ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতি; কাশিমপুর উবি’র সভাপতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাশিমপুর পুরণ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্য ও স্বজনপ্রিতীর অভিযোগ এনে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি। গত ১৪ আগস্ট কাশিমপুর এলাকার আবদুল রশিদের ছেলে শিপন মিয়া এ অভিযোগ করেন।
জানা যায়, গত ৯ আগষ্ট কাশিমপুর পূরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১জন আয়া, ১জন পরিচ্ছন্ন কর্মী, ১জন অফিস সহায়ক ও ১জন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরসহ মোট চার জনের নিয়োগ পরীক্ষা চাঁদপুর মাতৃপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে  অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আয়া পদে ৫ জন আবেদন করেন। ৫ জনের মধ্যে ৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নকর্মী পদে ৪ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ৩ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। অফিস সহায়ক পদে ৮ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৭ জন অংশগ্রহণ করেন৷ এছাড়া কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ৫ জনের মধ্যে ২ জন উপস্থিত থাকায় তাদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা হলেন আয়া পদে হাফসা বেগম, অফিস সহায়ক পদে ওসমান গনি ও পরিচ্ছন্নকর্মী পদে সাখাওয়াত হোসেন উত্তীর্ণ হয়। সাখাওয়াত হোসেন সভাপতির আপন ভাতিজা।
এদিকে এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে হাফসা বেগমের পরিবারের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে জানান এলাকার একাধিক ব্যক্তি। এলাকাবাসী আরো জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম খানের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল হোসেন মোটা অংকের টাকা বানিজ্য করেছেন।
আয়া পদের পরীক্ষার্থী তানজিলা আক্তারের স্বামী শিপন মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীকে চাকরী দেওয়ার কথা বলে বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল হোসেন আমার কাছ থেকে দের লক্ষ টাকা নিয়েও চাকরী দেয়নি। আমি স্ত্রীর চাকরীর জন্য জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছি। এছাড়াও সাদ্দাম নামে একজনের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন অফিস সহায়ক পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, শিপন মিয়া নামে একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের পর জানা যাবে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে ১৫০ দিনে কোরআনে হাফেজ হলেন ফাহিম

নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতি; কাশিমপুর উবি’র সভাপতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার : মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাশিমপুর পুরণ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্য ও স্বজনপ্রিতীর অভিযোগ এনে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি। গত ১৪ আগস্ট কাশিমপুর এলাকার আবদুল রশিদের ছেলে শিপন মিয়া এ অভিযোগ করেন।
জানা যায়, গত ৯ আগষ্ট কাশিমপুর পূরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১জন আয়া, ১জন পরিচ্ছন্ন কর্মী, ১জন অফিস সহায়ক ও ১জন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরসহ মোট চার জনের নিয়োগ পরীক্ষা চাঁদপুর মাতৃপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে  অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আয়া পদে ৫ জন আবেদন করেন। ৫ জনের মধ্যে ৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নকর্মী পদে ৪ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ৩ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। অফিস সহায়ক পদে ৮ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৭ জন অংশগ্রহণ করেন৷ এছাড়া কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ৫ জনের মধ্যে ২ জন উপস্থিত থাকায় তাদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা হলেন আয়া পদে হাফসা বেগম, অফিস সহায়ক পদে ওসমান গনি ও পরিচ্ছন্নকর্মী পদে সাখাওয়াত হোসেন উত্তীর্ণ হয়। সাখাওয়াত হোসেন সভাপতির আপন ভাতিজা।
এদিকে এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে হাফসা বেগমের পরিবারের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে জানান এলাকার একাধিক ব্যক্তি। এলাকাবাসী আরো জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম খানের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল হোসেন মোটা অংকের টাকা বানিজ্য করেছেন।
আয়া পদের পরীক্ষার্থী তানজিলা আক্তারের স্বামী শিপন মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীকে চাকরী দেওয়ার কথা বলে বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল হোসেন আমার কাছ থেকে দের লক্ষ টাকা নিয়েও চাকরী দেয়নি। আমি স্ত্রীর চাকরীর জন্য জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছি। এছাড়াও সাদ্দাম নামে একজনের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন অফিস সহায়ক পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, শিপন মিয়া নামে একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের পর জানা যাবে।