ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁসক বাংলা বিভাগের উদ্যোগে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ক্যাম্পাস রিপোর্ট : মেঘনা পাড়ের বাতিঘর বলে খ্যাত চাঁদপুর সরকারি কলেজে ২২ মে ২০২২ (রবিবার) বেলা ১২ টায় প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে ‘‘বাংলা সাহিত্যে দ্রোহের পথিকৃৎ মধুসূদন: একটি পর্যালোচনা’’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

Model Hospital

বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ আজিম উদ্দিনের সভা প্রধানে এবং প্রভাষক ফাতেমা আক্তারের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শরীফ মাহমুদ চিশতী।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান। মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইদুজ্জামান। সেমিনারে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা, প্রভাষক আবু সাইদ, সহযোগী অধ্যাপক অমর চন্দ্র দাস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিউ এম হাসান শাহরিয়ার, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার মাইকেল মধুসূদনের সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘মাইকেল মধুসূদনের বিস্ময়কর প্রতিভাই তাঁকে অনন্য সাধারণ কবি রূপে বিকশিত ও প্রস্ফূটিত করেছে, সরোবরে অজস্র ফুটন্ত পদ্মের মত। অবিস্মরণীয় দক্ষতা, ক্ষমতা ও প্রতিভা বলে বাংলা সাহিত্যকে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন।’’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, ‘‘ মাইকেল মধুসূধন দত্ত বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ। বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের অচলায়তনকে ভেঙে তিনিই প্রথম আধুনিকতার আলোকরশ্মি দিয়ে বাংলা সাহিত্যের গতিপথকে বদলে দিয়েছেন। মহাকাব্য, গীতিকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট, নাটক ও প্রহসন- সাহিত্যের এই রূপগুলোর সৃষ্টি করে তিনি নতুন যুগের শুভ সূচনা করেন। পাশাপাশি চরিত্র, ভাষা, ছন্দ, অলংকার এমনকি জীবনবোধ উপস্থাপনায় হাজার বছরের বাঙালি সমাজ ও বাংলা সাহিত্যের চিরাচরিত রীতিকে ভেঙে মধুসূদন বিদ্রোহের ভূমিকা পালন করেন। সেমিনার পেপারে এ বিষয়গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।’’ তিনি সুন্দর একটি সেমিনার আয়োজনের জন্য বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষক কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে কার্টন ফ্যাক্টরিতে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৮ইউনিট

চাঁসক বাংলা বিভাগের উদ্যোগে সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

ক্যাম্পাস রিপোর্ট : মেঘনা পাড়ের বাতিঘর বলে খ্যাত চাঁদপুর সরকারি কলেজে ২২ মে ২০২২ (রবিবার) বেলা ১২ টায় প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে ‘‘বাংলা সাহিত্যে দ্রোহের পথিকৃৎ মধুসূদন: একটি পর্যালোচনা’’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

Model Hospital

বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ আজিম উদ্দিনের সভা প্রধানে এবং প্রভাষক ফাতেমা আক্তারের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শরীফ মাহমুদ চিশতী।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান। মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইদুজ্জামান। সেমিনারে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা, প্রভাষক আবু সাইদ, সহযোগী অধ্যাপক অমর চন্দ্র দাস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিউ এম হাসান শাহরিয়ার, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার মাইকেল মধুসূদনের সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘মাইকেল মধুসূদনের বিস্ময়কর প্রতিভাই তাঁকে অনন্য সাধারণ কবি রূপে বিকশিত ও প্রস্ফূটিত করেছে, সরোবরে অজস্র ফুটন্ত পদ্মের মত। অবিস্মরণীয় দক্ষতা, ক্ষমতা ও প্রতিভা বলে বাংলা সাহিত্যকে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন।’’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, ‘‘ মাইকেল মধুসূধন দত্ত বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ। বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের অচলায়তনকে ভেঙে তিনিই প্রথম আধুনিকতার আলোকরশ্মি দিয়ে বাংলা সাহিত্যের গতিপথকে বদলে দিয়েছেন। মহাকাব্য, গীতিকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট, নাটক ও প্রহসন- সাহিত্যের এই রূপগুলোর সৃষ্টি করে তিনি নতুন যুগের শুভ সূচনা করেন। পাশাপাশি চরিত্র, ভাষা, ছন্দ, অলংকার এমনকি জীবনবোধ উপস্থাপনায় হাজার বছরের বাঙালি সমাজ ও বাংলা সাহিত্যের চিরাচরিত রীতিকে ভেঙে মধুসূদন বিদ্রোহের ভূমিকা পালন করেন। সেমিনার পেপারে এ বিষয়গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।’’ তিনি সুন্দর একটি সেমিনার আয়োজনের জন্য বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষক কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।