ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, সাত দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৮ জন

সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের কচুয়ায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। চলতি মাসের শুরুতেই ১৮জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতা কবলিত এলাকা এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লা থেকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসছে মানুষ।

Model Hospital

জ্বরের সঙ্গে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আহাদ হোসেন। কিছু দিন আগে ঢাকা বোনের বাসাতে মিরপুর যায় বেড়াতে। ২ দিন থাকার পর তার নিজ বাড়িতে আসেন। আসার পর তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় কচুয়া হাসপাতালে পাঁচদিন ধরে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে আছেন তিনি।

দারাশাই তুলপাই এলাকার বাসিন্দা তাছলিমা আক্তারের মতো জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসা প্রায় শতাধিক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী, বেশিরভাগ পুরুষ। কেউ ঢাকা থেকে, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী ও কেউ কুমিল্লা থেকে জ্বর নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসেন। সেখান থেকে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরছেন কর্মস্থলে।

কড়ইয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রবিউল ও মেহেদী হাসান। ঢাকা কর্মস্থল থেকে জ্বর নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সেখান থেকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষা শেষে তাদের দুই জনের ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, আগস্ট মাসে ১৯ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৩৬ জন চিকিৎসা নিলেও অক্টোবরের প্রথম সাত দিনে ভর্তি হয় ১৮ জন রোগী। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সর্বমোট ৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. সোহেল রানা বলেন, জ্বরের সঙ্গে বমি, ডায়রিয়া, মাথা ও শরীর ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও চলতি অক্টোবর মাসের জলাবদ্ধতার শিকার কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়ন সহ বেশকিছু গ্রাম। সেখানে পানি কমে যাওয়ার পর নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বাসিন্দারা।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘চলতি মাসের শুরুতে ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়।

সোমবার ছয় জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’ চলতি মাসে প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে ১৫০ দিনে কোরআনে হাফেজ হলেন ফাহিম

কচুয়ায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, সাত দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৮ জন

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের কচুয়ায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। চলতি মাসের শুরুতেই ১৮জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতা কবলিত এলাকা এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লা থেকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসছে মানুষ।

Model Hospital

জ্বরের সঙ্গে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আহাদ হোসেন। কিছু দিন আগে ঢাকা বোনের বাসাতে মিরপুর যায় বেড়াতে। ২ দিন থাকার পর তার নিজ বাড়িতে আসেন। আসার পর তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় কচুয়া হাসপাতালে পাঁচদিন ধরে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে আছেন তিনি।

দারাশাই তুলপাই এলাকার বাসিন্দা তাছলিমা আক্তারের মতো জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসা প্রায় শতাধিক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী, বেশিরভাগ পুরুষ। কেউ ঢাকা থেকে, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী ও কেউ কুমিল্লা থেকে জ্বর নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসেন। সেখান থেকে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরছেন কর্মস্থলে।

কড়ইয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রবিউল ও মেহেদী হাসান। ঢাকা কর্মস্থল থেকে জ্বর নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সেখান থেকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষা শেষে তাদের দুই জনের ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, আগস্ট মাসে ১৯ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৩৬ জন চিকিৎসা নিলেও অক্টোবরের প্রথম সাত দিনে ভর্তি হয় ১৮ জন রোগী। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সর্বমোট ৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. সোহেল রানা বলেন, জ্বরের সঙ্গে বমি, ডায়রিয়া, মাথা ও শরীর ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও চলতি অক্টোবর মাসের জলাবদ্ধতার শিকার কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়ন সহ বেশকিছু গ্রাম। সেখানে পানি কমে যাওয়ার পর নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বাসিন্দারা।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘চলতি মাসের শুরুতে ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়।

সোমবার ছয় জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’ চলতি মাসে প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর।