ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে মিথ্যা অভিযোগে নাজেহাল রেমিট্যান্স যোদ্ধা মনির

প্রিয় চাঁদপুর রিপোর্ট : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধা মনির হোসেনকে নাজেহালের অভিযোগ। উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের দাদিয়াপাড়া গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির (অবঃ) প্রাথমিক শিক্ষক আব্দুল মবিনের মিথ্যাচারে নাজেহাল ভুক্তভোগী মনির হোসেন গং ও তার পরিবার।
জমির বিবরণীঃ
১।১৯৬৭ সালের দাদিয়াপাড়া মৌজার ১৮ নং খতিয়ানে দাত্রী জবুদা খাতুনের হেবাকৃত দলিলের গ্রহীতা আবুল হোসেনের নিকট ০.৪৫৫০ একর জায়গা হস্তান্তর করেন।
২। দলিল নং-১৫৯৬, রেজিষ্ট্রি তাং-২১/১০/১৯৭০ এ আবুল হোসেনের জমির পরিমাণ ০.৩৯৫০ একর।
৩। দলিল নং ৩২২৫, রেজিষ্ট্রি তাং- ০৭/০৩/১৯৮৪ ইং দানপত্র দলিলে জমির পরিমাণ ০.৪৮০০ একর,
৪। দলিল নং ১৯২৩, রেজিষ্ট্রি তাং- ২৬/০১/১৯৮৩ ইং, জমির পরিমাণ ০.৮৫০০ একর,
৫। দলিল নং ১৯২৪, রেজিষ্ট্রি তাং-২৬/০১/১৯৮৩ ইং, জমির পরিমাণ ০.৮৫০০ একর,
৬। দলিল নং ৫১৭৫, রেজিষ্ট্রি নং ০৯/১১/১৯৮৮ ইং, ০.০৯০০ একর,
৭। দলিল নং ৫১৩০, রেজিষ্ট্রি তাং ০২/১১/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.১৮৫০ একর,
৮। দলিল নং -৪৬৮১, রেজিষ্ট্রি তাং- ২৮/০৯/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.৩৪০০ একর,
৯। দলিল নং ৫১৭৪, রেজিষ্ট্রি তাং- ০৯/১১/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ- ০.১৭০ একর,
১০। দলিল নং- ৫১৭৬, রেজিষ্ট্রি তাং- ০৯/১১/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ -০. ৮৫০০ একর
১১। দলিল নং ৫৭৬৫, রেজিষ্ট্রি তাং ১৩/১২/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.০৮৫০ একর,
১২। দলিল নং ৪৬৮২, রেজিষ্ট্রি তাং- ২৮/০৯/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.১৭০০ একর,
১৩। দলিল নং- ৪৫৪৬, রেজিষ্ট্রি তাং-০৭/০৯/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.২৫০০ একর
সর্বমোট- ৪ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার মালিক খালেক বিন আব্দুল আজিজ প্রকাশ আবুল হোসেন গং। বর্তমানে তার ওয়ারিশগণ দলিল মূলে মালিকানা নিশ্চিত হলেও বাবার সৎ ভাই আব্দুল মবিন গংদের রোষানলে দিশেহারা পুরো ওয়ারিশান পরিবার।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ভূমি দখল ও সম্পত্তিগত বিরোধের এই চলমান সংকট শুরু হয় ১৯৮২ সালে আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে। আব্দুল মবিন মামলার বাদি হয়ে সর্বপ্রথম ১৯৮২ সালে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে জমির দখল বুঝে নিতে মনির হোসেনের পিতা খালেক বিন আব্দুল আজিজ প্রকাশ আবুল হোসেন গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী আব্দুল মবিন গং জমির মালিকানা দাবি করে পুনরায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে সেই সি আর ৮৯/৯৩ মামলাটিও রায় প্রদান করা হয়। সর্বশেষ চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মামলা নং-১৫৯/২০, জমি ও সম্পত্তিগত বিরোধের মামলার রায়টিও বিজ্ঞ আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন বলে দাবি করেন আবুল হোসেনের পুত্র প্রবাসী মনির হোসেন।
প্রবাসী মনির আর্তনাদ করে বলেন, মামলার রায় হবার পরেও আমার পিতা আবুল হোসেনের মালিকানা নিশ্চিত না করে আব্দুল মবিন গং নামে-বেনামে মামলা দিয়ে আবুল হোসেনের ওয়ারিশগণদের নাজেহাল করেই চলছে। সর্বশেষ আমাকে সম্পত্তিগত বিরোধের জন্য হত্যাচেষ্টা করেন আব্দুল মবিন গং। ১৭ আগষ্ট ২০২০ এ হত্যা চেষ্টা মামলা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে দারস্থ হলে, বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। যার মামলা নং সি.আর- ৩০৩/২০২২ইং। তদন্তাধীন বিষয়টি সুরাহা না হলেও আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন সময় নাজেহাল করছে আব্দুল মবিন ও তার ওয়ারিশগণ। আব্দুল মবিনের পুত্র  আলাউদ্দিন আনিস (যিনি যাদবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত) আমাকে হত্যা চেষ্টা করেন। সে মামলার আসামী হয়েও দিব্যি এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তিনি আরও দাবি করেন, সর্বশেষ আব্দুল মবিন গং মিথ্যাচার করে ভুয়ো ও জাল দলিল দিয়ে আমাদের পক্ষে আসা রায়কে তোয়াক্কা না করে এখনও মালিকানা দাবি করা জায়গাগুলো না ছেড়ে দিয়ে উল্টো আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় নিঃস্ব করে দিয়েছেন।
মনির হোসেনের আপন ভাই রবিউল হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, জমির দলিল ও কাগজমূলে নিজের দাবিকৃত সম্পত্তির প্রমাণ না থাকাতে বারংবার স্থানীয় প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করায় তাকে সতর্ক করেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণ। তাছাড়া আমাদেরকে মামলা ও হামলার মাধ্যমে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।
বিগত ১৫ই মার্চ ২০২৩ ইং প্রবাসী মনির হোসেনের নিকট চাঁদা দাবি করেন আব্দুল মবিন গং। যার জন্য মোকাম বিজ্ঞ আমলী আদালতে প্রবাসী মনির নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- সি.আর ৮০/২০২৩ ইং। মামলার বিবরণীতে জানা যায়, বিবাদী মোঃ আলাউদ্দিন (৫০), পিতা মোঃ আবদুল মবিন, মোজাম্মেল হক(৫০), পিতা মৃত আঃ হাই, বেলায়েত হোসেন(৩৪), পিতা আবদুল মবিন, আলাউদ্দিন(৪৪), পিতা মৃত সিদ্দিকুর রহমান বাদীর নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দখলে থাকা জায়গা বসবাসের জন্য এই চাঁদা দাবি করেন তারা। বিবাদীগণ বাদীকে খুন করাও হুমকি দেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ  শহিদ হোসেন জানান, আমরা সব সময় জনগণের পক্ষে কাজ করি। বিজ্ঞ আদালতের রায় বাস্তবায়নে আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।
আরো পড়ুন  রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপিতে ভিজিএফ'র চাল বিতরণ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতি শুক্রবার চাঁদপুরে ৩ শতাধিক অসহায়দের মাঝে খাবার আয়োজন করে আয়াত ফাউন্ডেশন

error: Content is protected !!

শাহরাস্তিতে মিথ্যা অভিযোগে নাজেহাল রেমিট্যান্স যোদ্ধা মনির

আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
প্রিয় চাঁদপুর রিপোর্ট : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধা মনির হোসেনকে নাজেহালের অভিযোগ। উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের দাদিয়াপাড়া গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির (অবঃ) প্রাথমিক শিক্ষক আব্দুল মবিনের মিথ্যাচারে নাজেহাল ভুক্তভোগী মনির হোসেন গং ও তার পরিবার।
জমির বিবরণীঃ
১।১৯৬৭ সালের দাদিয়াপাড়া মৌজার ১৮ নং খতিয়ানে দাত্রী জবুদা খাতুনের হেবাকৃত দলিলের গ্রহীতা আবুল হোসেনের নিকট ০.৪৫৫০ একর জায়গা হস্তান্তর করেন।
২। দলিল নং-১৫৯৬, রেজিষ্ট্রি তাং-২১/১০/১৯৭০ এ আবুল হোসেনের জমির পরিমাণ ০.৩৯৫০ একর।
৩। দলিল নং ৩২২৫, রেজিষ্ট্রি তাং- ০৭/০৩/১৯৮৪ ইং দানপত্র দলিলে জমির পরিমাণ ০.৪৮০০ একর,
৪। দলিল নং ১৯২৩, রেজিষ্ট্রি তাং- ২৬/০১/১৯৮৩ ইং, জমির পরিমাণ ০.৮৫০০ একর,
৫। দলিল নং ১৯২৪, রেজিষ্ট্রি তাং-২৬/০১/১৯৮৩ ইং, জমির পরিমাণ ০.৮৫০০ একর,
৬। দলিল নং ৫১৭৫, রেজিষ্ট্রি নং ০৯/১১/১৯৮৮ ইং, ০.০৯০০ একর,
৭। দলিল নং ৫১৩০, রেজিষ্ট্রি তাং ০২/১১/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.১৮৫০ একর,
৮। দলিল নং -৪৬৮১, রেজিষ্ট্রি তাং- ২৮/০৯/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.৩৪০০ একর,
৯। দলিল নং ৫১৭৪, রেজিষ্ট্রি তাং- ০৯/১১/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ- ০.১৭০ একর,
১০। দলিল নং- ৫১৭৬, রেজিষ্ট্রি তাং- ০৯/১১/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ -০. ৮৫০০ একর
১১। দলিল নং ৫৭৬৫, রেজিষ্ট্রি তাং ১৩/১২/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.০৮৫০ একর,
১২। দলিল নং ৪৬৮২, রেজিষ্ট্রি তাং- ২৮/০৯/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.১৭০০ একর,
১৩। দলিল নং- ৪৫৪৬, রেজিষ্ট্রি তাং-০৭/০৯/১৯৮৮ ইং, জমির পরিমাণ ০.২৫০০ একর
সর্বমোট- ৪ একর ৮৮ শতাংশ জায়গার মালিক খালেক বিন আব্দুল আজিজ প্রকাশ আবুল হোসেন গং। বর্তমানে তার ওয়ারিশগণ দলিল মূলে মালিকানা নিশ্চিত হলেও বাবার সৎ ভাই আব্দুল মবিন গংদের রোষানলে দিশেহারা পুরো ওয়ারিশান পরিবার।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ভূমি দখল ও সম্পত্তিগত বিরোধের এই চলমান সংকট শুরু হয় ১৯৮২ সালে আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে। আব্দুল মবিন মামলার বাদি হয়ে সর্বপ্রথম ১৯৮২ সালে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে জমির দখল বুঝে নিতে মনির হোসেনের পিতা খালেক বিন আব্দুল আজিজ প্রকাশ আবুল হোসেন গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী আব্দুল মবিন গং জমির মালিকানা দাবি করে পুনরায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে সেই সি আর ৮৯/৯৩ মামলাটিও রায় প্রদান করা হয়। সর্বশেষ চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মামলা নং-১৫৯/২০, জমি ও সম্পত্তিগত বিরোধের মামলার রায়টিও বিজ্ঞ আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন বলে দাবি করেন আবুল হোসেনের পুত্র প্রবাসী মনির হোসেন।
প্রবাসী মনির আর্তনাদ করে বলেন, মামলার রায় হবার পরেও আমার পিতা আবুল হোসেনের মালিকানা নিশ্চিত না করে আব্দুল মবিন গং নামে-বেনামে মামলা দিয়ে আবুল হোসেনের ওয়ারিশগণদের নাজেহাল করেই চলছে। সর্বশেষ আমাকে সম্পত্তিগত বিরোধের জন্য হত্যাচেষ্টা করেন আব্দুল মবিন গং। ১৭ আগষ্ট ২০২০ এ হত্যা চেষ্টা মামলা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে দারস্থ হলে, বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। যার মামলা নং সি.আর- ৩০৩/২০২২ইং। তদন্তাধীন বিষয়টি সুরাহা না হলেও আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন সময় নাজেহাল করছে আব্দুল মবিন ও তার ওয়ারিশগণ। আব্দুল মবিনের পুত্র  আলাউদ্দিন আনিস (যিনি যাদবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত) আমাকে হত্যা চেষ্টা করেন। সে মামলার আসামী হয়েও দিব্যি এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তিনি আরও দাবি করেন, সর্বশেষ আব্দুল মবিন গং মিথ্যাচার করে ভুয়ো ও জাল দলিল দিয়ে আমাদের পক্ষে আসা রায়কে তোয়াক্কা না করে এখনও মালিকানা দাবি করা জায়গাগুলো না ছেড়ে দিয়ে উল্টো আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় নিঃস্ব করে দিয়েছেন।
মনির হোসেনের আপন ভাই রবিউল হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, জমির দলিল ও কাগজমূলে নিজের দাবিকৃত সম্পত্তির প্রমাণ না থাকাতে বারংবার স্থানীয় প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করায় তাকে সতর্ক করেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগণ। তাছাড়া আমাদেরকে মামলা ও হামলার মাধ্যমে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।
বিগত ১৫ই মার্চ ২০২৩ ইং প্রবাসী মনির হোসেনের নিকট চাঁদা দাবি করেন আব্দুল মবিন গং। যার জন্য মোকাম বিজ্ঞ আমলী আদালতে প্রবাসী মনির নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- সি.আর ৮০/২০২৩ ইং। মামলার বিবরণীতে জানা যায়, বিবাদী মোঃ আলাউদ্দিন (৫০), পিতা মোঃ আবদুল মবিন, মোজাম্মেল হক(৫০), পিতা মৃত আঃ হাই, বেলায়েত হোসেন(৩৪), পিতা আবদুল মবিন, আলাউদ্দিন(৪৪), পিতা মৃত সিদ্দিকুর রহমান বাদীর নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দখলে থাকা জায়গা বসবাসের জন্য এই চাঁদা দাবি করেন তারা। বিবাদীগণ বাদীকে খুন করাও হুমকি দেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ  শহিদ হোসেন জানান, আমরা সব সময় জনগণের পক্ষে কাজ করি। বিজ্ঞ আদালতের রায় বাস্তবায়নে আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।
আরো পড়ুন  বাংলাদেশ স্কাউটস শাহরাস্তি উপজেলা শাখার ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল সভা সম্পন্ন