ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়ার শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজে সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা

কচুয়ায় রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজে সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন মুনতাসির ও সাখাওয়াতের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী। তারা কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।

Model Hospital

সোমবার দুপুরে কলেজের ফটকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক সৈয়দ আরাফাত ছামী চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক একাত্তর কন্ঠের কচুয়া প্রতিনিধি।

এ ঘটনায় আহত ছামী বাদী হয়ে মুনতাসির, সাখাওয়াত ও অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার একাদশ শ্রেনীর প্রথম বর্ষের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে সাংবাদিক ছামীর বন্ধু মেহেরাব হোসেন। মেহেরাব পরীক্ষার হলে যে আসনটিতে বসে ছিল তাকে ওই কলেজের এক ছাত্র তার আসন থেকে উঠে যেতে বললে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মেহেরাবকে মেরে তার শার্টের বোতাম ছিঁড়ে ফেলে। পরীক্ষা শেষে মেহেরাব কেন্দ্র থেকে বের হলে তার বন্ধু একাত্তর কন্ঠের কচুয়া প্রতিনিধি সৈয়দ আরাফাত ছামীকে মারামারির কথাটি জানায়।

এসময় ছামী বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামানের কক্ষে প্রবেশ করে ঘটনাটি ওনাকে অবগত করেন। পরে ছামী তার বন্ধু মেহেরাবকে নিয়ে কলেজ থেকে বের হয়ে কলেজের ফটকের সামনে আশা মাত্রই উৎ পেতে থাকা একই শ্রেনীর দ্ইু ছাত্র মুনতাসির ও সাখাওয়াতের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন মিলে ছামী ও তার বন্ধুর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় তারা এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ছামীর মাথা, পিঠ ও হাত রক্তাক্ত জখম করে এবং তার ডান হাতের নখ উপড়ে ফেলে।

এসময় ছামী ও মেহেরাজ দৌঁড়িয়ে জীবন রক্ষার্থে ফটকের পাশে অবস্থিত গোহট দক্ষিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন সামীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। ছামী ও তার বন্ধু মেহেরাব বর্তমানে কচুয়া উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনার বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন- বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধানের জন্য কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেনকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া ওই দুই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ অফিস কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার বিস্তারিত জেনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে কার্টন ফ্যাক্টরিতে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৮ইউনিট

কচুয়ার শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজে সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা

আপডেট সময় : ১২:১৩:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

কচুয়ায় রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজে সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন মুনতাসির ও সাখাওয়াতের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী। তারা কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।

Model Hospital

সোমবার দুপুরে কলেজের ফটকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক সৈয়দ আরাফাত ছামী চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক একাত্তর কন্ঠের কচুয়া প্রতিনিধি।

এ ঘটনায় আহত ছামী বাদী হয়ে মুনতাসির, সাখাওয়াত ও অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার একাদশ শ্রেনীর প্রথম বর্ষের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে সাংবাদিক ছামীর বন্ধু মেহেরাব হোসেন। মেহেরাব পরীক্ষার হলে যে আসনটিতে বসে ছিল তাকে ওই কলেজের এক ছাত্র তার আসন থেকে উঠে যেতে বললে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মেহেরাবকে মেরে তার শার্টের বোতাম ছিঁড়ে ফেলে। পরীক্ষা শেষে মেহেরাব কেন্দ্র থেকে বের হলে তার বন্ধু একাত্তর কন্ঠের কচুয়া প্রতিনিধি সৈয়দ আরাফাত ছামীকে মারামারির কথাটি জানায়।

এসময় ছামী বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামানের কক্ষে প্রবেশ করে ঘটনাটি ওনাকে অবগত করেন। পরে ছামী তার বন্ধু মেহেরাবকে নিয়ে কলেজ থেকে বের হয়ে কলেজের ফটকের সামনে আশা মাত্রই উৎ পেতে থাকা একই শ্রেনীর দ্ইু ছাত্র মুনতাসির ও সাখাওয়াতের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন মিলে ছামী ও তার বন্ধুর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় তারা এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ছামীর মাথা, পিঠ ও হাত রক্তাক্ত জখম করে এবং তার ডান হাতের নখ উপড়ে ফেলে।

এসময় ছামী ও মেহেরাজ দৌঁড়িয়ে জীবন রক্ষার্থে ফটকের পাশে অবস্থিত গোহট দক্ষিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন সামীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। ছামী ও তার বন্ধু মেহেরাব বর্তমানে কচুয়া উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনার বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন- বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধানের জন্য কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেনকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া ওই দুই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ অফিস কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার বিস্তারিত জেনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।