বৈষম্য নিরসনে শতবাগ বিভাগীয় পদোন্নতিসহ সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে বুধবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের সময় উপজেলা পরিষদ সম্মুখে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাণের দাবী বাস্তবায়নের জন্য এ মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি হাইমচর উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিশেষ নারায়নের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক মানিক মিয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য রেখে কখনো বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ হবে না। বৈষম্য মুক্ত সমাজ গঠনে সরকার বাহাদুরকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা প্রাথমিক শিক্ষকদের দিকে তাকান। শিক্ষকদের দিকে সু নজর না দিলে কখনো শিক্ষায় উন্নতি লাভ করবে না। দেশের যে শিক্ষার যে অগ্রসরতা বাঁধা বিগ্ম হবে। শিক্ষকরা মানুষিক ভাবে চাপে আছে, তাদেরকে চাপ মুক্ত করতে হবে। ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডিউটি করে আমরা প্রতিদিন টিফিন ভাতা ৩০ দিনে ২শত টাকা। প্রতিদিন ৬ টাকা করে আমাদের টিফিন ভাতা।
এট আমাদের জন্য অনেক লজ্জার বিষয়। টিফিন ভাতা বন্ধ করে দেন না হয় বন্ধ করে দেন। আমরা চাইলেই স্কুল সময়ে মানববন্ধন করতে পারতাম। স্কুল সময় শেষ করে আমরা মানববন্ধন করছি। যাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের কোন সমস্যা না হয়। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও শিক্ষকরা তাদের দাবী আদায়ের জন্য রাস্তায় দাড়িয়েছে। আমরা আমাদের দাবী বাস্তবায়ন না হলে কেন্দ্র ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনু্যায়ী আরও বড় ধরনের আন্দোলনের ডাক দিব। এবার আমরা দাবী আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমেছি। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি হাইমচর উপজেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি ইকবাল হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক হেলাল মিয়া, মজিবুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক ফারজানা শাহীন, সহ সম্পাদক ফাতেমা বেগম, কামাল হোসেন, জাকারিয়া স্বপন সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বৃন্দ।