কচুয়ায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন ভাবে হয়রানির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আশ্রাফপুর গ্রামের ইউসুফের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।
সরজমিনে গেলে জানাযায়,ওই গ্রামের পালবাড়ীর মৃত এরশাদ উল্লাহর ছেলে ইউসুফের কাছ থেকে প্রবাসী শাখওয়াত হোসেন ৮ শতক জমি ও একই উপজেলার চাপাতলী গ্রামের জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নাজমুন নাহার ১২ শতক জমি রেজিস্ট্রি মাধ্যমে ক্রয় করে। কিছু দিনের মধ্যে জমি বুঝিয়ে দিবে বলে ইউসুফ তাদেরকে আশ^স্ত করে। পরে জমি বুঝিয়ে না দিলে ভুক্তভোগী পরিবার কয়েকবার এলাকায় সালিশী বৈঠক বসলোও সমাধানে পৌছাতে পারেনি।
ভুক্তভোগী প্রবাসী শাখাওয়াত হোসেন সোহেলের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার জানান,ইউসুফের কাছ থেকে আমার স্বামী আশ্রাফপুর গাজী বাজারে ৮ শতক জমি রেজিস্ট্রি মাধ্যমে ক্রয় করি। তার পর থেকে আমাদের ক্রয়কৃত জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে বিভিন্ন ছলচাতরী শুরু করছে। এদিকে আমার স্বামী প্রবাসে অবস্থান করছে। আমি টাকা দিয়ে জায়গা কিনে দখল পাচ্ছি না।
আরেক ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা বারেক হোসেন পাটওয়ারী জানান, ইউসুফের কাছ থেকে নাজমুন নাহারের নামে ১২ শতক জমি রেজিস্ট্রি মাধ্যমে আমি ২০১৬ সালে ক্রয় করে দিয়েছি। এখন পর্যন্ত ইউসুফ দখল বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো ওই সম্পত্তির উপর মামলা করে হয়রানি করছেন।
ইউসুফের ফুফু বদরুনেচ্ছা ও রহিমা বেগম জানান,আমাদের ভাইপো ইউসুফ পৈত্রিক সূত্রে পাওনা আমাদের ওয়ারিশদের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে টাালবাহানা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,ইউসুফ এলাকার দুষ্ট প্রকৃতি লোক। এলাকার বখাটেদের সাথে সাথে ইউসুফের উঠাবসা। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যার না তার সাথে ঝগড়া বিবাধে জড়িয়ে পড়ে। আমরা জানি দুই প্রবাসী পরিবারের কাছে জমি বিক্রি করে এখন বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এখন ভুক্তভোগী পরিবার মানুষের দারে দারে ঘুড়ছে ক্রয়কৃত জমি বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য।
বাদী ইউনুফ জানান,শাখওয়াত হোসেন সোহেলের ৮শতক ও নাজমুন নাহারের ১২শতক জমি কিছু দিনের মধ্যে আমি দখল বুঝিয়ে দিবো। আমার ফুফু বদরুনেছা ও রহিমা বেগমের ওয়ারিশের সম্পত্তি নিয়ে আমার সাথে কোন বিরোধ নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্ছু মিয়া জানান, ইউসুফ এলাকার কোন সালিশ বিচার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের তোয়াক্কা করে না। কয়েকবার সালিশ বৈঠকে জমি দখল বুঝিয়ে দেই দিচ্ছে বলে টালবাহানা করছে।