ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে সরকারী কর্মকর্তাসহ পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

নিজস্ব প্রতিনিধি : ফরিদগঞ্জে এক সরকারী কর্মকর্তা, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে ওই সরকারী কর্মকর্তা সামাজিক ভাবে হেনস্থা এবং মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। ঘটনাটি উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের নারকেলতলা গ্রামের নােয়াবাড়িতে।

Model Hospital

জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নাজির হিসেবে কর্মরত ইব্রাহিম খলিল বাবুর পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে তার সৎ ভাই সেলিম খান উঠে পড়ে লাগে। তিনি বারংবার সম্পত্তি দখলে নিতে ব্যর্থ হন। পরে ইব্রাহিম খলিল বাবু সম্পত্তি রক্ষার্থে ফেব্রুয়ারী মাসে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মোকাদ্দমা দায়ের করেন। যার মোকাদ্দমা নং-১১৩/২২ইং। এতে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সৎ ভাই এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এমনকি গত বছর সরকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বাবুর উপর এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সৎ ভাই সেলিম খান ও তার ছেলে রহমত উল্ল্যাহসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে মারাত্মক জখম হন ইব্রাহিম খলিল বাবু। পরে তিনি চিকিৎসা নেন। এখনও তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলমান রেখেছেন। সে সাথে সেলিম গং চলমান রেখেছেন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি।

আরো জানা যায়, সেলিম খান মারধরের অভিযোগ এনে ১ মার্চ চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। তার লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদালত ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ হোসেনকে নিয়মিত মামলা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। ফরিদগঞ্জ থানা মামলা নং-৫/২২। ওই মামলা প্রধান আসামী ইব্রাহিম খলিল বাবুসহ সবাই গত সোমবার (৭ মার্চ) চাঁদপুর আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। বর্তমানে এই মামলাটি তদন্তধীন রয়েছে।

সেলিম খানের আপন বোন জাহানারা বেগম ও মঞ্জুমা খাতুন বলেন, আমার ভাই (সেলিম খান) যে অভিযোগ এনে আমাদেরই আরেক ভাই ইব্রাহিম খলিল বাবুসহ অন্যান্যদের আাসমী করে যে মামলাটি করেছেন তা আদৌ সত্য নয়। এমনকি মামলার এজহারে যে তারিখ ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে ওই দিন বাড়িতে বা এলাকায় এবং ইউনিয়নের অন্য কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। এটি আমার ভাইয়ের সাজানো মিথ্যা মামলা।

একই বাড়ির আরো ২ প্রতিবেশী আ. আজিজ ও আমোয়ার হোসেন মিজি বলেন, সেলিম খান ও তার ছেলে রহমত উল্ল্যাহ দুর্ধর্ষ ব্যক্তি। তার ইব্রাহিম খলিল বাবুকে শুধু শুধু হয়রানি করছে। এখন ঘটনা না ঘটেও নাকি সেলিম ঘটনা সাজিয়ে বাবুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। যা করছে তা ঠিক করেনি সেলিম খান।

এ বিষয়ে ভূক্তভোগী ইব্রাহিম খলিল বাবু বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে সেলিম খান অনেক চেষ্টা করেন। এতে সে সম্পত্তি দখলে নিতে ব্যর্থ হয়ে আমিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাজানো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যে মামলাটি আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করেছে সেটির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে।

এ বিষয়ে সেলিম খান এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ব‍্যাংকার্স ক্লাব চাঁদপুর’র আত্নপ্রকাশ

ফরিদগঞ্জে সরকারী কর্মকর্তাসহ পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

আপডেট সময় : ০৩:১১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি : ফরিদগঞ্জে এক সরকারী কর্মকর্তা, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে ওই সরকারী কর্মকর্তা সামাজিক ভাবে হেনস্থা এবং মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। ঘটনাটি উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের নারকেলতলা গ্রামের নােয়াবাড়িতে।

Model Hospital

জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নাজির হিসেবে কর্মরত ইব্রাহিম খলিল বাবুর পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে তার সৎ ভাই সেলিম খান উঠে পড়ে লাগে। তিনি বারংবার সম্পত্তি দখলে নিতে ব্যর্থ হন। পরে ইব্রাহিম খলিল বাবু সম্পত্তি রক্ষার্থে ফেব্রুয়ারী মাসে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মোকাদ্দমা দায়ের করেন। যার মোকাদ্দমা নং-১১৩/২২ইং। এতে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সৎ ভাই এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এমনকি গত বছর সরকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বাবুর উপর এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সৎ ভাই সেলিম খান ও তার ছেলে রহমত উল্ল্যাহসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে মারাত্মক জখম হন ইব্রাহিম খলিল বাবু। পরে তিনি চিকিৎসা নেন। এখনও তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলমান রেখেছেন। সে সাথে সেলিম গং চলমান রেখেছেন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি।

আরো জানা যায়, সেলিম খান মারধরের অভিযোগ এনে ১ মার্চ চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। তার লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদালত ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ হোসেনকে নিয়মিত মামলা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। ফরিদগঞ্জ থানা মামলা নং-৫/২২। ওই মামলা প্রধান আসামী ইব্রাহিম খলিল বাবুসহ সবাই গত সোমবার (৭ মার্চ) চাঁদপুর আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। বর্তমানে এই মামলাটি তদন্তধীন রয়েছে।

সেলিম খানের আপন বোন জাহানারা বেগম ও মঞ্জুমা খাতুন বলেন, আমার ভাই (সেলিম খান) যে অভিযোগ এনে আমাদেরই আরেক ভাই ইব্রাহিম খলিল বাবুসহ অন্যান্যদের আাসমী করে যে মামলাটি করেছেন তা আদৌ সত্য নয়। এমনকি মামলার এজহারে যে তারিখ ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে ওই দিন বাড়িতে বা এলাকায় এবং ইউনিয়নের অন্য কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। এটি আমার ভাইয়ের সাজানো মিথ্যা মামলা।

একই বাড়ির আরো ২ প্রতিবেশী আ. আজিজ ও আমোয়ার হোসেন মিজি বলেন, সেলিম খান ও তার ছেলে রহমত উল্ল্যাহ দুর্ধর্ষ ব্যক্তি। তার ইব্রাহিম খলিল বাবুকে শুধু শুধু হয়রানি করছে। এখন ঘটনা না ঘটেও নাকি সেলিম ঘটনা সাজিয়ে বাবুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। যা করছে তা ঠিক করেনি সেলিম খান।

এ বিষয়ে ভূক্তভোগী ইব্রাহিম খলিল বাবু বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে সেলিম খান অনেক চেষ্টা করেন। এতে সে সম্পত্তি দখলে নিতে ব্যর্থ হয়ে আমিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাজানো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যে মামলাটি আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করেছে সেটির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে।

এ বিষয়ে সেলিম খান এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।