মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেছেন, কোনো জমি জেনো অনাবাদি না থাকে সে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকরা জমিতে আবাদি করতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সোনার মাটি ও সোনার মাটি আমাদের সম্পদ। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ৬ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খরিপ-১ ও ২০২৩-২৪ মৌসুমে আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস এ কথা বলেন।
কুদ্দুস বলেন, বিএনপি জোট সরকারের সময় ১৮ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। এখন কৃষকের কাছে সার। কৃষককে নেতাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হয় না। বর্তমান সরকার কৃষকদের বিনামূল্যে সার দিয়েছেন। বিগত সরকারের সময় বিদ্যুতের দাবিতে মিছিল করতে হয়েছে। সিংড়া উপজেলার মাত্র ৪০ ভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল। এখন মতলব উত্তরে শতভাগ পরিবার বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।
কৃষিতে সরকার ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছেন। সারাদেশের ১ কোটি কৃষককে ব্যাংক একাউন্ট করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কৃষকদের মুখ হাসি ফুটিয়েছেন। বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ং সস্পূর্ণ। বিদেশে খাদ্য সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ সহায়তা করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল ভিলেজ প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস আরও বলেন, ১৪ বছরের উন্নয়ন, সুশাসনের বিচার জনগণের বিবেকের আদালতে ছেড়ে দিলাম। মেঘনা-ধনাগোদা সেচব প্রকল্পের উন্নয়নে ৩শ’ ৪৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দ হয়েছে। এ কাজ বাস্তবায়ন হলে কৃষক ভাগ্য পরিবর্তন হবে।
কৃষি শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নিত্য নতুন আইডিয়া সরকার গ্রহণ করছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে পুনরায় বিজয়ী করে সরকারের উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান এমএ কুদ্দুস।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাউদ্দিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান। উপজেলার ৬ হাজার জন কৃষকের মাঝে ১০ কেজি করে এমওপি সার, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এ উফশী আউশ বীজ ৫ কেজি করে প্রদান করা হয়।