কচুয়ায় ওয়রিশ সনদ জাল করে নামজারি ও খারিজ করা একটি চক্রকে সনাক্ত করেছে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি।
জানাগেছে, এই চক্রটি অর্থের বিনিময়ে সহজ সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে নামজারীর কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র করে দিবে বলে হয়রানী ও প্রতারনা করে আসছেন।
বুধবার ২৪ জুলাই এ ধরনের একটি নামজারি খারিজের আবেদন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনির দৃষ্টিগোছর হলে তিনি বিষয়টির সাথে সম্পৃক্ত দলিল লেখক সাফারুল্লাহ নামে একজনকে সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
তিনি জানান, সকল ভূমি সেবা গ্রহীতাদের জন্য উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ের দরজা উম্মুক্ত। সেবা প্রত্যাশীগন কোন দালাল চক্রের সাথে যোগাযোগ না করে সরাসরি ভূমি অফিসে আসলে কাঙ্খিত সেবা পাবেন। বর্তমানে সকল ক্ষেত্রে অনলাইনে ভূমি সেবা পাওয়া সহজ। সুতরাং কোন দালাল বা প্রতারক চক্রের শরনাপন্ন না হওয়ার আহবান জানান।
কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের রাগদৈল গ্রামের হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী লাকী আক্তার ০৮-জুলাই ২ জনকে ওয়ারিশ দেখিয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে নামজারির জন্য রাগদৈল মৌজার ১০ শতাংশ জমি খারিজ করার জন্য আবেদন করেন। জনৈক কম্পিউটারম্যান রাছেল ও অসাধু দলিল লেখক সাফারুল্লাহ’র সাথে যোগসাজেশে ওয়ারিশ সনদটি জাল করে নামজারির জন্য কচুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে জমা দেয়। যার কেইস নং ৪১৩(২০২৩-২০২৪)।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার প্রতিবেদন দাখিলের পর সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখতে পান হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী লাকী আক্তারের দাখিলকৃত ওয়ারিশ সনদটি জাল।
তিনি আরো জানান, ১৮-০৯-২০২৩ সালে সাচার ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন স্বাক্ষরিত রাগদৈল গ্রামের আকরাম আলী মুন্সির ছেলে আ: ছালামকে ও তার ৪ জন ওয়ারিশের একটি সনদ পত্র প্রদান করেন। সেই সনদের আলোকে ০৯-০৫-২০২৪ সালে কেইস নং ১১৫২০(২০২৩-২০২৪)এর মাধ্যমে ৮৯ শতক সম্পত্তি নামজারি খারিজ করেন।
গত বুধবার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি’র নিদের্শে সাফারুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কচুয়া থানার পুলিশ তাকে আটক করে উপজেলা সহকারি (ভূমি) অফিসে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে সাফারুল্লাহ ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবে না বলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি’র কাছে মুচলেকা দেন।
উল্লেখ্য:সহকারি কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি যোগদানের পর থেকে দালাল চক্রের আনাগোনা চোখে পড়ে না ভূমি অফিস চত্বরে। কার্যালয়ে অসাধু কর্মকর্তারও নড়েচড়ে বসেছে। সেবা গ্রহীতারাও হয়রানি ছাড়া সেবা পেয়ে মহাখুশি। সেবা নিতে আসা আব্দুল করিম জানান, বহু বছর পর আমরা একজন সৎ নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা পেয়েছি। আমরা কচুয়া বাসী একজন ভালো মনের কর্মকর্তা পেয়ে অনেক খুশি।