শখের বসে বাড়ির আঙ্গিনায় বাগান করে সফলতা পেয়েছেন জাপানি বাসিন্দা বাংলাদেশি এমডি খান (আল আমিন) এবং তার ছোট ভাই এম ডি জন্টু। সুযোগ থাকলে সব বাড়ির আঙ্গিনায় বাগান করার নিজের ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন এই বাগান উদ্যোক্তা এম ডি খান।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
এমডি খান (আল আমিন) ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে জাপানে ব্যাবসায়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার আবুরকান্দি গ্রামের। তিনি এলাকার সামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
দীর্ঘ দিন ধরে ধরে আচুগি; আইকো কানাগাওয়া জাপানে বসবাস করে আসছেন তারা। তাজা শাকসবজি খাওয়ার উদ্দেশ্যে সেই বাড়িতে শখের বসে শুরু করেন দেশীয় শাকসবজি চাষ। ফলন পেতে শুরু করলে ধীরে ধীরে উৎসাহ বাড়তে থাকে।
সময়ে সাথে সাথে এম ডি খান ও এম ডি ঝন্টুর বাগান ভরে উঠেছে বাহারি টাটকা সবজিতে। বাড়ির আঙিনায় আনুমানিক তিন শতাংশ জমিতে সবজির চাষ করেছেন তিনি।
কাকরল, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা, চিচিঙ্গা, আলু, ঢেরস, লালশাক, পুঁইশাক, কাচামরিচ, শশা ইত্যাদি জাতের সবজি রয়েছে তার বাগানে। দেখলে মনেই হবে না যে এটি বিলেতের কোন সবজি বাগান। যেন সবুজ উদ্যান এক টুকরো বাংলাদেশ।
পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সবজি-ফল আত্মীয় স্বজন পরিবার বন্ধুদের বিলিয়ে দিচ্ছেন উদ্যোক্তা শামীম। দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই আসেন তার সবজি বাগানের সাফল্য দেখতে। অনেকে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিজেরাই ঘরের প্রাঙ্গনে শুরু করছেন সবজি বাগানের কাজ।
শুধু শখই নয়, ঘরের আঙিনায় বাগান মেটায় প্রয়োজনও। তাই সুযোগ থাকলে সব বাড়ির আঙ্গিনায় বাগান করার পরামর্শ এই সফল বাগান উদ্যোক্তার।
এমডি ঝন্টু জানায়, এখানে সার বা পানির তেমন সমস্যা নেই। মাটি খুবই উপযোগী সবজি ফলনের জন্য। তাই বাংলাদেশি যে কেউ ইচ্ছে করলে বিভিন্ন রকমের বাংলাদেশী সবজি চাষ করতে পারেন। একদিকে যেমন দেশিয় শাকসবজির স্বাদ পাওয়া যাবে। অপরদিকে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।