ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কলেজ ছাত্র রাশেদুল আলমের নির্মম মৃত্যুর প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে মানববন্ধন

“সড়কে রক্তপাত ও হাসপাতালে অবহেলা বন্ধ করো, জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করো” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে সড়ক দূর্ঘটনা ও সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তাদের অবহেলায় মেধাবী ছাত্র মো. রাশেদুল আলমের নির্মম মৃত্যুর প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ফরিদগন্জ  উপজেলার ৫ নংগুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ফকির বাজারে সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী এ প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাশেদের রক্তাক্ত দেহ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা না করে পরিচয় সনাক্ত করনে বেশী তৎপর ছিলো। তাই অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়। আর গাড়ী চালানোর অভিজ্ঞতা  না থাকলেও যে কেউ গাড়ী নিয়ে রাস্তায় নেমে যায়, সিএনজি ড্রাইভারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা।

রাশেদুল আলমের বাবা বলেন, যাদের গাফিলতির কারনে আমার ছেলে পরপারে চলে গেলো তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, প্রেরনা সামাজিক সংঘের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, প্রভাত সামাজিক সংঘের এমরান হোসেন, ইউপি সদস্য আল-আমিন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আরেফিন শুভ,  গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছ আহাম্মদ, সাংগঠনিক  সম্পাদক ফজলুল হক বাদল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক বাহাউদ্দিন আরমান,

ছাত্রলীগ নেতা আবু আনাছ ও নিহত রাশেদুল আলমের বাবা খোরশেদ আলম।

হাজীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার গোলাম মাওলা নঈম বলেন, আমাদের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় কোন ধরনের অবেহলা ছিল না। ওইদিন দুর্ঘটনায় আহত ৪জন রোগী আসে। সকলকেই চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনজনের পরিবারের সদস্য এসে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। রাশেদুল ইসলামের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তারপরেও চিকিৎসকরা সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়েছে। আমি দুইদিন পর তার পরিচয় জানতে পেরেছি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে হয়তো সে বেঁচে যেত। তার মৃত্যুতে আমিও দুঃখ প্রকাশ করছি।

উল্লেখ্যঃ গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেররে হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজার ও সেন্দ্রা গ্যাসপাম্প সংলগ্ন এলাকায় সিএনজি ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে আশংকা জনক হিসেবে বিবেচিত করে এবং রাতেই রাশেদুল আলমের মৃত্যু হয়। রাশেদুল আলম ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রী কালিয়া শফিক মৌলভী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে ও হাজিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন  ফরিদগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়
ট্যাগস :

সকল আলেমদের মুক্তি না দিলে আগামী ৭ অক্টোবর ঢাকায় বৃহত্তর সমাবেশ : মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী

error: Content is protected !!

কলেজ ছাত্র রাশেদুল আলমের নির্মম মৃত্যুর প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১০:১৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

“সড়কে রক্তপাত ও হাসপাতালে অবহেলা বন্ধ করো, জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করো” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে সড়ক দূর্ঘটনা ও সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তাদের অবহেলায় মেধাবী ছাত্র মো. রাশেদুল আলমের নির্মম মৃত্যুর প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ফরিদগন্জ  উপজেলার ৫ নংগুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ফকির বাজারে সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী এ প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাশেদের রক্তাক্ত দেহ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা না করে পরিচয় সনাক্ত করনে বেশী তৎপর ছিলো। তাই অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়। আর গাড়ী চালানোর অভিজ্ঞতা  না থাকলেও যে কেউ গাড়ী নিয়ে রাস্তায় নেমে যায়, সিএনজি ড্রাইভারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা।

রাশেদুল আলমের বাবা বলেন, যাদের গাফিলতির কারনে আমার ছেলে পরপারে চলে গেলো তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, প্রেরনা সামাজিক সংঘের আহবায়ক মাহবুবুর রহমান, প্রভাত সামাজিক সংঘের এমরান হোসেন, ইউপি সদস্য আল-আমিন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আরেফিন শুভ,  গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছ আহাম্মদ, সাংগঠনিক  সম্পাদক ফজলুল হক বাদল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক বাহাউদ্দিন আরমান,

ছাত্রলীগ নেতা আবু আনাছ ও নিহত রাশেদুল আলমের বাবা খোরশেদ আলম।

হাজীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার গোলাম মাওলা নঈম বলেন, আমাদের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় কোন ধরনের অবেহলা ছিল না। ওইদিন দুর্ঘটনায় আহত ৪জন রোগী আসে। সকলকেই চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনজনের পরিবারের সদস্য এসে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। রাশেদুল ইসলামের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তারপরেও চিকিৎসকরা সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়েছে। আমি দুইদিন পর তার পরিচয় জানতে পেরেছি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে হয়তো সে বেঁচে যেত। তার মৃত্যুতে আমিও দুঃখ প্রকাশ করছি।

উল্লেখ্যঃ গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেররে হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজার ও সেন্দ্রা গ্যাসপাম্প সংলগ্ন এলাকায় সিএনজি ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে আশংকা জনক হিসেবে বিবেচিত করে এবং রাতেই রাশেদুল আলমের মৃত্যু হয়। রাশেদুল আলম ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রী কালিয়া শফিক মৌলভী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে ও হাজিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন  ফরিদগঞ্জের গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল