হাজীগঞ্জে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারা অমান্য করে জোর পূর্বক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। স্থানীয় লোকদের সহযোগিতা নিয়ে দিনে ও রাতে ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রেখেছে প্রতিপক্ষরা। প্রতিপক্ষদের কাজ বন্ধ রাখতে বাঁধা দিলে উল্টো বাদী ও তার পরিবারের লোকদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে বাদী পক্ষ পুলিশের জাতীয় সেবা সহায়তা ডেস্ক ৯৯৯ ফোন কলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপের সহযোগিতা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন প্রতিপক্ষ রাসেল পাটওয়ারী। ঘটনাটি হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের রামপুর বাজারে ঘটেছে।
বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, রামপুর গ্রামের মৃত ডা. মো. হাফিজ উদ্দিন বেপারী ১৯৫৯ সালে দূর্গাচরন সাহার থেকে সম্পত্তি ক্রয় করেন। যার দলিল নং-১৪৬৮। হাফিজ উদ্দিন বেপারীর মৃত্যুর তার ছেলে মমিনুল হকসহ তার ওয়ারিশগন পৈত্রিক সূত্রে মালিক ও দখলে থেকে নাল সম্পত্তি মৎস্য চাষের উপযোগী করেন। এরপর থেকেই বাদী মমিনুল হকের নিজ অংশ এবং বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ ও অন্যান্য শরীকগনের অংশ লীজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছেন। কিন্ত উপজেলার ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মৈশাইদ গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির শরীফ পাটওয়ারী খরিদ সূত্রে মালিকানা সম্পত্তি দাবি করে তার ছেলে রাসেল পাটওয়ারী স্থানীয় লোকজন নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর সকাল ৯টায় পুকুরের পানি সেচ দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়।
ঘটনার দিন থেকে প্রতিপক্ষ রাসেল পাটওয়ারী লোকবল নিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে। পরে মমিনুক হক নিরুপায় হয়ে গত ২৬ নভেম্বর ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চাঁদপুর জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারা বিধানমতে মামলা দায়ের করেন। যার দরখাস্ত মোকদ্দমা নং-১৩৭৬/২০২৩ইং। আদালতে নিষেধাজ্ঞা ও চাঁদপুর ল্যান্ডসার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালত বিরোধকৃত সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলমান থাকার পরও সম্পত্তি দখল করায় অসহায় হয়ে পড়েছেন বাদী মমিনুল হক।
ভূক্তভোগী ও আদালতের মামলার বাদী মমিনুল হক বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষরা কোন অদৃশ্য শক্তির বলে ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন আমার বোধগম্য হয়। আমি এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আবারও আদালতের স্বরনাপন্ন হবো।
প্রতিপক্ষ রাসেল পাটওয়ারী বলেন, আদালতের মামলার বাদী মমিনুল হক যে দাগের উপর নিষেধাজ্ঞা এনেছেন আমরা ওই দাগের মধ্যে ভবন নির্মাণ কাজ করিনি। নিষেধাজ্ঞার জবাব ধার্য্য তারিখে আদালতে দেব।