ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কচুয়া সাচার কালি মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি

সাচার কালি মন্দিরের গ্রিল কাটা ও দরজা লক খোলার দৃশ্য।

মো. রাছেল : কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাচার জগন্নাথ ধাম সংলগ্ন শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার রাতে ওই মন্দিরে অজ্ঞাত চোরের দল মূল মন্দিরের গ্রিল কেটে ভিতরে পবেশ করে মন্দিরে কালি মুক্তির মাথা বিগ্রহে থাকা ৩ ভরি স্বর্ন ও ২৪ ভরি রুপা লুটে নিয়ে যায়। মন্দিরের সংলগ্ন পাশের ঘরে দুইজন পুরোহিত ঘুমিয়েছেন। পুরোহিতগন বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তাদের দরজা বাহির থেকে বন্ধ দেখে লোকজন ডেকে এনে দরজা খুলে দেখেন মন্দিরের গ্রিল কাটা এবং দেবী মায়ের পরিহীত স্বর্নালঙ্কার নেই।

মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দীপক চক্রবর্তী বলেন, বুধবার রাতে আমি মন্দিরে ছিলাম না। মন্দিরের পাশের ঘরে আমার বাবা শান্তি চক্রবর্তী, ভাই ধনঞ্জয় চক্রবর্তী ও ছেলে রূপক চক্রবর্তী ছিল। সকালে দরজা খুলতে গিয়ে বাহির থেকে লক থাকায় অন্যলোক ডাক দিয়ে দরজা খুলে মন্দিরে ভিতরের চুরির দৃশ্য দেখতে পাই।

ধনঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ঘুম থেকে উঠে বাহির দিয়ে দরজা বন্ধ থাকায় পশ্চিম দিকে অনিল সেনকে দেখতে পেয়ে তাকে ডাক দিয়ে চাবি দেই। এসময় তিনি আমাদের দরজা খুলে দেন এবং চুরির দৃশ্য দেখতে পেয়ে সবাইকে অবগত করি। জগন্নাথ ধাম মন্দির কমিটির সভাপতি বটু কৃষ্ণ বসু বলেন, সকালে চুরির ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষযে কচুয়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। চুরির বিষয়টি খুবই দু:খজনক।

এ ঘটনায় খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ণ দাস শুভ ও ওসি মহিউদ্দিন, পিবিআই,সিআইডি সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, অচিরেই চুরির রহস্য উদঘাটন করা হবে এবং চোরদের ধরা হবে। তিনি মন্দিরের সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন  আগুনে ১২ ঘর পুড়ে ছাঁই, প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২টি ঔষধ দোকানিকে ২৫ হাজার টাকা দন্ড

error: Content is protected !!

কচুয়া সাচার কালি মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি

আপডেট সময় : ১২:৫৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

মো. রাছেল : কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাচার জগন্নাথ ধাম সংলগ্ন শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার রাতে ওই মন্দিরে অজ্ঞাত চোরের দল মূল মন্দিরের গ্রিল কেটে ভিতরে পবেশ করে মন্দিরে কালি মুক্তির মাথা বিগ্রহে থাকা ৩ ভরি স্বর্ন ও ২৪ ভরি রুপা লুটে নিয়ে যায়। মন্দিরের সংলগ্ন পাশের ঘরে দুইজন পুরোহিত ঘুমিয়েছেন। পুরোহিতগন বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তাদের দরজা বাহির থেকে বন্ধ দেখে লোকজন ডেকে এনে দরজা খুলে দেখেন মন্দিরের গ্রিল কাটা এবং দেবী মায়ের পরিহীত স্বর্নালঙ্কার নেই।

মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দীপক চক্রবর্তী বলেন, বুধবার রাতে আমি মন্দিরে ছিলাম না। মন্দিরের পাশের ঘরে আমার বাবা শান্তি চক্রবর্তী, ভাই ধনঞ্জয় চক্রবর্তী ও ছেলে রূপক চক্রবর্তী ছিল। সকালে দরজা খুলতে গিয়ে বাহির থেকে লক থাকায় অন্যলোক ডাক দিয়ে দরজা খুলে মন্দিরে ভিতরের চুরির দৃশ্য দেখতে পাই।

ধনঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ঘুম থেকে উঠে বাহির দিয়ে দরজা বন্ধ থাকায় পশ্চিম দিকে অনিল সেনকে দেখতে পেয়ে তাকে ডাক দিয়ে চাবি দেই। এসময় তিনি আমাদের দরজা খুলে দেন এবং চুরির দৃশ্য দেখতে পেয়ে সবাইকে অবগত করি। জগন্নাথ ধাম মন্দির কমিটির সভাপতি বটু কৃষ্ণ বসু বলেন, সকালে চুরির ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষযে কচুয়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। চুরির বিষয়টি খুবই দু:খজনক।

এ ঘটনায় খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ণ দাস শুভ ও ওসি মহিউদ্দিন, পিবিআই,সিআইডি সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, অচিরেই চুরির রহস্য উদঘাটন করা হবে এবং চোরদের ধরা হবে। তিনি মন্দিরের সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন  হাজীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে খুঁজে পাচ্ছেনা সেবা গৃহীতারা!