ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়

বর্তমান সরকারের অভাবনীয় উন্নয়ন আমাদের এই ক্ষুদ্র দেশকে এক ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বের তালে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হচ্ছে। এই সরকারের উন্নয়ন শুধু শহর বা নগর নয়। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পড়েছে উন্নয়নের ছাপ। শিক্ষা, আইসিটি, কৃষি সহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের স্বাক্ষরতা রেখে চলেছে সরকারের কর্মকান্ডে। চাঁদপুর পৌরসভা পরিচালিত নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়টি স্বাধীনের পর প্রতিষ্ঠা থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিদ্যালয়টি কয়েক বছর ধরে পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষস্থানে রয়েছে। বীর মক্তিযোদ্ধা শহীদ জাবেদের নামেই ১৯৭২ সালে নির্মিত হয় চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠিত হয়ে হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে বর্তমানে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা বেখে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আবুল হোসেন ঢালী, মোস্তাফিজুর রহমান ঢালী, শেখ মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন। তারা সবাই প্রয়াত। ২০১০ সাল থেকে বর্তমানে বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ওমর ফারুক। তিনি দক্ষতা দিয় কর্মকাণ্ডকে যেমনি সচল রেখেছেন তেমনি আন্তরিকতা দিয়ে সহকর্মীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের কারণে তিনি সকলের নিকট প্রশংসিত।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চাঁদপুরে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে ফরিদগঞ্জের টুবগিতে মৃত্যু বরণ করেন শহীদ জাবেদ। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে টিন সেট শুরু হয়। পরবর্তীতে ছোট একটি ছাদ ঢালাই ভবন নির্মাণ করে কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকালে এ বিদ্যালয়টির টিনের ঘর থেকে ১তলা ভবন নির্মাণের পর বর্তমানে চার তলাবিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি এলাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। ৭শ’ ৫০ জন শিক্ষার্থী এবং ২৬ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৯ ভাগ। বিদ্যালয়ে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৩০ জন। এতে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে।

আরো পড়ুন  প্রতিবন্ধী হয়েও জীবন সংগ্রামে থেমে নেই বাক প্রতিবন্ধী আনোয়ার হোসেন

এই বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে সৃষ্টি হয়েছে অনেক প্রথিতযশা চিকিৎসক, প্রকৌশলী, প্রশাসক, রাজনীতিবীদ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, যারা দেশ-বিদেশে স্ব-মহিমায় সমুজ্জ্বল ছিলেন এবং বর্তমানে আছেন।

জানা যায়, স্কুলটিতে সব ধরনের জাতীয় দিবস পালনসহ জাতীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে থাকে বিদ্যালয়টি।

চাঁদপুরের মাননীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি’ চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এবং প্রতিষ্ঠানের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান জুয়েলের একান্ত প্রচেষ্টায় চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে উন্নীত করা হয়েছে ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর। যেটির এখন পরিবর্তিত নাম পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ। ১ম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে।

বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শৃংখলাবোধ ও নিয়মানুবর্তিতার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিদিন ক্লাস বসার ১৫ মিনিট আগে সমাবেশ অনুুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক ও আন্যান্য শিক্ষকগণ সমাবেশে উপস্থিত থাকেন।বালকদের: ব্লু শার্ট ও কালো প্যান্ট, সাদা জুতা, মোজা,কালো, বেল্ট। বালিকাদের ব্লু কামিজ, সাদা স্যালোয়ার, সাদা স্কাপ, সাদা জুতা ও মোজা।

বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ডিজিটাল হাজিরা, আই.ডি নম্বর রয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার নিজ নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল ও আই.ডি নম্বর সম্বলিত পরিচয় পত্র দেয়া হয়। বিদ্যালয়ে অবস্থান পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আই.ডি কার্ড সংগে রাখতে হয়।

বর্তমান যুগ কম্পিউটারের যুগ। তাই কম্পিউটার শিক্ষাকে বাদ দিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব নয়। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলর জন্য আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। এজন্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত আই,সি,টি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে ১টি সুসজ্জিত শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা ল্যাবে শিক্ষার্থীদের আই,সি,টি ক্লাস নিয়ে থাকে।

সুস্থ দেহে সুন্দর মন” একটি কর্র্মঠ জাতি গড়ে উঠার প্রথম শর্ত হলো সুসাস্থের অধিকারী জনগোষ্ঠী। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্ব জাগ্রত করা,নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ ঘটালে, সর্বোপরি দেহ ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। এজন্য বিদ্যালয়ে প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে লেখাপড়ার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে প্রতি বছরই বিদ্যালয়ে নাটক, গান, নাচ, আবৃত্তি, সংগীত ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মেয়র মহোদয় পৌর এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার উন্নয়নেও সব রকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন, যাতে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পরে।’ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমরা নতুন এক সভ্যতার স্বপ্ন দেখছি।
ট্যাগস :

সকল আলেমদের মুক্তি না দিলে আগামী ৭ অক্টোবর ঢাকায় বৃহত্তর সমাবেশ : মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী

error: Content is protected !!

শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়

আপডেট সময় : ০৯:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বর্তমান সরকারের অভাবনীয় উন্নয়ন আমাদের এই ক্ষুদ্র দেশকে এক ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বের তালে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হচ্ছে। এই সরকারের উন্নয়ন শুধু শহর বা নগর নয়। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পড়েছে উন্নয়নের ছাপ। শিক্ষা, আইসিটি, কৃষি সহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের স্বাক্ষরতা রেখে চলেছে সরকারের কর্মকান্ডে। চাঁদপুর পৌরসভা পরিচালিত নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়টি স্বাধীনের পর প্রতিষ্ঠা থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিদ্যালয়টি কয়েক বছর ধরে পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষস্থানে রয়েছে। বীর মক্তিযোদ্ধা শহীদ জাবেদের নামেই ১৯৭২ সালে নির্মিত হয় চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠিত হয়ে হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে বর্তমানে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা বেখে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আবুল হোসেন ঢালী, মোস্তাফিজুর রহমান ঢালী, শেখ মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন। তারা সবাই প্রয়াত। ২০১০ সাল থেকে বর্তমানে বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ওমর ফারুক। তিনি দক্ষতা দিয় কর্মকাণ্ডকে যেমনি সচল রেখেছেন তেমনি আন্তরিকতা দিয়ে সহকর্মীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের কারণে তিনি সকলের নিকট প্রশংসিত।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চাঁদপুরে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে ফরিদগঞ্জের টুবগিতে মৃত্যু বরণ করেন শহীদ জাবেদ। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে টিন সেট শুরু হয়। পরবর্তীতে ছোট একটি ছাদ ঢালাই ভবন নির্মাণ করে কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকালে এ বিদ্যালয়টির টিনের ঘর থেকে ১তলা ভবন নির্মাণের পর বর্তমানে চার তলাবিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এ পর্যন্ত বিদ্যালয়টি এলাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। ৭শ’ ৫০ জন শিক্ষার্থী এবং ২৬ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৯ ভাগ। বিদ্যালয়ে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৩০ জন। এতে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে।

আরো পড়ুন  কচুয়ায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার অসদুপায় অবলম্বন করায় দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

এই বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে সৃষ্টি হয়েছে অনেক প্রথিতযশা চিকিৎসক, প্রকৌশলী, প্রশাসক, রাজনীতিবীদ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, যারা দেশ-বিদেশে স্ব-মহিমায় সমুজ্জ্বল ছিলেন এবং বর্তমানে আছেন।

জানা যায়, স্কুলটিতে সব ধরনের জাতীয় দিবস পালনসহ জাতীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে থাকে বিদ্যালয়টি।

চাঁদপুরের মাননীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি’ চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র এবং প্রতিষ্ঠানের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান জুয়েলের একান্ত প্রচেষ্টায় চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে উন্নীত করা হয়েছে ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর। যেটির এখন পরিবর্তিত নাম পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ। ১ম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে।

বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শৃংখলাবোধ ও নিয়মানুবর্তিতার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিদিন ক্লাস বসার ১৫ মিনিট আগে সমাবেশ অনুুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক ও আন্যান্য শিক্ষকগণ সমাবেশে উপস্থিত থাকেন।বালকদের: ব্লু শার্ট ও কালো প্যান্ট, সাদা জুতা, মোজা,কালো, বেল্ট। বালিকাদের ব্লু কামিজ, সাদা স্যালোয়ার, সাদা স্কাপ, সাদা জুতা ও মোজা।

বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ডিজিটাল হাজিরা, আই.ডি নম্বর রয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার নিজ নাম, শ্রেণি, শাখা, রোল ও আই.ডি নম্বর সম্বলিত পরিচয় পত্র দেয়া হয়। বিদ্যালয়ে অবস্থান পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আই.ডি কার্ড সংগে রাখতে হয়।

বর্তমান যুগ কম্পিউটারের যুগ। তাই কম্পিউটার শিক্ষাকে বাদ দিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব নয়। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলর জন্য আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। এজন্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত আই,সি,টি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে ১টি সুসজ্জিত শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা ল্যাবে শিক্ষার্থীদের আই,সি,টি ক্লাস নিয়ে থাকে।

সুস্থ দেহে সুন্দর মন” একটি কর্র্মঠ জাতি গড়ে উঠার প্রথম শর্ত হলো সুসাস্থের অধিকারী জনগোষ্ঠী। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্ব জাগ্রত করা,নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ ঘটালে, সর্বোপরি দেহ ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। এজন্য বিদ্যালয়ে প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে লেখাপড়ার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে প্রতি বছরই বিদ্যালয়ে নাটক, গান, নাচ, আবৃত্তি, সংগীত ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মেয়র মহোদয় পৌর এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার উন্নয়নেও সব রকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন, যাতে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পরে।’ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমরা নতুন এক সভ্যতার স্বপ্ন দেখছি।