সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : প্রত্যেক মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে। সে স্বপ্নকে ধরেই প্রত্যেকে নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তিনি স্বপ্ন দেখে এবং সেটি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে ঘামঝরানাে পরিশ্রম করে। কথায় আছে ‘পরিশ্রম হলাে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং সঠিক পরিশ্রম থাকলেই যে কোনাে কঠিনকে জয় করা যায় সহজেই। আর সেই স্বপ্নকে লালন করে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে হেঁটে চলছেন সাফল্যের পথধরে জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক রানা খান।
টাঙ্গাইল জেলায় তার জন্ম। মরহুম আসাদুজ্জামানের হাত ধরেই মিডিয়াতে পদচারন। এবং টাঙ্গাইল জেলার স্বনামধন্য পরিচালক মোতালেব হোসেন জয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয় অভিনেতা রানা বর্তমানে দর্শক প্রিয় উঠেছেন। রানার জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে যার অবদান অনস্বীকার্য তিনি হলেন পরিচালক মোতালেব হোসেন জয়।
ফুলমতির বিয়ে শর্টফিল্মের মাধ্যমে মিডিয়াতে তার পথচলা শুরু। এরপর থেকে থেমে নেই তিনি। একে একে তার অভিনীত প্রায় ২’ হাজার সমাজ সচেতনতা এবং সামাজিক শর্টফিল্ম “অনুধাবন” গল্পে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি তার নিজস্ব একাধিক ইউটিউব চ্যানেলের কাজও পরিচালনা করছেন। এই অভিনেতা বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত মানিয়ে নিয়ে বর্তমান সময়ে অনুধাবন শর্টফিল্মের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অভিনেতা রানা খানের উল্লেখযােগ্য কাজগুলো হলো, এক বুক জালা, তুই স্কুলে আমি কলেজে, ম্যাডামের চরিত্র, ভাইয়ের ছেলে মুচি, অটো চালকের কপাল, হানডেট পারসেন লাভ, মেন্টাল অথৈ, ফুল মতির বিয়ে, আইসক্রিম রিকশাওয়ালা ভালোবাসা, বাস্তব বড় কঠিন, সুইট মাস্টার, মা পাগল রানা, নাম্বার ওয়ান স্টুডেন্ট, কথা দিলাম, অথৈ হাতে রানা খুন।
গরিবের মেয়ে অথৈ, তুই যা বলবি তো আমি জানি, চাকরানীর কপাল, গরিব থেকে কোটিপতি, রানার কপালে বিয়া নাই, বাই বাই ৪২০, চার সতীনের ঘর, সুজন সখি, ভাইয়ের কবরে বোনের লাশ, ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো, শেষ চিঠি, বেকার ছেলের ভিখারি প্রেমিকা, কোটিপতির মেয়ে চাকরানী, স্মৃতি হারা ভালোবাসা, নাম্বার ওয়ান জামাই, বড়লোকের মেয়ে রিক্সাওয়ালার বউ, লাশের সাথে বাসর, তুই আমাকে ভুল বুঝিস না, ম্যাডাম ফুলি, বুকের ভিতর আগুন, বড়লোকের ছেলে রিকশাওয়ালা, মায়ের কবরে সন্তান ঘুমায়,
অবহেলা, মানবতা, ভালোবাসার ময়না, আমি তোমারি, রানা তুই কার, মা ভক্ত রানা, বাবা আমার বাবা, স্বপ্নে দেখা নাগিন।
তাঁর বেশকিছু কাজ ইতিমধ্যে অভাবনীয় জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছে।
এছাড়াও রানা খানের সামনে একাধিক কাজ হাতে রয়েছে। যার শুটিং সাম্প্রতিক শুরু হবে। এতে মিডিয়া পাড়ায় আলােচিত অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা কাজ করবেন।
অভিনেতা রানা খান জানান, আমাকে এই কাজগুলােতে সহযােগিতা করেছেন আত্বীয় স্বজন, পরিচালক, পাশাপাশি শুভানুধ্যায়ীরা। তাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
রানা খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রত্যেক মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে, সে স্বপ্নকে ধরেই প্রত্যেকে নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। আমারও একটা স্বপ্ন আছে, যখন মিডিয়ার অঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত হই তখন থেকেই এই স্বপ্ন অন্তরে লালন করে আসছি। আর সেটা হলো মানসম্মত কাজের মাধ্যমে নিজেকে আলোকিত করে তোলা। ধীরে ধীরে স্বপ্নে এগিয়ে যাবে অনেক দূর, এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। সাফল্য আমার আসবেই ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্যঃ-রানা খান অভিনয় ভালোবেসে হৃদয়ে লালন করে একজন শিল্পী হয়ে দেশ ও দশের জন্য কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলছে। আগামীতে মানসম্মত ভালাে কাজের মাধ্যমে মিডিয়া পাড়ায় স্থান করে নিতে চান তিনি। এজন্যে তিনি ভবিষ্যত পথচলায়
সবার সহযােগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।