বাবা-মায়ের আদরের দুলাল ছিল পরিবারে একমাত্র পুত্র সন্তান সাইমুন। যখন যা চাইতো প্রবাসী বাবা দুই হাত খুলে ছেলের আবদার মিটাতেন। কিন্তু ছেলের সর্বশেষ আবদার মেটাতে কিনে দেয়া মোটর সাইকেলই প্রাণ কেড়ে নিল একমাত্র আদরের সেই ছেলের প্রাণ।
নির্মম এই ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের টিএন্ডটি মোড়ে।
জানা গেছে, পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালি গ্রামের বড় বাড়ির কাতার প্রবাসী হান্নান গাজী ও সেলিনা বেগম দম্পত্তির ঘরে কন্যা সন্তান থাকলেও বিয়ের প্রায় ৮ বছর পর সাইমুন এর জন্ম হয়। দীর্ঘদিন পর ঘর আলো করে আসা একামাত্র ছেলের সকল আবদার মেটাতেন বাবা ও মা।
সাইমুন(১৫) ফরিদগঞ্জ আদর্শ একাডেমির দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সর্বশেষ আবদার ছিল একটি মোটর সাইকেল কিনে দেন বাবা।
ছেলের আবদার মেটাতে বাবা হান্নান গাজী গত কয়েক দিন পুর্বে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি মোটর সাইকেল কিনে দেন। কিন্তু শখের মোটর সাইকেলই সাইমুনের জীবনের জন্য কাল হয়ে দাড়ালো।
সাইমুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার প্রতিবেশি চাচা এফ এ মানিক জানান, গত ৬ নভেম্বর বুধবার সকালে সাইমুন নিজের মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে পৌর এলাকার ওনুআ চত্বরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ নভেম্বর (বুধবার) রাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে একমাত্র ছেলের মৃত্যুর সংবাদ জানার পর ছেলের শোকে পাগল প্রায় মা শিপনী বেগম। অন্যদিকে প্রবাসে থাকলেও বাবা হান্নান গাজীও ছেলের শোকে পাথর হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। পুরো এলাকা জুড়ে বইছে শোকের মাতম।