ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কি হবে আর ছবি তুলে!

গভীর রাতে রাস্তার ধারের অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গা থেকে শিশুদের হাসির খিলখিল শব্দ শুনেই দৃষ্টি যায় সেদিকে।

Model Hospital

চোখে পড়ে একটি ভবনের কার্নিশের নিচে ফুটপাতে বসে ছোট ছোট ১ সন্তানের মুখে পরম মমতায় ভাত তুলে দিচ্ছেন মা। আর পাশেই শুয়ে আছে আরেক শিশু। সেই ভাত খেতে খেতেই নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে মেতেছে ওই শিশু ও তার মা।

শনিবার (২৪ মে) গভীর রাতে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের হাজীগঞ্জ মধ্যবাজার পদ্মা ব্যাংকেন সামনে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের।

ইচ্ছে করছিল দৃশ্যটা মুঠোফোনে বন্দি করতে। কিন্তু বিবেকে নাড়া দিয়েছে।

কি হবে আর ছবি তুলে! সামান্য কয়েকটি লাইক কমেন্ট শেয়ার পাবো হয়তো। তাতে কি আদৌ তাদের অভাব দূর করতে পারবো!!

এই জেলারই (চাঁদপুরের) কোন এক শ্রমিক সেখানে কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় কুড়িগ্রামের রাবেয়ার সাথে। পরিচয়ের সূত্র ধরে রাবেয়ার পরিবারের সাথে সখ্যতা বাড়ে ছাইদুলের। নাম ঠিকানা না জানা এই ছাইদুল কে বিশ্বাস করে বিয়ে করেন। শ্বশুরবাড়িতে উঠিয়ে আনবেন বলে কাটিয়ে দেন পাঁচটি বছর। একে একে রাবেয়ার গর্বে জন্ম নেয় দুটি সন্তান। হঠাৎ একদিন ছাইদুলের মা অসুস্থ বলে চলে আসেন বাড়িতে। সেই যে আসছে তারপর নেই কোন হাদিস।

চার মাস স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে করতে অবশেষে দুই সন্তান সহ ছুটে আসেন চাঁদপুরে।

কখনো খেয়ে না খেয়ে রাস্তা বা ফুটপাতে ঘুমিয়ে কাটান রাবেয়া। সেখানেও ভয় মাদ”কাস”ক্ত”দের। তাদের ইশারা ইঙ্গিতে কেঁপে উঠে রাবেয়ার আত্মা। নিজে খেতে না পারলেও হোটেলের ফেলে দেওয়া খাবার গুলো কুড়িয়ে নেন রাবেয়া। সেই খাবার তুলে দেন সন্তানদের মুখে। ঠিকানা বা ছবি না থাকার কারণে খোঁজ মিলছে না সাইদুলেরও ।

এভাবে খুঁজতে খুঁজতে ফিরে যাবেন রাবেয়া। দুই সন্তান বেড়ে উঠবে পিতার পরিচয় ছাড়া। হয়তো ছাইদুলরা অন্য কোন রাবেয়াকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন।

ভুলে গেছেন দুই সন্তান আর রাবেয়ার কথা।

ট্যাগস :

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২৫ পরিবারকে আমেরিকা প্রবাসী মতলব সমিতির আর্থিক সহায়তা প্রদান 

কি হবে আর ছবি তুলে!

আপডেট সময় : ০১:২০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

গভীর রাতে রাস্তার ধারের অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গা থেকে শিশুদের হাসির খিলখিল শব্দ শুনেই দৃষ্টি যায় সেদিকে।

Model Hospital

চোখে পড়ে একটি ভবনের কার্নিশের নিচে ফুটপাতে বসে ছোট ছোট ১ সন্তানের মুখে পরম মমতায় ভাত তুলে দিচ্ছেন মা। আর পাশেই শুয়ে আছে আরেক শিশু। সেই ভাত খেতে খেতেই নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে মেতেছে ওই শিশু ও তার মা।

শনিবার (২৪ মে) গভীর রাতে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের হাজীগঞ্জ মধ্যবাজার পদ্মা ব্যাংকেন সামনে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের।

ইচ্ছে করছিল দৃশ্যটা মুঠোফোনে বন্দি করতে। কিন্তু বিবেকে নাড়া দিয়েছে।

কি হবে আর ছবি তুলে! সামান্য কয়েকটি লাইক কমেন্ট শেয়ার পাবো হয়তো। তাতে কি আদৌ তাদের অভাব দূর করতে পারবো!!

এই জেলারই (চাঁদপুরের) কোন এক শ্রমিক সেখানে কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় কুড়িগ্রামের রাবেয়ার সাথে। পরিচয়ের সূত্র ধরে রাবেয়ার পরিবারের সাথে সখ্যতা বাড়ে ছাইদুলের। নাম ঠিকানা না জানা এই ছাইদুল কে বিশ্বাস করে বিয়ে করেন। শ্বশুরবাড়িতে উঠিয়ে আনবেন বলে কাটিয়ে দেন পাঁচটি বছর। একে একে রাবেয়ার গর্বে জন্ম নেয় দুটি সন্তান। হঠাৎ একদিন ছাইদুলের মা অসুস্থ বলে চলে আসেন বাড়িতে। সেই যে আসছে তারপর নেই কোন হাদিস।

চার মাস স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে করতে অবশেষে দুই সন্তান সহ ছুটে আসেন চাঁদপুরে।

কখনো খেয়ে না খেয়ে রাস্তা বা ফুটপাতে ঘুমিয়ে কাটান রাবেয়া। সেখানেও ভয় মাদ”কাস”ক্ত”দের। তাদের ইশারা ইঙ্গিতে কেঁপে উঠে রাবেয়ার আত্মা। নিজে খেতে না পারলেও হোটেলের ফেলে দেওয়া খাবার গুলো কুড়িয়ে নেন রাবেয়া। সেই খাবার তুলে দেন সন্তানদের মুখে। ঠিকানা বা ছবি না থাকার কারণে খোঁজ মিলছে না সাইদুলেরও ।

এভাবে খুঁজতে খুঁজতে ফিরে যাবেন রাবেয়া। দুই সন্তান বেড়ে উঠবে পিতার পরিচয় ছাড়া। হয়তো ছাইদুলরা অন্য কোন রাবেয়াকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন।

ভুলে গেছেন দুই সন্তান আর রাবেয়ার কথা।