স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়াইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের হামলায় একই ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুল ইসলামকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
আহত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুল আলম এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
কচুয়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়াইয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেম্বারদের মধ্যে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মন্টু মিয়াকে সমর্থন দেয় উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
এরপর থেকে একই ওয়ার্ডের মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোরগ প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ইসলাম ফুটবল প্রতীককে সমর্থন দেয়ায় উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুল আলমকে নানাভাবে হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে। এমনকি এ ঘটনায় একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনও তাঁকে হুমকি এবং দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এই ঘটনার জের ধরে গত ৫ জানুয়ারী নির্বাচন চলাকালে বিকেল ৩ টার দিকে ভোট কেন্দ্রের নিকটবর্তী জনৈক রাজ্জাকের বাড়ির সামনে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ করেই মোরগ প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলামের নির্দেশে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে অলি উল্যাহ (৫০) পিতামৃত- লতিফ, আলমগীর হোসেন (২৫)পিতা – জহিরুল ইসলাম, রাসেল হোসেন (২২) পিতা- ঐ, রাকিব হোসেন (২০) পিতা ঐ, মোঃ হান্নান মিয়াজী (৪২) পিতা – মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ ফয়সাল আহমেদ (৩২) পিতা- ঐ, টিপু সুলতান রিপন (৪৭), স্বপন মিয়া (৪০) ও রবিউল ইসলাম পিতামৃত- বাচ্চু মিয়া, শাকিব হোসেন (২০)পিতা- হুমায়ূন কবিরসহ আরো ২৫/৩০ জন সহ দেশীয় অস্ত্র সশ্র নিয়ে অর্তকিত হামলা করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সামছুল আলম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এঘটনায় কচুয়া থানায় হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু কচুয়া থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় অভিযোগে উল্লেখকৃত কাউকে আটক করেনি।
অপরদিকে এলাকাবাসী এ ঘটনার জন্য নিন্দা জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।