বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে অপপ্রচারের গুঞ্জনের প্রতিবাদে প্রেসব্রিফিং করেছেন মোসটরসাইকেল প্রতীকের (স্বতন্ত্র )চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ সোহেল ।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউপির টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সাবেক উপজেলা ছাত্রদল নেতা ও টামটা দক্ষিণ ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাকীর্ণ গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মুখে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত কাল্পনিক গুঞ্জনের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহন করেন। ২৬ শে ডিসেম্বরের চতুর্থ ধাপের ওই নির্বাচনে বর্তমান ও সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান আ’লীগের (চশমা প্রতীকের) বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম মানিকের সাথে মোটরসাইকেল প্রতীকের গোপন সমঝোতা এবং চশমা প্রতীক থেকে অর্থ বিনিময়ের তাদেরকে সমর্থন দিয়েছে মর্মে কতিপয় ব্যক্তিরা যে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। এ অপপ্রচারে ওই সময় তার ভোটাররা বিভ্রান্ত হয়। ওই সময় এ অপকৌশলের জালে আটকা পড়ে তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সোহেলের নিশ্চিত বিজয় হাতছাড়া হয়ে যায়। যার ফলে তিনি তার ভোটার কর্মী সমর্থক স্থানীয় এলাকার জনগণ রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিবর্গের নিকট হেয়প্রতিপন্ন ও মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগকারীরা শুধু গোপন সমঝোতা ও অর্থ বিনিময়ের কথা বাজারজাত করে ক্ষান্ত হননি। তারা ওই অপপ্রচারকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী ফায়দা লুটে নেয়।
তাঁর পিতা মরহুম মাওলানা মুজাফফর হোসাইন ওই ইউপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। উনার হাত ধরেই এ অঞ্চলে বিএনপির রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়েছে। এলাকায় শিক্ষার প্রসারে তিনি টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তাতে ৩৬ বছর সফলতার সহিত প্রধান শিক্ষক হিসেবে সেবা দিয়েছেন। তিনি একজন সফল শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক ও সফল জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তিনি তার পিতার আদর্শ ও এলাকার জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার করার প্রশ্নই উঠে না বলে তার অভিমত করেন। যারা এই মিথ্যা প্রভাকান্ড রটিয়েছে, এটি ছিল তাদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার একটি নীল নকশার অংশ মাত্র। ওই ক্ষমতালিপ্সু দুষ্কৃতিকারী কুচক্রী মহলের বিচারের ভার তিনি ওই ইউপির জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান। এছাড়া তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিভিন্ন হামলার শিকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এছাড়া তিনি নির্বাচনের আগের রাত হতে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নানান গুজব ও অপপ্রচার, হামলা ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জনগনের ভালোবাসা নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে ছিলেন। তিনি তার বাবার সম্মান অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে বর্তমানে কিংবা ভবিষ্যতে এই ধরনের আনীত অভিযোগে নিজেকে জড়াবার প্রশ্ন আসে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। আগামী দিনগুলোতে তার পিতার আদর্শ স্বপ্ন বাস্তবায়নে এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে তা বাস্তবায়নে নিজেকে উজাড় করার ইচ্ছে পুনর্ব্যক্ত করেন। ওই সময় শাহরাস্তির কর্মরত গণমাধ্যম কর্মী ছাড়াও তার নির্বাচনী কর্মী সমর্থক এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সুধীজন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।