিচালনা করার সময় (নভেম্বর-২১) চাঁদা না দেয়ার অপরাধে এক নিরীহ রোহিঙ্গার কান কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা।
এবার আসা যাক জলসা ঘরের গল্প। ক্যাম্প-১২ বি-ব্লকের এক সন্ত্রাসী ফালুর (ছদ্মনাম) বয়স ৩৫ বছর। এরই মধ্যে অফিশিয়ালি ৫টি বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্ত্রীর সংসারে ৩ সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। ৩য় স্ত্রীর কোন সন্তান নেই। ৪র্থ স্ত্রীরও কোন সন্তান নেই। পঞ্চম স্ত্রী ভারতে বসবাস করছেন বলে ক্যাম্পে গুজব রয়েছে। পাঁচজন স্ত্রী থাকার পরও তৃপ্ত নন ফালু। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ক্যাম্পে তার নেতৃত্বে জলসা বসে। ওই জলসায় উপস্থিত থাকে বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের শীর্ষ নেতারা। এমন কি ক্যাম্পে অধিকাংশ হেড মাঝিদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেখানকার কয়েকটি ঘরে বসে বিশেষ বৈঠক। এসব বৈঠকে অংশ নেন ক্যাম্পের শীর্ষ নেতারা। বৈঠক শেষে সেখানে রাখা হয় মনোরঞ্জনের বিশেষ ব্যবস্থা। অথচ এদের অধিকাংশ নেতাদের স্ত্রী রয়েছে একাধিক। কবির উদ্দীন (ছদ্মনাম) একজন শীর্ষ কমান্ডার। তার রয়েছে ৩ স্ত্রী। কমান্ডার মফিজ উদ্দীন ওলি (ছদ্মনাম) এর চার বিয়ের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়। প্রথম স্ত্রী ১৮ নম্বর ক্যাম্পে, দ্বিতীয় স্ত্রী ৫ নম্বর ক্যাম্পে বসবাস করে। সম্প্রতি তিনি আরো দুইটি বিয়ে করেছেন বলে ক্যাম্পে গুজব রয়েছে। কমান্ডার করিমের (ছদ্মনাম) রয়েছে তিন স্ত্রী। একজন মিয়ানমারে, একজন ক্যাম্প-৫ ও আরেকজন ক্যাম্প-১৭ তে বসবাস করে।
জাতীয় একটি পত্রিকা কর্তৃক জরিপ পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা যায়, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই করে নিজদের শক্তি-সামর্থ্য জানান দিচ্ছে ক্যাম্পগুলোতে গড়ে ওঠা সশস্ত্র গ্রুপগুলো। ক্যাম্পের অভ্যন্তরের দোকান ও বাড়ি টার্গেট করে বাড়িয়ে দিচ্ছে চাঁদার হার। পছন্দ অনুযায়ী মেয়েদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করছে। মাঝেমধ্যে সুন্দরী তরুণীদের বিয়েও করছ জোরপূর্বক। সন্ত্রাসীদের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার দুঃসাহস দেখানোর মতো অভিভাবক পাওয়া খুবই বিরল। প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া পরিবারের ওপর নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে টর্চার সেলে সীমাহীন নির্যাতনও করা হয়। প্রতি রাতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ঘরে বসে জলসার আসর। ক্যাম্পের সুন্দরী তরুণীদের নিয়ে আসা হয় সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের মনোরঞ্জনের জন্য। সারারাত ফুর্তি করার পর ভোরের দিকে এসব দুর্বৃত্ত অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। সশস্ত্র গ্রুপ আরসার অনেক সদস্য সুন্দরী তরুণীদের কিছুদিনের জন্য বিয়ে করেন। কিছুদিন পর অন্য কোন সুন্দরী রমণীকে চোখে পড়লে আগের জনকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। এসব সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা গ্রেপ্তার এড়াতে একেক সময় একেক স্ত্রীর বাসায় অবস্থান করে। আবার অনেক অভিভাবক একটু দাপটের সাথে ক্যাম্পে থাকার জন্য সন্ত্রাসীকে মেয়ে বিয়ে দিয়ে থাকে। আর এ বিলাস জীবনের অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে মাদক, অস্ত্র, চোরাচালান এবং ক্যাম্পের অভ্যন্তরে চাঁদাবাজী। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য উন্নয়ন সংস্থাগুলো মোটেই সহযোগিতা করছে না। বিশেষ করে তালিকাভূক্ত অপরাধীদের পরিবারে রেশন সুবিধা বন্ধ করার প্রস্তাব করার পরও উন্নয়ন সংস্থাগুলো তা মানছে না। ফলে সাদা চোখে দেখা কর্মহীন মানুষগুলোর আয় যেমন অধিক তেমনি ভোগের স্তরও বাঙালি মধ্যবিত্তের ওপরে।
লেখক : পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ