চাঁদপুরে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে জন্মনিবন্ধন সনদ করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে আট উপজেলার ৮৯টি ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষ। ১৯টি নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে জš§নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ভিসা আবেদনসহ নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।

সূত্রমতে, ২০০১ সালের পর যাদের জন্ম, তাদের জন্মনিবন্ধনের জন্য বাবা-মায়ের জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করায় সন্তানের জন্মসনদ নিতে গিয়েও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের। একই সঙ্গে কারও মৃত্যুসনদ নিতে হলে প্রয়োজন হচ্ছে ডিজিটাল জন্মসনদের। সব মিলিয়ে চরম জটিলতায় পড়ছেন সেবাগ্রহীতারা।
এদিকে, মৃত্যু সনদ নিতেও ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকে। অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদে কাজের চাপের কারণে মৃত বাবা-মায়ের মৃত্যু নিবন্ধন সনদ নিতে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। বাবা-মায়ের জš§সনদ ডিজিটাল না হওয়ায় মৃত্যু সনদের আবেদন নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। আর ডিজিটাল জš§সনদ ছাড়া মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দেয়া হয় না। ফলে বাবার রেখে যাওয়া জমি ও সম্পদ নিয়ে জটিলতায় পড়ছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর দিয়েই আগে সন্তানের জন্মনিবন্ধন করার সুযোগ ছিল। তবে এখন নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে আরও অধিক বিড়ম্বনা বেড়েছে সেবাপ্রার্থীদের। স্মার্ট কার্ডের তথ্য নয়, সংশ্লিষ্টরা খুঁজছেন বাবা মায়ের জš§নিবন্ধন।
মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের পারভীন আক্তার ছেলের জন্ম নিবন্ধন করানোর জন্য ১৫ দিন ধরে ইউনিয়ন অফিসে ঘুরছেন। কিন্তু সেখান থেকে তাকে বলা হয়েছে, সার্ভার জটিলতার কারণে কাজ করা যাচ্ছে না।
পারভীন আক্তার বলেন, স্কুলে ভর্তির জন্য আমার ছেলের জš§ নিবন্ধন ইংরেজি করাতে চাইছি, সে জন্য আমার নিবন্ধনও নাকি পরিবর্তন করা লাগবে। আমি বলেছি, আমার স্মার্ট কার্ডে যে তথ্য আছে সেটাই দিন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বলা হচ্ছে আপনার জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে হবে। আজব কথাবার্তা বলছে। আজব সব নিয়ম কানুন।