কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরের কচুয়ার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
গ্রামগুলো হচ্ছে ওই ইউনিয়নের বড় ভবানীপুর, পিপলকরা, রসুলপুর,ছোট ভবানীপুর,সানন্দকরা ও জগতপুর। এ গ্রামগুলোর মানুষজন সীমাহীন কষ্টে রয়েছে।
অনেকের বাড়ী ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় ঘর বাড়ী ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা কবলিত এ এলাাকার রাস্তা-ঘাট,দোকান-পাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ গুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে বানভাসীদের। তাদের অভিযোগ, কেউ তাদের ত্রান দিয়ে সহায়তা করেননি।
এ ছাড়া উপজেলার সাপলোলা খালে রহিমানগর বাজার অংশে ব্রীজের নিচে ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তুপ সৃষ্টি করায় স্বল্প পরিসরে পানি নিস্কাশন হচ্ছে।
এতে করে ভারীবর্ষণে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, ধামাই,পনসাহী, জুনাশর, খিলা ও নুরপুর এ ৭টি গ্রামের ১২/১৩ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে।
পানি কিছুটা কমলে ও এ সাত গ্রামের লোকজনরা এখন ও পানি বন্দি। খ্বুই কষ্টে কাটছে তাদের জীবন।
বিশেষ করে দিনমুজুর শ্রেণীর লোকজনরা বাহিরে গিয়ে কাজ করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।