বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাট টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়। ঢাকা থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ অন্যান্য রুটে যাওয়ার উদ্দেশে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছে লঞ্চ। তবে যাত্রীর চাপ তেমন নেই বললেই চলে। বেশ কয়েকটি লঞ্চের মালিক প্রতিনিধিরা জানান, অন্যদিনগুলোর চেয়ে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। যাত্রীর চাপ কম হওয়ার পেছনে ভাড়া বৃদ্ধিকেই কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। বেশ কয়েকটি লঞ্চে উঠে দেখা যায় লঞ্চগুলোর ডেক প্রায়ই ফাঁকা। বেশির ভাগ কেবিনও খালি।
ঢাকাগামী যাত্রী ইউসুফ রানা জানান, দিন দিন লঞ্চের ভাড়া ভাড়ছে কিন্তু সেই অনুপাতে সেবার মান বাড়েনি। নিম্ন মানের বসার ছিট আর কেবিন দিয়ে চলছে অধিকাংশ লঞ্চ। এভাবে চলতে থাকলে আমরা আর লঞ্চে যাব না। সব দায়ভার আমাদের উপর সর্বশেষ পড়ে। সামনে থেকে বাইরুটেই যাবো।
কলেজ শিক্ষার্থী আফরোজা বলেন, ভাড়া বাড়ায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছি। আগে ছিল নিচের ২য় শ্রেণীর ভাড়া ছিল ২০০ টাকা। এখন বাড়তে বাড়তে ৩০০ হয়েছে। এটা কি কোন নিয়ম নীতির মধ্যে পড়ে। এ ভাবেতো চলতে দেওয়া যায় না।
মিনহাজ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ভাড়া বাড়ার পূর্বেও চাঁদপুরে কিছু লঞ্চ আমাদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিয়েছে। কেবিনের যে ভাড়া তা বিমানের ভাড়ার সাদৃশ্য হয়ে গেছে। তাহলে এটাই কি দেশের উন্নয়ন। আমরা এই উন্নয়র চাই না।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. কায়সারুল ইসলাম জানান, ঘাটে আমাদের সর্বদা নজরদারি রয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর ফলে যাত্রীর চাপ কমেছে। তবে কোন লঞ্চ থেকে যদি নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।