ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

রাফিউ হাসান হামজা : দীর্ঘ দেড় যুগের পর শাহরাস্তিতে ছাত্রলীগের কর্মী সভার পর উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। বয়সের কারণে যারা প্রার্থী হতে পারবেন না তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সাবেক হওয়ার ক্ষণ গণনা। রাজনীতিতে কাক্ষিত ক্যারিয়ার গড়তে না পেরে চাকরির বয়স পার করে আবার অনেকে ডুবছেন হতাশায়।

Model Hospital
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি জহির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন খান শাহরাস্তি উপজেলা কমিটির শীর্ষ পদ দুটির নাম ঘোষণা না দেয়ার তারা অনেকটা আশাহত ও বিমর্ষ।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) শাহরাস্তির প্রাণকেন্দ্র পৌরসভার মেহের ডিগ্রী কলেজে সহস্রাধিক নেতা ও কর্মীর উপস্থিতিতে শাহরাস্তি ছাত্রলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের উপজেলার বর্তমান নেতা ও কর্মীদের ওপর সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের যে কথিত সিন্ডিকেট রয়েছে তাদের অনেকেই নাখোশ।
তারা বলছেন, ছাত্রলীগ নেতাদের যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল সে সিন্ডিকেটেই মান অভিমান। এক নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় কোনো নেতার কর্তৃত্ব মেনে নেওয়া যায়; কিন্তু সাবেক কোনো ইউনিট প্রধানের কর্তৃত্ব মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগকে আরও সুশৃঙ্খল করার প্রক্রিয়া হিসেবেই সময়মতো উপজেলা কমিটি দেয়ার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, যেহেতু ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসার ২৯ বছর বয়সের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই সময়মতো সম্মেলন আয়োজনের দরকার। না হলে অনেক ছাত্রনেতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মী সভায় তরুণদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। মূলত যাদের আগামীতেও নেতৃত্বে আসার মতো বয়স ও সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে উদ্দীপনা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে আবার এ আনন্দ প্রকাশ করতে পারেনি- পাছে শীর্ষ নেতৃত্ব নাখোশ হয়ে যায় তাই। যারা সাবেক হয়ে যাবেন তাদের মধ্যে একরকম বিষাদ ভর করেছে। অনেকের চাকরির বয়সও নেই। রাজনৈতিকভাবেও তেমন প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি।
উপজেলা কমিটিকে ঘিরে ডজন খানেক নেতা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সারা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মীদের কাছে খুদে বার্তায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। নতুন পদ প্রত্যাশীদের দৌড়ে রয়েছেন সাজিদ মাহমুদ সাদ্দাম, ইমরান মনির, আব্দুল কুদ্দুস, মাজহারুল ইসলাম বাবলা, ইসকান্দার সুমন, সোহরাভ হোসেন সৌরভ, জামান মিঠু, আবুল কাশেম, সাজ্জাদ হোসেন সুজনসহ আরও অনেকেই।
এদিকে কর্মী সভা শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী কয়েকজন নেতা। যারা এতদিন ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন, তারাও কর্মী সভা হওয়াতে খুশী।
পদ প্রত্যাশী সাজিদ মাহমুদ সাদ্দাম বলেন, জেলা শাখার এই নির্দেশনায় আমরা সন্তুষ্ট।এবার যেন অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা  এবং জেলা সভাপতি জহির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন খান ভাই যাচাই-বাছাই করে, খোঁজখবর নিয়ে যেন যোগ্য প্রার্থীদের নেতা নির্বাচন করেন।
চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি বলেন, যাদের প্রার্থী হওয়ার মতো গুণ রয়েছে এমন কাউকেও নেতৃত্ব আনা হতে পারে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভালো বক্তা, সংগঠক, মেধাবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন কাউকেই দেখা যেতে পারে আগামী নেতৃত্বে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

শাহরাস্তিতে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
রাফিউ হাসান হামজা : দীর্ঘ দেড় যুগের পর শাহরাস্তিতে ছাত্রলীগের কর্মী সভার পর উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। বয়সের কারণে যারা প্রার্থী হতে পারবেন না তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সাবেক হওয়ার ক্ষণ গণনা। রাজনীতিতে কাক্ষিত ক্যারিয়ার গড়তে না পেরে চাকরির বয়স পার করে আবার অনেকে ডুবছেন হতাশায়।

Model Hospital
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি জহির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন খান শাহরাস্তি উপজেলা কমিটির শীর্ষ পদ দুটির নাম ঘোষণা না দেয়ার তারা অনেকটা আশাহত ও বিমর্ষ।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) শাহরাস্তির প্রাণকেন্দ্র পৌরসভার মেহের ডিগ্রী কলেজে সহস্রাধিক নেতা ও কর্মীর উপস্থিতিতে শাহরাস্তি ছাত্রলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের উপজেলার বর্তমান নেতা ও কর্মীদের ওপর সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের যে কথিত সিন্ডিকেট রয়েছে তাদের অনেকেই নাখোশ।
তারা বলছেন, ছাত্রলীগ নেতাদের যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল সে সিন্ডিকেটেই মান অভিমান। এক নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় কোনো নেতার কর্তৃত্ব মেনে নেওয়া যায়; কিন্তু সাবেক কোনো ইউনিট প্রধানের কর্তৃত্ব মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগকে আরও সুশৃঙ্খল করার প্রক্রিয়া হিসেবেই সময়মতো উপজেলা কমিটি দেয়ার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, যেহেতু ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসার ২৯ বছর বয়সের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই সময়মতো সম্মেলন আয়োজনের দরকার। না হলে অনেক ছাত্রনেতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মী সভায় তরুণদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। মূলত যাদের আগামীতেও নেতৃত্বে আসার মতো বয়স ও সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে উদ্দীপনা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে আবার এ আনন্দ প্রকাশ করতে পারেনি- পাছে শীর্ষ নেতৃত্ব নাখোশ হয়ে যায় তাই। যারা সাবেক হয়ে যাবেন তাদের মধ্যে একরকম বিষাদ ভর করেছে। অনেকের চাকরির বয়সও নেই। রাজনৈতিকভাবেও তেমন প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি।
উপজেলা কমিটিকে ঘিরে ডজন খানেক নেতা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সারা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মীদের কাছে খুদে বার্তায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। নতুন পদ প্রত্যাশীদের দৌড়ে রয়েছেন সাজিদ মাহমুদ সাদ্দাম, ইমরান মনির, আব্দুল কুদ্দুস, মাজহারুল ইসলাম বাবলা, ইসকান্দার সুমন, সোহরাভ হোসেন সৌরভ, জামান মিঠু, আবুল কাশেম, সাজ্জাদ হোসেন সুজনসহ আরও অনেকেই।
এদিকে কর্মী সভা শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী কয়েকজন নেতা। যারা এতদিন ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন, তারাও কর্মী সভা হওয়াতে খুশী।
পদ প্রত্যাশী সাজিদ মাহমুদ সাদ্দাম বলেন, জেলা শাখার এই নির্দেশনায় আমরা সন্তুষ্ট।এবার যেন অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা  এবং জেলা সভাপতি জহির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন খান ভাই যাচাই-বাছাই করে, খোঁজখবর নিয়ে যেন যোগ্য প্রার্থীদের নেতা নির্বাচন করেন।
চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি বলেন, যাদের প্রার্থী হওয়ার মতো গুণ রয়েছে এমন কাউকেও নেতৃত্ব আনা হতে পারে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভালো বক্তা, সংগঠক, মেধাবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন কাউকেই দেখা যেতে পারে আগামী নেতৃত্বে।